Showing posts with label History. Show all posts
Showing posts with label History. Show all posts

Monday, January 16, 2023

ইজিপ্ট Egypt কে কেন বাংলায় মিশর বলা হয়? ইজিপ্ট নাকি মিশর

ইজিপ্ট Egypt কে কেন বাংলায় মিশর বলা হয়? ইজিপ্ট নাকি মিশর

পৃথিবীর প্রায় সব দেশের নাম একটিই ব্যবহার হয়ে থাকলেও ভারত এবং মিশর সহ আরো কয়েকটি দেশ ব্যতিক্রম। আমরাই ভারত কে কখনো ভারত আবার কখনো ইন্ডিয়া বলি। মিশর কেও যখন বাংলায় বলি বা লিখি তখন ব্যবহার করি মিশর। আবার যখন ইংরেজি তে লিখি তখন লিখি ইজিপ্ট। কিন্তু আমাদের মনে কি কখনো প্রশ্ন এসেছে এসব দেশ গুলোর এরকম দুই নামের কারণটা কি। মিশর কে কেন Egypt বলা হয়?

মিশর নামকরণ

মিশর (M-i-s-r) ইতিহাস, রহস্য কালজয়ী ফারাও রাজাদের স্মৃতি নিয়ে সগৌরবে দাড়িয়ে থাকা একটি দেশ। শত শত বছরের এ ইতিহাস জুড়ে প্রচলিত ছিল ভিন্ন ভিন্ন ভাষা, ভিন্ন ভিন্ন ধর্ম এবং ভিন্ন ভিন্ন নাম। বর্তমানে দেশটির প্রাতিষ্ঠানিক নাম জুনহুরিয়াহ মিশর আল অ্যারাবিয়া (Junhuriyah Misr Al-Arabiyah) বা আরব প্রজাতান্ত্রিক মিশর।

মিশর

Saturday, November 19, 2022

সেভেন আপের ইতিহাস | 7up নাম কেন রাখা হলো?

সেভেন আপের ইতিহাস | 7up নাম কেন রাখা হলো?

সেভেন আপ (7up), বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রায় সকল দেশেই, কোমলপানীয়গুলোর মধ্যে সেভেনআপের জনপ্রিয়তা সবার শীর্ষে! এছাড়াও বিশ্বকাপ আসলেই সবার মাথায় চেপে বসে, গোল হলে ৭ টাই হতে হবে নাইত যে সেভেন আপ হবে না! কেউ যদি কোন টিমকে ৭ টি গোল দেয় তাহলে তাদেরকে মজা করে বলা হয় সেভেন আপ! তো এই যে এতদিকে শুধু সেভেন আপ সেভেন আপ, আসলে আমাদের মধ্যে কয়জনই বা জানে এই সেভেন আপের ইতিহাস সম্পর্কে? সেভেন আপ সম্পর্কে আজকে আমাদের এই আর্টিকেলে বিস্তারিত জানানো হবে এবং সেই সাথে জানাবো এর নাম সেভেন আপ কেন রাখা হলো? তাহলে চলুন জেনে নেই সেভেন আপের ইতিহাস!

চার্লস লিপার গ্রিগ

১৮৬৮ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরি অঙ্গরাজ্যে জন্ম তার। প্রাপ্ত বয়স্ক হলে সেন্ট লুইসে (Sent Louis) চলে যান তিনি। এবং ঐখানে গিয়ে কাজ শুরু করেন এডভার্টাইজিং এবং সেলস সেক্টরে। সে সময় কোমল পানীয়র সাথে পরিচয় হয় গ্রিগের। 

১৯১৯ সালে Vess Soda company এর মালিকানাধীন এক ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানিতে চাকরি করছিলেন গ্রিগ! সেখানে থাকাকালীন Jenkinson এর এক ফার্মের জন্য গ্রিগ উদ্ভাবন করেন অরেঞ্জ ফ্লেভারের এক কোমল পানীয়! আর তার নাম রাখা হয়েছিলো হুইসেল (Whistle). বাজারযাতও করা হয় সেটা কিন্তু পরবর্তীতে মেনেজমেন্টের কোন এক ঝামেলার কারণে সেখান থেকে চলে আসেন গ্রিগ আর রেখে আসেন তার বানানো হুইসেল (Whistle).

এরপর তিনি যোগ দেন Warner Jenkinson Company তে সেখানেও কোমলপানীয়র ফ্লেভার নিয়ে কাজ করতে থাকেন। সেখানে কাজ করার সময়ই গ্রিগের হাত ধরে আসে দ্বিতীয় কোমলপানীয় হাউডি (Howdy) পরবর্তীতে যখন গ্রিগ Warner Jinkinson থেকে চলে আসেন তখন আর আগের ভুলটা করেনি, তিনি এবারে তার বানানো হাউডির সকল ধরনের সত্ত নিয়ে আসেন। 

ততদিনে গ্রিগ বুঝতে পারছিলেন তার মাধ্যমে কোমল্পানীয় ইন্ডাস্ট্রিতে খুব বড় কিছু করা সম্ভব! এবং এই চিন্তা মাথায় আসার পর গ্রিগ একজন অর্থলগ্নিকারী খুজে নিলেন। যার নাম ছিলো এডমুন্ড জি. রিজওয়ে। ততদিনে তিনি ২ টা অরেঞ্জ ফ্লেভারের কোমলপানীয় নিয়ে মার্কেটে থাকা ততকালীন কোমল পানীয় জায়ান্ট Crush Orange বা অরেঞ্জ ক্রাশের সামনে ঠিক কুলে উঠতে পারছিলেন না। তাই তিনি এদিকে আর মন না দিয়ে মাতলেন লেমন লাইম সোডা নিয়ে। 

১৯২৯ সালের অক্টোবর মাসে অবশেষে সফলতার মুখ দেখলেন গ্রিগ। উদ্ভাবন করলেন এক নতুন কোমলপানীয়র ফর্মুলা, যার না দিলেন Bib-Label Lithiated Lemon-Lime Soda! অল্প কিছুদিন পরেই এর নাম পালটে ওটা হয়ে গেলো Seven Up Lithiated Lemon Soda. অবশেষে ১৯৩৬ সাল থেকে এটা হলো কেবলই সেভেন আপ (7up).

সেভেন আপের (7up) একেবারে মূলফর্মুলার একটি উপাদান ছিলো লিথিয়াম সাইট্রিক। সে সময় ডিপ্রেশনের চিকিৎসায় ব্যাবহৃত হত এটি। পরবর্তীতে ১৯৩৯ সালে মার্কিন সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে কোমলপানীয়তে এই উপাদানের ব্যাবহারে নিষেধাজ্ঞা ঝারী হয়। ফলে আলাদা হয়ে যায় সেভেন আপ ও লিথিয়াম সাইট্রেকের চলার পথ। Calsium, Disodium, UDTA  এর উপাদানের তালিকা থেকে সরিয়ে নেইয়া হয় ২০০৬ সালে। ঐদিকে সোডিয়ামের পরিমাণ কমাতে সোডিয়াম সাইট্রিকের বদলে যোগ করা হয় Potassium Citrate.

এখন প্রশ্ন হলো

সেভেন আপ নাম কেন দেওয়া হলো?

সেভেন আপ নাম কেন সেওয়া হলো? বিশস্ত কি এই নামের? দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে গ্রিগ কোনোদিনি খোলাসা করেন নি এই ব্যাপারে। ফলে এই সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য রয়েছে। 

যার মধ্যে সবাই বিশ্বাস করেন এবং বিশেষজ্ঞরাও দ্বারনা করেন সেভেন আপ তৈরি করা হয়েছিলো ৭ টি উপাদান দিয়ে, সে গুলো হলো চিনি, কার্বোনেটেড ওয়াটার, লেমন ও লাইম, অয়েলেএ নির্যাস, সাইট্রিক এসিড, সোডিয়াম এবং লিথিয়াম সাইট্রেট। আর এই পানীয়টির বাবল উপর দিকে উঠার কারণেই এর নাম রাখা হয় 7up! 

কিছু বিশেষজ্ঞরা আবার বলেন সেভেন আপ যখন প্রথম বাজারে আসে তখন এটা মোট সাটটি সাইজের বোতলে করে বাজারজাত করা হতো, তাই এর নাম করণ করা হয় সেভেন আপ। 

আবার অনেকেই বলে অত্যাধিক নেশার ফলে ৭ ধরনের জিনিস কাটাতে সাহায্যে করবে সেভেন আপ, এমনটাই একবার দাবী করেছিলেন গ্রিগ। তবে গ্রিগ কথাটি সিরিয়াসলি বলেন নি। 

এছাড়াও আরো অনেক ধরনের কথা শুনা যায় যেই কারনে এর নাম সেভেন আপ। আপনার মতে কি বলে? সেভেন আপ নাম কেন রাখা হয়েছে?

Tuesday, November 15, 2022

রূহ আফজার ইতিহাস |  রুহ আফজা ও হামদর্দ ইতিহাস

রূহ আফজার ইতিহাস | রুহ আফজা ও হামদর্দ ইতিহাস



রূহ আফজা বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারত ও পাকিস্তানেও জনপ্রিয় পানীয় গুলোর মধ্যে একটি। বিশেষ করে রমজান মাস আসলেই বাংলাদেশের মুদি দোকান থেকে শুরু করে ঔষধের দোকানেও পাওয়া যায় লাল রঙের এই পানীয়টি। বর্তমানে শর্বত হিসেবে পান করা হলেও ১০০ বছরেরও বেশি ঐতিহ্যবাহী এই পানীয়টি একটা সময় ইউনানি মেডিসিন হিসেবে ব্যাবহার করা হতো। আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে জানাবো রুহ আফজার ইতিহাস সম্পর্কে! 

রূহ আফজার ইতিহাস

বাংলাদেশে রূহ আফজা বেশ জনপ্রিয় একটি পানীয় হওয়া সত্তেও অনেকেই হয়ত জানেনা যে রূহ আফজা প্রস্তুত কারক আদতে Hamdard বাংলাদেশ। অনেক দীর্ঘ সময় ধরে দেশেই রূহ আফজা ম্যানুফ্যাকচার করা হলেও মার্কেটিংয়ে তেমন বিশেষত্ব দেখা যায়না বিধায় অনেকেরই মনে হতে পারে এটি বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠান। 

যদিও রুহ আফজা এবং  Hamdard এর ইতিহাস বাংলাদেশ, ভারত কিংবা পাকিস্তানের চেয়েও পুরোনো! হামদর্দের (Hamdard) শুরুটা হয়েছিলো মূলত ভারতের দিল্লিতে। হামদর্দের প্রতিষ্ঠাতা Hakim Hafiz Abdul Majeed এর জন্ম ১৮৮৩ সালে ততকালীন ভারতের পেরিফেটে। শিক্ষাজীবনের শুরুতে আব্দুল মজীদ (Abdul Majeed) পবিত্র কোরআন সম্পুর্ন মুখস্ত করেন এবং পরবর্তীতে উর্দু ও ফরাসি ভাষা শেখায় মনানিবেশ করেন। ভাষা সম্পর্কীত জ্ঞান অর্জনের পর উচ্চ শিক্ষা হিসেবে তিনি সে সময় ইউনানী চিকিৎসার উপর সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জন করেন।

পরাশোনা শেষে ১৯০৬ সালে হাফিজ আব্দুল মজীদ ততকালীন পুরোনো দিল্লিতে স্বাধারন জনগনকে ইউনানী চিকিৎসা দেওয়ার জন্য Hamdard নামে একটি ছোট ইউনানি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করেন। 

হামদর্দ শব্দটি মূলত  ফরাসি শব্দ হাম এবং দর্দ এই ২ টি সব্দের সমন্বয় গঠিত। যার অর্থ ব্যাথার সহোযোগি। সে সময় তিনি বিভিন্ন ইউনানি ঔষধের সাহায্যে রোগীদের নানাধরনের রোগের চিকিৎসা করতেন এবং এর পাশাপাশ নিজেই নানা রোগের ভেষজো ও ইউনানি ঔষধ তৈরি করতেন। এ ধরনের ঔষধ তৈরি করতে গিয়েই ১৯০৭ সালে হাকিম হাফিজ আব্দুল মাজিদ নানা ধরনের ভেশজো ও ফলের মিশ্রণে একটি নতুন সিরাপ তৈরি করেন, যার নাম দিয়েছিলেন রুহ আফজা। 

ঘন লালা রঙের এই সিরাপটি তিনি মূলত Heat Stroke, Dehydration ও Diarrhea এর মত রোগের চিকিৎসার জন্য একটি ইউনানি ঔষধ হিসেবে তৈরি করার চেষ্টা করেছিলেন।  যদিও ঠান্ডা পানি বা দুধের সাথে মিশিয়ে খেতে বেশ সুস্বাদু এবং গরমকালে ক্লান্তি দূর করতে ততকালীন ভারত বর্ষে বেশদ্রুতই শর্বত হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে উঠে সিরাপটি। যার পরিপ্রেক্ষিতে হাফিজ আব্দুল মাজিদ তার এই পণ্যটিকে প্রোপার চ্যানেলে মার্কেটিং এর সিদ্ধান্ত নেন এবং ১৯১০ সালে মির্জানুর আহমেদ নামে একজনকে নিয়ে রূহ আফজার লোগো ডিজাইন করিয়ে নেন। তবে ততকালীন দিল্লির প্রিন্টিং প্রেস গুলো ততখানী এ্যাডভান্স না হওয়ায়, ফুল কালার কন্ট্রাস ঠিক রেখে তা প্রিন্ট করা যাচ্ছিলোনা বিধায় তারা প্রিন্টিয়ের কাজটি বম্বে থেকে করিয়ে আনেন। বিভিন্ন মার্কেটিং এক্টিভিটির কারনে  রূফ আফজা নামটি সহজেই সাধারণ মানুষের কাছে পৌছে যায়, এবং পন্যটি স্বাদ ও মানের দিক থেকেও ভালো হওয়ায় বেশ দ্রুতই এর জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। 

বিশেষ করে ১৯১৫ সালে নাগাদ ততকালীন দিল্লির মুস্লিম কমিউনিটিতে রূহ আফজা বেশ ডমিনেট হয়ে উঠে।

কিন্তু রূহ আফজার এরূপ জনপ্রিয়তা হাফিজ আব্দুল মাজিদ দেখে যেতে পারেনি। ১৯২২ সালে মাত্র ৩৪ বছর বয়সে তিনি মৃত্যু বরন করেন।  



Coming Soon...

Monday, November 14, 2022

Netflix এর ইতিহাস

Netflix এর ইতিহাস

Netflix হলো এক ধরণের সাবস্ক্রিপশন-ভিত্তিক স্ট্রিমিং সার্ভিস, যা সাবস্ক্রাইবড সদস্যদের ইন্টারনেট-সংযুক্ত ডিভাইসে বিজ্ঞাপনহীনভাবে টিভি শো ও সিনেমা দেখতে দেয়। নেটফ্লিক্সে আপনি বিভিন্ন মুভি, টিভি শো, ডোকুমেন্টরি ভিডিও ইত্যাদি সাবস্ক্রিবশনের মাধ্যমে দেখতে পারবেন। তবে আদতে নেটফ্লিক্স কিভাবে প্রতিষ্ঠা হলো? জানাবো আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে।

নেটফ্লিক্স এর ইতিহাস

১৯৯৭ সালে ক্যালিফোর্নিয়াতে Reed Hasting ও Marc Randolph নামে দুইজন এন্টারপ্রেনার নেটফ্লিক্স (NETFLIX) প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৯৮ সালের এপ্রিলে মাত্র ৩০ জন কর্মচারী এবং ৯২৫ টি ডিভিডি (25 DVD) নিয়ে মুভি রেন্টাল সার্ভিস হিসেবে যাত্রা শুরু করে Netflix. যেটি ছিলো বিশ্বের প্রথম অনলাইন ডিভিডি রেন্টাল সার্ভিস।

ইউজাররা নেটফ্লিক্সের ওয়েবসাইট থেকে মুভি অর্ডার করত, দেখা শেষ হলে আবার তা মেইলের মাধ্যমেই ফেরত দিয়ে দিত। স্বাধারনত রেন্টাল কোস্ট ধরা হতো 4$ এবং পোস্টেড চার্জ 2$। 

সে সময় USA তে সব চেয়ে বড় ভিডিও রেন্টাল সার্ভিস ছিলো "BLOCKBUSTER". প্রায় ৯ হাজারটি ভিডিও রেন্টাল শোপ ছিলো তাদের। যদিও পরবর্তীতে নেটফ্লিক্সের সাথে পেরে উঠতে পারেনি তারা। 

Netflix  এর Reed Hastings বলেন, তিনি ব্লকবাস্টার থেকে একটি Apollo13 এর DVD রেন্টে এনে সময় মত ফেরত দিতে ব্যার্ত হওয়ায় তাকে 40$ ফাইন করা হবে। সেই জন্য তিনি নেটফ্লিক্সের ক্ষেত্রে DVD রেন্টে নেওয়ার পর তা ফেরত দেওয়ার কোন সময়সীমা দেন নি। তবে নতুন একটি DVD নিতে হলে আপনাকে পুরোতনটি ফেরত দিতে হতো। 

১৯৯৯ সালে নেটফ্লিক্স তাদের প্রথম সাবস্ক্রিপশন সার্ভিস চালু করেন। যার মাধ্যনে ইউজাররা একটি মান্থলি প্যাকেজের আহতায় আনলিমিটেড DVD ভাড়া নিতে পারত। 

২০০০ সালে নেটফ্লিক্সের ইউজার সংখ্যা ৩ লাখ ছাড়িয়ে যায়। সে সময় নেটফ্লিক্স ব্লকবাস্টারকে ৫০ মিলিয়ন ডলার প্রস্তাব দেয় তাদের সার্ভিসটি কিনে নেওয়ার জন্য, যদিও তাদের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয় ব্লোকবাস্টার! কিছুদিন পর নেটফ্লিক্স পার্সোনালিজ মুভি রিকোমেন্ডেশন সিস্টেম নিয়ে আসে। যার মাধ্যমে ইউজারদের রেটিং এর উপর নির্ভর করে মুভি রিকোমেন্ড করা হতো। 

২০০২ সালে নেটফ্লিক্সকে পাবলিক করা হয়। এবং সে বছরের শেষ পর্যন্ত নেটফ্লিক্সের রেজিস্ট্রেড ইউজার সংখ্যা গিয়ে দারায় ৮ লাখ ৫৭ হাজারে! তার পরের বছরই (২০০৩) নেটফ্লিক্স ১ মিলিয়ন সাবস্ক্রিপশনের মাইল ফলকে পৌছায়। তবে একই বছর নেটফ্লিক্সের কো-ফাউন্ডার, মার্ক রেন্ডাফ নেটফ্লিক্সে তার মালিকার অংশ ছেড়ে দেন।

২০০৩ অর্থবছরে নেটফ্লিক্স প্রথমবারের মত প্রফিটের মুখ দেখে। সে বছর তাদের প্রফিট ছিলো ৬.৫ মিলিয়ন ডলার। এবং রেভিনিউ ছিলো ২৭২ মিলিয়ন ডলার। 

২০০৫ সালে নেটফ্লিক্সের কালেকশনে প্রায় ৩৫,০০০ মুভি ছিলো। এবং প্রতিদিন তারা গড়ে ১ মিলিয়ন ডিভিডি শিপিং করছিলো। 

২০০৬ সালে এসে নেটফ্লিক্সের ইউজার সংখ্যা ৫ মিলিয়নে পৌছায়! সে সময় ব্লকবাস্টারের আউটলেটে ডিভিডি রেন্টাল সার্ভিস থাকলেও নেটফ্লিক্স তাদের থেকে এক ধাপ এগিয়ে ছিলো। কেননা নেটফ্লিক্স তাদের সার্ভিসটি অনলাইনে অফার করতে পারছিলো। কিন্তু ব্লকবাস্টার থেকে ডিভিডি আনতে হলে আপনাকে তাদের আউটলেটে ভিজিট করতে হতো। আবার ব্লকবাস্টারের তুলনায় নেটফ্লিক্সের কাছে অনেক বেশি মুভি কালেকশন ছিলো।

বেশ কিছুদিন ধরে ডিভিডি রেন্টাল দিয়ে এন্টারটেইনমেন্ট মার্কেট ডমিনেট করার সত্তেও নেটফ্লিক্স বুঝতে পারছিলো যে ভবিষ্যতে স্ট্রিমিং সার্ভিসই সবার চাহিদার শীর্ষে থাকবে। 



Thursday, November 10, 2022

বিশ্বের সব চেয়ে বড় ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানি SoftBank এর ইতিহাস

বিশ্বের সব চেয়ে বড় ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানি SoftBank এর ইতিহাস

SoftBank Corporation, একটি জাপানিজ মাল্টিন্যাশনাল ইনভেস্ট এবং হোল্ডিং কোম্পানি। বিশ্বের সব চেয়ে বড় ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড ১০০ বিলিয়ন ডলারের ভিশিয়ন ফান্ড নিয়ে বিশ্বের ছোট বড় টেক কোম্পানি গুলোতে ইনভেস্ট করে যাচ্ছে SoftBank. এখন পর্যন্ত প্রায় ৬০০ টি কোম্পানিতে ইনভেস্ট করেছে সফট ব্যাংক। বাংলাদেশেও সফটব্যাংকের বেশ কয়েকটি ইনভেস্টমেন্ট আছে। বিকাশ, দারাজ, হ্যাংরিনাকি, আলিবাবা গ্রুপ ও এন্ট ফাইনান্সিয়ালেও ইনভেস্ট রয়েছে এবং আলিবাবা ও এন্ট ফাইনান্সিয়ালের অন্যতম স্টোক হোল্ডার SoftBank. এছাড়াও বিশ্বক্ষেত রাইড শেয়ারিং Uber এ-ও ইনভেস্ট আছে SoftBank এর। এত সব কিছুতে ইনভেস্ট করা SoftBank আদকে কিভাবে প্রতিষ্ঠা হলো? বা সফটব্যাংকের ইতিহাস কি?

আমাদের আজকের এই আরটিকেলে জানাবো SoftBank এর ইতিহাস ও সফটব্যাংক কে কিভাবে প্রতিষ্ঠা করলো সেই সম্পর্কে বিস্তারিত।

SoftBank Founder History

সফটব্যাংক এর কথা আসলেই যার কথা আসে তিনি হচ্ছেন Masayoshi Son. 

১৯৫৭ সালে জাপানের তসু সহরে ওক কোরিয়ান ইমিগ্রেন্ট পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন জাপানের বিল গেইটস খেত Masayoshi Son. 

খুব অল্পবয়স থেকেই ব্যাবসায়ের প্রতি সানের প্রবল আগ্রহ ছিলো এবং জাপানের McDonald's President, Den Fujita ছিলেন Masayoshi Son এর সানের Inspiration.  Den Fujita এর পরামর্শে সান মাত্র ১৬ বছর বয়সে আমেরিকার San Francisco  তে মুভ করেন এবং University of California Berkeley থেকে Economics এবং কম্পিউটার সাইন্স নিয়ে পরাশোনা করেন। UC Berkely তে আন্ডার গ্রাজুয়েন্ট স্টাডি অবস্থায় সান জাপান থেকে প্যাক ম্যাম ও স্পেস ইনভেটর এর মত আর্কেট গেম গুলো ইমপোর্ট করে নরদেন ক্যালিফোর্নিয়ার লোকাল বাজারে ও রেস্টুরেন্ট গুলোতে রেন্ট দেওয়ার উপার্জন শুরু করেন। 

US এর একটি মিডিয়ার মাধ্যমে জানা যায় সান তার প্রথম মিলিয়ন ডলার আয় করেন আর্কেট গেমের মাধ্যমে। এছাড়াও তিনি তার কলেজের প্রফেসরের সাহায্যে একটি পকেট ইলেক্ট্রনিক্স ট্রান্সলেটর পেকিং করেন তা পরবর্তীতে সার্ফ করপোরেশনের কাছে ১ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি করে দেন। 

UC Berkeley তে পরাশোনা শেষ করার পর ১৯৮০ সালে Masayoshi Son জাপানে ফিরে জান, জাপানে ফিরে যাবার পর ফিরে জাবার পর তিনি বিভিন্ন বিজনেস আইডিয়া ও মডেল নিয়ে গবেষণা করতে থাকেন।

১৯৮১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে Software Distributor Company হিসেবে ২ জন পার্টনার ও এম্পলয় নিয়ে SoftBank যাত্রা শুরু করে। ব্যাবসার প্রথম বছরে SoftBank এর মাসিক সেলস ১০ হাজার মার্কিন ডলার থেকে বেড়ে ২.৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌছে যায়। এদিকে ১৯৮১ সালে মে মাসের মে মাসে SoftBank OhPC এবং OhMZ  নামে ২টি ম্যাগাজিন পাবলিশ করার মাধ্যমে পাবলিশিং ব্যাবসায় প্রবেশ করেন।

 
এদিকে ১৯৮৩ সালে মধ্যে SoftBank ২০০টির ও ব্বশি ডিলার ও আউটলেটকে সার্ফ করছিলো। ১৯৮৪ সালে SoftBank, Japan Telecom Co. Ltd প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে টেলিকম ব্যাবসায় প্রবেশ করে। ১৯৮৬ সালে কোম্পানিটি রেইল ওয়ে টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেড এস্টাবিলিশ করে এবং ১৯৮৯ সালে কোম্পানিটিকে মার্জ করে Japan Telecom Co. Ltd রাখা হয়। 

Masayoshi Son এর সফটব্যাংক (SoftBak) ইনভেটিভ টেকনোলজি এবং কাস্টমার একোজিশন স্কিমের মাধ্যমে বেশ সফল লাভ করতে থাকে। 

১৯৯০ সালে ইনিভেস্টমেন্ট পরিচালনা কার্যক্রম শুরু করার লক্ষ্যে Japan Telecom কে নাম পরিবর্তন করে SoftBank Corporation রাখা হয়। ১৯৯৪ সালে কোম্পানিটিকে পাবলিক করা হয় এবং সে সময় কোম্পানিটির ভ্যালুএশন ছিলো ৩ বিলিয়ন ডলার। 

Yahoo Japan

১৯৯৫ সালে সফটব্যাংক আমেরিকার স্টার্টাপ Yahoo তে ২ মিলিয়ন ডলার ইনভেস্ট করে। ১৯৯৬ সালে কোম্পানিটি আরো ১০৫ মিলিয়ন ডলার ইনভেস্ট করে এবং Yahoo এর সাথে পার্টনার শীপে জাপানে Yahoo Japan প্রতিষ্ঠা করে। Yahoo Japan মূলত Yahoo নাম ব্যাবহার করলেও কোম্পানি মূল আমেরিকান কোম্পানি থেকে ভিন্ন ভাবে পরিচালিত হচ্ছিলো জাপানে! সময়ের সাথে সাথে বিশ্বে Yahoo এর অবনতি ঘটলেও জাপানে এখনো বেশ জনপ্রিয় ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার। 

১৯৯ সালে Masayoshi Son চায়নার এক অখ্যাত মার্কেটপ্লেস Alibaba তে ২০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করে। বর্তমানে আলিবাবা গ্রুপ বিশ্বের অন্যতম বড় অনলাইন ই-কমার্স প্লাটফর্ম পরিচালনার পাশাপাশি টেকনোলজি ভিত্তিক বিভিন্ন সার্ভিস দিয়ে আসছে। 

Statista এর একটি তথ্য সুত্রে মার্কেট ক্যাপিটালাইজ এর দিক থেকে আলিবাবা বিশ্বের সপ্তম (7th) বৃহত্তম কোম্পানি! 

২০০০ সালের .com bubble crsuh এর পর সানের সফটব্যাংক ৯৩ শতাংশ মার্কেট ভ্যালুএশন হারিয়ে প্রায় ব্যাংক ক্রাপ্সের দ্বার অরান্তে পৌছে যায়। ডট কম (.com crsuh) ক্রাশের ফলে মাসাওশি সান তার ব্যাক্তিগত ৭৮ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে ৭০ বিলিয়নের বেশি হারান! কিন্তু এতসব লসের মধ্যেও সান একের পর এক ইন্টারনেট ভিত্তিক কোম্পানি গুলোতে ইনভেস্ট করে যাচ্ছিলেন। পাশাপাশি সেই সময় সফটব্যাংক জাপানের হাই স্পীড গিগাবাইট ইন্টারনেট বিল্ড করে যাচ্ছিলেন।

এছাড়াও সফটব্যাংক জাপানের vodafone কে ১৫ বিলিয়ন ডলারের বিনিময় একুয়ার করে নেয়। এছাড়াও ২০১৩ সালে ২১.৬ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে US এর তৃতীয় বৃহত্তম ওয়ারলেস কেরিয়ার Sprint কে একুয়ার করে নেয় সফটব্যাংক। ২০১৩ সালের অক্টোবরে সফটব্যাংক ফিনিশ গ্যাম নির্মাতা প্রতিষ্ঠান SUPERCELL এর ৫১% স্টোক কিনে নেয় ২.১ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়। 

Comming soon more Information...



Tuesday, November 8, 2022

আলিবাবা ও জ্যাকমার ইতিহাস

আলিবাবা ও জ্যাকমার ইতিহাস

আলিবাবা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা জ্যাকমা. ১৯৬৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বরে চায়নার Hangzhou সহরে জন্ম গ্রহণ করেন। কিশোর বয়স থেকেই জ্যাক ইংরেজী ভাষার প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন এবং Hangzhou সহরে আসা টুরিস্টদের গাইড হিসেবে তিনি ইংরেজীতে দক্ষতা লাভ করতে থাকে। 

ম্যাথমেটিক্স এ দুর্বলতার কারণে পর পর ২ বার Hangzhou Teacher কলেজের ইন্টার্ন এক্সামে ফেইল করলেও তৃতবার তিনি কৃতকার্য হতে সক্ষম হয় এবং ১৯৮৮ সালে ইংরেজিতে ব্যাচেলার ডিগ্রি নিয়ে গ্রেজুয়েশন সম্পুর্ণ করেন। 

গ্রাজুয়েশনের পর জ্যাক ১৯৮৮ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত Hangzhou Institute of Electronics and Engineering  এ ইংরেজী শিক্ষক হিসেবে কর্ম জীবন শুরু করেন। 

১৯৯৪ সালে জ্যাক মা তার প্রথম কোম্পানি Hangzhou Haibo Translation Agency প্রতিষ্ঠা করেন। 

China Pages

১৯৯৫ সালে জ্যাক চায়না সরকারের অর্থায়নে এমেরিকা ভ্রমনে ইন্টারনেট সম্পর্কে প্রথম জ্ঞান লাভ করেন,  সে সময় তিনি ইন্টারনেটে চায়না সম্পর্কে তথ্যের অনেক ঘাটতি লক্ষ্য করেনম এরপর তিনি দেশে ফিরে তার কম্পিউটার শিক্ষক He Yibing এর সাথে চায়না পেজেস (China Pages) নামে একটি নতুন কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন। চায়না পেজেস চায়নার প্রথম ইন্টারনেট ভিত্তিক কোম্পানি ছিলো এবং কোম্পানিটি বিভিন্ন ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য ওয়েবসাইট তৈরি করে দিত।  

১৯৯৮ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত জ্যাক চায়নার মিনিস্ট্রি অফ ফরেন ট্রেড একনমি কো-অপারেশনের (Ministry of Foreign Trade and Economic Co-operation) আন্ডারে বেজিং ভিত্তিক আইটি  কোম্পানির হেড হিসেবে কর্মরত ছিলেন।  ১৯৯৯ সালে জ্যাকমা Hangzhou তে ফিরে আসেন এবং ১৭ জন বন্ধু এবং স্টুডেন্ট সহ আলিবাবা প্রতিষ্ঠা করেন। 

শুরুতে তারা চায়না বেসড ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে ব্যাবসার একটি মার্কেট প্লেস হিসেবে যাত্রা শুরু করে। সে সময় ব্যাবসাহীক প্রতিষ্ঠান গুলোকে ট্রাস্টেড সেলার সার্টিফিকেট এর জন্য আলিবাবা মেম্বার শীপ ফী চার্জ করত। সে বছরেরই অক্টবর মাসে আলিবাবা Golden Sachs থেকে ৫ মিলিয়ন এনং SoftBank থেকে ২০ মিলিয়ন ডলার ইনভেস্টমেন্ট সংগ্রহ করে। 

২০০৩ সালে চায়নার মার্কেটে ই-বে প্রবেশ করলে জ্যাকমা ই-বে এর কম্পিটিটর হিসেবে আলিবাবার কাঞ্জিউমার টু কাঞ্জিউমার মার্কেটপ্লেস তাওবাও লঞ্চ করেন। চায়নার মার্কেটে ই-বে প্রবেশ করার আগে চায়নার ডমিনেট ই-কমার্স echnet কে একুয়ার করে নেয়। সে সময় চায়নাতে echnet এর ২ মিলিয়ন ইউজার ছিলো এবং মার্কেটের ৮৫ শতাংশ দখলে ছিলো ইচনেট এর দখলে।

e-bay ও eachnet কে রুখে দিতে আলিবাবার taobao এর সকল সার্ভিস ফ্রী করে দেওয়ার পাশাপাশি B2C সার্ভিস ও দিতে থাকে। 

এছাড়াও আলিবাবা ২০০৪ সালে নিজস্ব পেমেন্ট গেটওয়ে আলি-পে লঞ্চ করে। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটির পার্সোনাল কম্পিউটার বেসড ইন্সট্যান্ট মেসেজিং সার্ভিস Aliwangwang লঞ্চ করে, যা ব্যাবহার করে তাওবাও মার্কেটপ্লেস এর ব্যাবহারকারী বায়ার ও সেলাররা কমিউনিকেট করতে পারে।  


New York Times এর ২০০৫ সালের একটি আর্টিকেল অনুযায়ী সে বছরই Yahoo জ্যাকমার আলিবাবাতে 1 Billion Doller ক্যাশ ইনভেস্টমেন্ট এবং ইয়াহু চায়নার সকল এসিটের বিনিময়ে আলিবাবার ৪০% স্টোম একুয়ার করে নেয়। 

এদিকে ২০০৭ সালের মধ্যে প্রতিদিন প্রায় ১০০ মিলিয়ন অ্যাক্টিভ শোপার ও মোট ৬০০ মিলিয়ন এক্সিস্টিং অ্যাকাউন্ট নিয়ে TaoBao চায়নায় e-bay কে পেছনে ফেলে চায়নার ৮৪% মার্কেট দখল করে নিতে সক্ষম হয়। সে বছরই আলিবাবা Hong Kang Stock Exchange  এ IPO লঞ্চ এর মাধ্যমে ১.৪৯ বিলিয়ন ডলার রেইজ করতে সক্ষম হয়। 

২০০৮ সালে অনলাইন রিটেল প্লাটফর্ম Taobao Mall বা TMall লঞ্চ করা হয়। 

এদিকে আলিবাবা গ্রুপ ৭৯.০৬ মিলিয়ন ডলারের বিনিময় চায়নার সর্ববৃহৎ ডোমেইন হোস্টিং প্রোভাইডার HiChina কে একুয়ার করে নেয়। এবং সেপ্টেম্বর ২০০৯ এ আলিবাবার ১০ম বর্ষিতে ই-কমার্স ডেটা মাইনিং, প্রসেসিং এবং কাস্টমাইজেশনকে একত্রিত করে, কোম্পানিটিক একটি ক্লাউড কম্পিউটিং সার্ভিস প্লাটফর্ম করার লখ্যে আলিবাবা ক্লাউড (Alibaba Cloud) লঞ্চ করা হয়।  


Saturday, November 5, 2022

মাইক্রোসফটের ইতিহাস History of Microsoft

মাইক্রোসফটের ইতিহাস History of Microsoft

মাইক্রোসফট বিশ্বের অন্যতম লিডিং সফটওয়্যার কোম্পানি। আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে জানাবো মাইক্রোসফট এর ইতিহাস সম্পর্কে। সুতরাং সবাইকে মনযোগ সহকারে আর্টিকেল পড়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।


মাইক্রোসফট এর ইতিহাস

২ বন্ধু, Bill Gates এবং Paul Allen  এর হাত ধরে ১৯৭৫ সালের এপ্রিল মাসে একটি কম্পিউটার সফটওয়্যার ডেভেলপিং কোম্পানি হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়- Microsoft. 

Bill Gates

বিল গেটসের জন্ম ১৯৫৫ সালের ২৮ অক্টোবর ওয়াসিং টনের সিয়াটল সহরে। ১৯৬৮ সালে ১৩ বছর বয়সে সিয়াটলের একটি স্কুলে ভর্তি হোন। সেখানেই তার সাথে পরিচয় হয় মাইক্রোসফট এর আরেক প্রতিষ্ঠাতা  Paul Allen এর সাথে। ১৯৭৩ সালে হারভার্ড ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হোন গেইটস। 

Paul Allen

পাউল এলেন এর জন্য ১৯৫৩ সালের ২১ জানুয়ারি ওয়াসিং টনের সিয়াটল সহরে। কম্পিউটার এন্থজিয়াস্ট হওয়ার ফলে ২ জনের মধ্যে বন্ধুত্ব তৈরি হয়ে যায়। স্কুল শেষে পাউল এলেন ওয়াসিং টন স্টেট ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হোন।

History of Microsoft Start-up

১৯৭৫ সালে বিল গেইটসের সংগে মাইক্রোসফট প্রতিষ্ঠার লখ্যে ২ জনই পড়াশোনা ছেড়ে দেন। সে বছরই Paul Allen এবং Bill Gates, ALTAIR 8800 Computer এর জন্য বেসিক ইন্টারপ্রেটার ডেভেলপমেন্ট এর মাধ্যমে ব্যাবসায়ীক যগতে পা রাখেন। 

Micro-Computer ও সফটওয়্যার এই ২ টি নামকে একত্রিত করে প্রতিষ্ঠানটির নাম করণ করা হয় Microsoft! 86-DOS কে একুয়ার করে নেয় এবং IBM ও COMPAQ  এর মত প্রতিষ্ঠান গুলোর সফটওয়্যার মার্কেটিং করতে থাকে। 

১৯৮৫ সালে মাইক্রোসফট তাদের প্রথম গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম Windows 1.0 প্রস্তুত করে যা এপেল এর ম্যাকের সফটওয়্যারের সাথে কম্পিউট করে। তবে মাইক্রোসফট ও এপেল ২ টি কোম্পানি জিরুক্স এর তৈরি GUI. দ্বারা ইন্সপায়ার হয়েছিল। 

যদিও এপেল এর OS সুধু মাত্র এপেল কম্পিউটার গুলোতেই ব্যাবহার করা গেলেও, মাইক্রোসফটের ইউন্ডোজ সকল কোম্পানির ম্যানুফ্যাকচারিং কম্পিউটারেই ব্যাবহার উপযোগী ছিলো। সুধু মাত্র লাইসেন্স করে নিলেই যে কোন কম্পানি মাইক্রোসফট OS ব্যাবহার করতে পারতো। 

Window  যখন প্রথম লঞ্চ করা হয় তখন, Window 1.0, Windows 2.0 এবং Windows 3.0 তেও প্রচুর পরিমানে বাগ এবং ইস্যু ছিলো তবে Windows 95 ছিলো কম্পানিটির জন্য গেম চেঞ্জার। ততক্ষানিক টেক ওয়ার্ল্ডে হার্ডওয়্যার ডেভেলপমেন্টের পরিবর্তনের সাথে পাল্লা দিয়ে সকল ধরনের হার্ডওয়্যারে চলতে সক্ষম OS Build করতে সক্ষম হয় মাইক্রোসফট। OS টিতে বিখ্যাত Start বাটন যুক্তের সাথে Internet Explorer ব্রাউজারটিও যুক্ত করে মাইক্রোসফট। যা ততকালীন সময়ে ইন্টারনেট বিকাশে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে! 

Windows এর পাশাপাশি Microsoft Office অ্যাপ্লিকেশন গুলোর মাধ্যমে খুবই দ্রুততার সাথে এগিয়ে যেতে শুরু করে, এবং একটা সময় বিশ্বের Most Influenced Tech কোম্পানি হয়ে উঠে।  

২০০০ সালে বিলগেটস কোম্পানিটির CEO পদ থেকে সরে গেলে ২০১৪ সাল পর্যন্ত Steven Anthony Ballmer এর নেতৃত্বে মাইক্রোসফট বেশ গ্রো করে। স্টিভের নেতৃত্বেই মাইক্রোসফট এর প্রোডাক্ট লাইন আপে Bing, XBOX, Azure, Microsoft Surface, Windows Phone এর মত বেশ কিছু প্রোডাক্ট যুক্ত হয়। যদিও কম্পানিটি বেশ ভালোই গ্রো করছিলো, তবে- sachin nadella এর নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠানটি মার্কেটে Azure ও Microsoft Server এর দিকে বেশি ফোকাস করেন, এবং কম্পানিটিকে ক্লাউড কম্পিউটিং এর দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। 


Saturday, August 20, 2022

অনলাইন বুক সেলিং প্লাটফর্ম রকমারির ইতিহাস  History of Rokomari.com রকমারির ইতিহাস

অনলাইন বুক সেলিং প্লাটফর্ম রকমারির ইতিহাস History of Rokomari.com রকমারির ইতিহাস

রকমারি বাংলাদেশের সর্বপ্রথম ও লিডিং অনলাইন বুক সেলিং প্লাটফর্ম। যাত্রার শুরু থেকেই প্রতিষ্ঠানটি কাস্টমারের অর্ডারের ভিত্তিতে দেশব্যাপী বই ডেলিভারি দিয়ে আসছে। 

{getToc} $title={Table of Contents}

এছাড়াও বাংলাদেশের সর্বপ্রথম ক্যাশ অন ডেলিভারি সিস্টেমও রকমারিই ইন্ট্রিডিউস করে! পুরো দেশ জুরে বই পৌছে দেওয়ার পাশা পাশি রকমারি বিশ্বের ৩০ টি দেশে বই ডেলিভারি দিচ্ছে, বর্তমানে প্লাটফর্মটি ১৪ হাজারেরও বেশি দেশি ও বিদেশি প্রকাশক এবং ৮০ হাজারেরও বেশি লেখকের ২ লাখেরও বেশি বই রয়েছে। আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে জানাবো রকমারির সম্পুর্ন ইতিহাস ও যাত্রা নিয়ে সুতরাং সবাই মনোযোগ সহকারে আর্টিকেলটি পড়বেন।


রকমারি.কম এর ইতিহাস

রকমারি.কম (Rokomari.com) মূলত অন্যরকম গ্রুপের একটি অংগ প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির ৫ প্রতিষ্ঠাতার মধ্যে অন্যরকম গ্রুপের ২ প্রতিষ্ঠাতা Md. Mahmudul Hasan Sohag এবং Muhammad Hasan Liton অন্যতম।

মাহমুদুল হাসান

মাহমুদুল হাসান সোহাগের জন্ম ১৯৮৩ সালের ৭ই জুন জামাপুর জেলার শরিষবাড়ী উপজেলায়! সেখানকার রিয়াজ উদ্দিন তালুকদার উচ্চ বিদ্যালয় থেকে SSC এবং ঢাকা কলেজ থেকে HSC সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে ২০০০ সালে বুয়েটের ভর্তি পরিক্ষায় ১৪১ তম হয়ে ত্রিপল এ তে ভর্তি হোন তিনি। 

আবুল হাসান লিটন

কো-ফাউন্ডার আবুল হাসানের জন্ম ফরিদপুর জেলায়, ২০০০ সালে SSC পরিক্ষায় ঢাকা বোর্ডে সম্মেলিত মেধা তালিকায় ১২ তম হোন, এবং একই বছর দেশের সুনামধন্য দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের বুয়েটে CSE তে ভর্তি হোন তিনি। গ্রাজুয়েট শেষে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিনান্সে MBA সম্পন্ন করে। 

রকমারির আরো ৩ প্রতিষ্ঠাতা

  1. Ehteshamul Shams Rakib
  2. Jubayer Bin Amin
  3. Muhammad Khairul Anam

রকমারি প্রতিষ্টার সময়কাল

২০১১ সালে বুয়েটের CSE Department পড়াকালীন তাদের একটি ই-কমার্স প্লাটফর্ম প্রতিষ্ঠার আইডিয়া থেকেই যাত্রা শুরু হয় রকমারির। যেখানে মোঃ খাইরুল আনামকে নতুন ভেঞ্চরটির CEO হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। নতুন প্রতিষ্ঠানটির জন্য বিভিন্ন প্রকার নাম সাজেস্ট করলেও রকমারি নামটি সকলের কাছেই খুন পছন্দ হয়। 

যেহুতু তাদের প্রত্যেকেই ছিলেন বুয়েটের ছাত্র ও আইটির দিক দিয়েও দক্ষ তাই রকমারির ওয়েবসাইট খুব অল্প সময়ে ১ মাস এর মধ্যে প্রস্তত হয়ে যায়। ২০১২ সালের জানুয়ারি মাসের ১৯ তারিখ রকমারি.কমকে বুক সেল প্লাটফর্ম হিসেবে অফিসিয়ালি লঞ্চ করা হয়। 

অন্যরকম গ্রুমের চেয়ারম্যান Mahmudul Hasan Sohag বলেন

রকমারি নামটা আমরা যখন এক্সেপ্ট করেছি তখন কিন্তু এই আইডিয়াটায় ছিলো আমাদের, যে আমরা সকল প্রকার প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করবো। নাম ইটসেল্ফ এটাকে ইন্টিগ্রেট করে। যেমন সব ধরনের প্রোডাক্ট নিয়েই কাজ করবো, বা করার কথা। এর মাঝখানে আসলে আমরা সেই বিষয়গুলো ফেলে দেয়নি তবে আমাদের স্ট্রেটেজিতে একটু চেঞ্জ এনে আমরা একটা লম্বা সময় ধরে একটা সিংগেল প্রোডাক্ট নিয়ে ফোকাস ছিলাম (বই নিয়ে)। এবং এটা যখন আমাদের রকমারির ৩ বা ৪ বছর হয় তখন এটা নিয়ে আমাদের মধ্যে আবারো দির্ঘ দিন মিটিং হয় যে অন্যান্য প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করবো নাকি বইকে আরো লম্বা সময়ের  জন্য ধরে রাখবো? এবং তখন   আমরা সবাই চিন্তা করে দেখলাম যে না, আমরা আরেকটু লম্বা সময় ধরে বই নিয়েই কার্যক্রম চালিয়ে যাবো। এবং এটার একমাত্র কারণ ছিলোম, বই থেকে অন্য ক্যাটাগরিতে নিয়ে গেলে বা এর সাথে অন্য কোন প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করলে অবশ্যই উক্ত ক্যাটাগরির জন্য ভালো ইনভেস্ট, প্রোডাক্ট, ম্যানেজিং ইত্যাদি করতে হবে। যা আমরা বিগত ৩-৪ বছর ধরে বইয়ের সেক্টরে করে আসছি। যার কারনেই মুলত আমরা সুধু বই সেক্টরকেই আরো বিল্ডয়াপ করি, এবং রকমারির মত আরো প্রতিষ্টান যারা বইয়ের পাশা পাশি অন্যান্য প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করছেন, তাদের থেকে আমাদের রকমারি অনেক এগিয়ে।


রকমারির কঠিন ধাপ

কার্যক্রম শুরুর প্রথমধাপে রকমারির সবচেয়ে বড় বাধা ছিলো প্রকাশনীগুলোর সাথে কলাব্রেশন করা, কেননা বেশিরভাগ প্রকাশনীগুলোই ধারনা করেছিলো প্রতিষ্ঠানটি সুধুমাত্র পরবর্তীমাসের জন্য বই মেলা উপলক্ষ্যেই কার্যক্রম শুরু করেছে। যার প্রেক্ষিতে রকমারি টিম, বাংলাবাজারে থাকা প্রকাশনী গুলোকে রকমারির মাধ্যমে অনলাইনে বই বিক্রির জন্য কনভেন্স করে। 




Saturday, August 6, 2022

টেন মিনিট স্কুলের ইতিহাস

টেন মিনিট স্কুলের ইতিহাস

10 Minute School বাংলাদেশের একটি লিডিং ই লার্নিং বা L-Tech প্লাটফর্ম। যাত্রার শুরু থেকেই প্রতিষ্ঠানটি অনলাইনে লাইভ ক্লাস ও ভিডিও লেকচারের মাধ্যমে ফ্রী এডুকেশন দিয়ে আসছে। একাডেমিক লেকচারের পাশাপাশি ইউনিভার্সিটি টেস্ট প্রিপারেশন, ল্যাংগুয়েজ, স্কিল ডেভেলপমেন্ট ও চাকরির প্রস্তুতি বিষয় কোর্স অফার করছে প্লাটফর্মটি। বর্তমানে ১০ মিনিট স্কুলের সোশ্যাল মিডিয়া ও অ্যাপ মিলিয়ে ১ কোটি ৫০ লক্ষেরও বেশি সাবস্ক্রাইবার রয়েছে। এছাড়াও তাদের সবগুলো চ্যানেল মিলিয়ে প্রায় ২০ হাজারটিরও বেশি ভিডিও টিউটোরিয়াল এবং প্রায় ৫০ হাজার+ কুইজের পাশাপাশি তাদের ওয়েবসাইটে ১১০০ এর ও বেশি নোট ও ১৩০০ এর ও বেশি ব্লগ রয়েছে। বর্তমানে প্রতিষ্টানটিতে প্রায় ১৬০ জন এমপ্লয় কর্মরত রয়েছে। এবং ফিউচারে তারা আরো বেশ কিছু সার্ভিস নিয়ে বাংলাদেশে LMS মার্কেটকে লিড করার পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে। 

আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে জানাবো রবি টেন মিনিট স্কুলের ইতিহাস সম্পর্কে। এবং জানাবো ১০ মিনিট স্কুলের যাত্রা নিয়ে। আশা করি সকলে অনেক মনোযোগ সহকারে আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি পরবেন। 

History of 10 Minute School


টেন মিনিট স্কুলের কথা বলতে গেলে শুরুতেই চলে আসবে আয়মান সাদিকের নাম। ৯০৯২ সালের দশরা মে সেপ্টম্বর কুমিল্লা জেলায় জন্ম গ্রহণ করেন তিনি। শিক্ষা আয়মাম জীবনে ঢাকার আদমকী ক্যান্টনমেন্ট স্কুল ও আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজে পড়াশোনা করেন। এবং ২০২১ সালে ঢাকা ইউনিভার্সিটির IBA তে ভর্তি হোন। IBA তে পড়াশোনা চলাকালীন Mentors এ ক্লাস নিতে শুরু করেন তিনি। তার পড়ানোর ধরন স্টুডেন্টরা খুব পছন্দ করতো। যা পরবর্তীতে তাকে শিক্ষকতার দিকে আরো আকৃষ্ট করে তোলে।  MENTORS এ পড়ানোর সময় আয়মান খেয়াল করে দেখলেন, বছরে প্রায় ১০-১২ লক্ষ শিক্ষার্থী এসএসসি পরিক্ষায় অংশ গ্রহণ করে থাকে কিন্তু পাবলিক ভার্সিটি গুলোতে আসার সংখ্যা মাত্র ৪০ থেকে ৫০ হাজার। 

এছাড়াও ভর্তি পরিক্ষার কোচিং সহ ILTES প্রিপারেশনসহ সব কিছু ঢাকা কেন্দ্রিক হওয়ার ফলে প্রত্যন্ত এলাকার মেধাবি শিক্ষার্থী টাকার অভাবে ঢাকায় এসে ভালো কোচিং করতে পারছেনা। ফলে মেধা থাকা সত্তেও রিমোট এরিয়ার শিক্ষার্থীরা পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধার অভাবে সরকারি বিশ্যবিদ্যালয়ের আসন নিয়ে প্রতিযোগিতা করতে পারেনা। এই সমস্যার সমাধান করার জন্য আয়মান সাদিক এমন একটি এডুকেশনাল প্লাটফর্মের কথা চিন্তা করে যেখানে ফ্রীতে দেশের যে কোন অঞ্চল থেকে যে কেউ সেম এডুকেশনের সুযোগ পাবে। 

IBA তে পরাশোনা কালীন সময়ে এ্যাকাউন্টিং সাবজেক্টের নানান সমস্যার সমাধান খুজতে গিয়ে। ইউটুবে একটি চ্যানেল খুজে পান আয়মান। ১০ মিনিট স্কুলের ইনিসিয়াল আইডিয়াটা মূলত সেখান থেকেই পান। সে থেকেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনলাইনে পাঠদানের আইডিয়াটা নিয়ে তিনি ভাবতে থাকেন। আয়মান সাদিক ভাইয়া খেয়াল করে দেখলেন IBA তে ভর্তি পরিক্ষার জন্য যে সকল বিষয় গুলো একজন শিক্ষ্যার্থীকে পরতে হয়। তার BCS থেকে শুরু করে SAT, GRE, GMAT, BANK এমনকি সরকারি বেসরকারি চাকরির পরিক্ষা গুলোতেও বেশ কাজে লাগে । এই বিষয় গুলো নিয়েই একটি মোকয়াপ তৈরি করেন তিনি এবং সেখান থেকেই মূলত ১০ মিনিট স্কুলের যাত্রা শুরু হয়। 

তার এই মোকাপটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করলেও তাদের কাছেও বেশ পছন্দ হলে তিনি ১০ মিনিট স্কুলের একটি ওয়েবসাইট বানানোর সিদ্ধান্ত নেয়। 


১০ মিনিট স্কুল ওয়েবসাইট


১০ মিনিট স্কুলের ইনিসিয়াল ইনভেস্টমেন্ট আয়মান সাদিক ভাইয়া নিজেই যোগান দেয়। কোচিং এর ক্লাস নেওয়া থেকে শুরু করে টিউশন থেকে আয় কৃত অর্থ ১০ মিনিট স্কুলের ইনিশিয়াল ফান্ডিং হিসেবে গড়ে তোলে। শুরু দিকে আয়মান ওয়েবসাইটটি বানাতে গিয়ে বেশ কয়েকবার সমস্যার মুখে পড়লেও আশা হারায়নি! শেষ পর্যন্ত বুয়েটের এক ছোট ভাই (Abyad Raied) কে সাথে নিয়ে নিজেরাই ওয়েবসাইটটি বানানোর কাজ শুরু করে। ততদিনে IBA এতে ভর্তি হওয়া নতুন ব্যাচ থেকে নয় জনের একটি টিমকে ইংরেজী, গণিত, এনালাইটিক্স বিষয় টিমটি সেট করে ৯ জনেরই কুইজ করার দায়িদ্ব দেন তিনি। 

পরবর্তি বছর ২০১৫ সালের ১০ মে ওয়েবসাইটটি লঞ্চ করার কথা থাকলেও টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে সেদিনি পুরো কন্টেন্ট ইরেজ হয়ে যায়। যার প্রেক্ষিতে লন্স ডেটলাইন পিছিয়ে সে মাসের ১৭ তারিখে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে ১৭ মে লঞ্চ করার পর ২৫ মিনিটের মাথায় আবারও টেকনিক্যাল সমস্যা দেখা দেয়। ফলস্রুতিতে নতুন কোন আর ডেট না দিয়ে পুরো টিম ওয়েবসাইটটি রিকভার করার জন্য কাজ করে। সে বছরের আগষ্ট মাসের ১২ তারিখ টেন মিনিট স্কুলে তাদের ইউটুব চ্যানেলটি লঞ্চ করে। ইউটুব চ্যানেলে তাদের প্রথম ভিডিওটি ছিলো "One Formula To Rule Them All!" 


Saturday, July 9, 2022

পলাশীর যুদ্ধের কারণ কি ছিলো?

পলাশীর যুদ্ধের কারণ কি ছিলো?

পলাশীর যুদ্ধের বেশকিছু কারণ বিদ্যমান ছিল। এ কারণগুলো আজকের এই আর্টিকেলে আমি শেয়ার করবো। 

পলাশীর যুদ্ধে অনেক কারণ ছিলো, নিম্নে আমি সব গুলো কারণ পর্যায় ক্রমে উল্যেখ করছি। 


প্রথম কারণ

সিরাজ যখন মসনদে বসেন তখন প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী অন্য ইউরোপীয় বণিকগণ উপঢৌকনসহ তাকে অভিনন্দন জানায়, কিন্তু ইংরেজি বণিকরা তা করেনি। এ স্বীকৃত রীতি উপেক্ষা করায় নবাবের প্রতি অসম্মান করা হয়। এতে সিরাজ আপমানিত বোধ করেন ক্ষুব্দ হন।


দ্বিতীয় কারণ

বাণিজ্য শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ইংরেজরা ব্যাক্তিগত ব্যাবসায়ে অবাধে ❝দস্তক❞ ব্যাবহার শুরু করলে এদেশীয় ব্যাবসায়ীরা অত্যান্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নবাব বাণিজ্য শর্ত মেনে চলার নির্দেশ প্রদান করলে ইংরেজরা তা অমান্য করে। ফলে নবাব ইংরেজদের প্রতি ক্ষুব্দ হয়ে উঠেন।


তৃতীয় কারণ

ইংরেজরা নবাব আলীবর্দী খানের সময় বাণিজ্য করার অনুমতি পেলেও দুর্গ নির্মাণ করার অনুমতি পায়নি। কিন্তু সিরাজের রাজত্বকালে দাক্ষিণাত্যের যুদ্ধের অজুহাতে ইংরেজরা কলকাতায় এবং ফরাসিরা চন্দননগরে দুর্গ নির্মাণ শুরু করলে সিরাজ তাদের দুর্গ নির্মাণ বন্ধ করতে আদেশ দেন। এ আদেশ ফরাসিরা মান্য করলেও ইংরেজরা তা অমান্য করে। এজন্য নবাব তাদের অপর অত্যান্ত ক্ষুব্দ হন।


চতুর্থ কারণ 

ইংরেজরা নবাব সিরাজউদ্দৌলার সাথে সন্ধির যাবতীয় শর্র ভঙ্গ করে জনসাধারণের ওপর অত্যাচার শুরু করে ও নবাবকে কর প্রদানে অস্বীকৃতি জানায়। ফলে নবাবের সঙ্গে ইংরেজদের সম্পর্কে অবনতি ঘটে।


পঞ্চম কারণ

নবাব সিরাজ-উদ-দৌলাকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য তার বিরুদ্ধে ষরযন্ত্র করেছিলেন তার খালা ঘসেটি বেগম এবং আরেক খালা মায়মুনার পুত্র পুর্ণিয়ার বিদ্রোহী শাসক শওকত জং। এতে নবাব ইংরেজদের ওপর অসুন্তুষ্ট হন।


ষষ্ট কারণ

নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার খালা ঘসেটি বেগমের পক্ষ অবলম্বনকারী রাজা রাজবল্লভের পুত্র কৃষ্ণদাস ও তার পরিবার প্রচুর ধনদৌলতসহ কলকাতায় পালিয়ে গিয়ে ইংরেজদের কাছে আশ্রয় গ্রহণ করে। কৃষ্ণদাসকে নবাব সরাসরি তার নিকট সমর্পণের জন্য নারায়ণ দাসকে দূত হিসেবে ইংরেজদের কাছে পাঠান। কিন্তু ইংরেজ গভর্নর ড্রেক নবাবের দূতকে কলকাতা থেকে অপমানিত করে বের করে দেন এবং কৃষ্ণদাসকে ফেরত পাঠাতে অস্বীকার করেন। ইংরেজদের এসব আচরণে নবাব অত্যান্ত ক্ষুব্দ হন।

১৭৫৬ খ্রিষ্টাব্দে নবাব ইংরেজদের ধৃষ্টতায় অতিষ্ঠ হয়ে তাদের শাস্তি দেওয়ার জন্য ৪ জুন এক বিরাত সৈনিকবাহীনি নিয়ে কলকাতা অভিমুখে যাত্রা করেন। পথিমধ্যে নবাব কাশিমবাজারের ইংরেজ কুঠি দখল করেন। নবাবের এ অতর্কিত আক্রমণে বীত হয়ে গভর্নর ড্রেক ও তার সঙ্গীরা ফোর্ট ইউলিয়াম ছেড়ে ফুলতা নামক এক স্থানে আশ্রয় নেয়। ফলে সহজেই নবাব কলকাতা দখল করেন ও আলীবর্দী খানের নামানুসারে এর নাম রাখেন 'আলীনগর'। ১৭৫৬ খ্রীষ্টাব্দের ২০ জুন মি.হলওয়েল ও তার সঙ্গীরা আত্মসমর্পণে বাধ্য হয়।  আত্মসমর্পণের পএ কোনো ইংরেজের ওপর অত্যাচার করা হয়নি। অথচ হলওয়েল মুক্তি পেয়ে মিথ্যা প্রচারণা চালায় যে, নবাবের আদেশে ১৪৬ জন ইংরেজ বন্দিকে ১৮ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১৪.১০ ফুট প্রস্তবিশিষ্ট ছোট একটি কক্ষে রাখা হয়েছিল। জুন মাসের প্রচন্ড গরমে এদের মধ্যে ১২৩ জন শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মা-রা যায়। বাকি ২৩ জন কোনো রকএ বেঁচে যায়। হলওয়েল কর্তৃক প্রচারিত এ কাহিনি ইতিহাসে 'অন্ধরুপ হত্যা' নামে পরিচিত। অন্ধরুপ হত্যা কাহিনির পিছনে কোনো ঐতিহাসিক সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায় না। ইংরেজদেরকে নবাবের বিরুদ্ধে উত্তেজিত করাই ছিল এ কল্পিত কাহিনির উদ্দ্যেশ্য।

নবাব সিরাজউদ্দৌলা কলকাতা অধিকার করার পর সেনাপতি মানিক চাঁদকে কলকাতা রক্ষার দায়িত্বে রেখে রাজধানী মুর্শিদাবাদ ফিরে যান। ইতোমধ্যে অন্ধরুপ হত্যা কাহিনি এবং নবাব কর্তৃক কলকাতা দখলের সংবাদ মাদ্রাজের পৌঁছালে ইংরেজ সেনাপতি ওয়াটসনবো রবার্ট ক্লাইভ মানিক চাঁদের নামমাত্র প্রতিরোধ ভেঙ্গে কলকাতা পুনরায় দখল করেন। নবাব চারদিকে ষড়যন্ত্রের বেড়াজাল লক্ষা করে ইংরেজদের সাথে এ অবস্থায় এক অপমানজনক সন্ধি করতে বাধ্য হন। এ সন্ধিই বিখ্যাত 'আলীনগিরের সন্ধী' নামে খ্যাত। এ সন্ধির সর্তানুসারে নবাব দিল্লির সম্রাট কর্তৃক ইংরেজদের প্রদত্ত বাণিজ্য সুযোগ সুবিধা, যুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতি প্রদান, টাকশাল নির্মাণ এবং দুর্গ সংস্কার করার অনুমতি প্রদান করতে বাধ্য হন। কিন্তু উচ্চাবিলাষী ক্লাইভ এরপরও নবাবের ওপর সন্তুষ্ট হতে পারলেন না। বাংলায় ইংরেজী কোম্পানির স্বার্থ সংরক্ষনের জন্য তিনি সিরাজকে সংহাসনচ্যুত করার লক্ষ্যে কিছু স্বার্থান্বেষি, ক্ষমতালোভী কুচক্রী, দেশদ্রোহী ও বিশ্বাসঘাতক ব্যাক্তিদের সমন্মে গঠিত একটি শক্তিশালী দলের সাথে গোপনে ষড়যন্ত্র শুরু করলেন। 

এই ছিলো যুদ্ধ কেন হয়েছিলো তার মূল ঘটনা। ধন্যবাদ সবাইকে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য।