Showing posts with label Finance & Bank. Show all posts
Showing posts with label Finance & Bank. Show all posts

Friday, December 1, 2023

নগদ - নগদের ইতিহাস

নগদ - নগদের ইতিহাস

গত দশকে বাংলাদেশের ফাইনানসিয়াল সেক্টরে সব চেয়ে বেশি গ্রোথ দেখা সেক্টরটি হচ্ছে MFS বা মোবাইল ফাইনান্স সেক্টর। ২০১০-১১ সালে ট্রাস্ট ব্যাংক মোবাইল মানি, ডাচ বাংলা মোবাইল ব্যাংকিং ও বিকাশের মাধ্যমে বাংলাদেশে মোবাইল ফাইনাসিয়াল সার্ভিস শুরু হয়। 

নগদ

এর মধ্য গত দশকে বিকাশ দেশ ব্যাপী মার্কেটিং ক্যাম্পিং ও দেশব্যাপী বিশৃত এজেন্ট নেটওয়ার্কের মাধ্যমে  সর্বচ্চ মার্কেট শেয়ার অর্জন করে নিয়ে এই সেক্টরটির শীর্ষ অবস্থান দখল করে নিয়েছে। এরই মধ্যে বাংলাদেশের MFS সেক্টরে আরেকটি গুরুত্বপূর্ন প্লেয়ার হিসেবে বাংলাদেশ বাংলাদেশের পোস্ট অফিস এক্ট ২০১০ এর অধীনে। ২০১৯ সালের ২৬ মার্চ কার্যক্রম শুরু করে নগদ। কার্যক্রম শুরু করার ১ বছরের আগেই ২ কোটি মান্থলি একটিভ ইউজার এবং সাড়ে ৩ কোটি ইউজার নিয়ে ৩০% মার্কেট শেয়ার নিয়ে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম MFS Provider এখন নগদ। 

নগদ হলো আমাদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার একটি অপরিহার্য অংশ। Nagad অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অনলাইন থেকে যে কোন পণ্য কিনতে এবং অনলাইন পেমেন্ট করা, সরকারি কর, এবং অন্যান্য অর্থনৈতিক লেনদেন করতে সাহায্য করে। এবং এটা সম্পুর্ন হাতের মুঠোয়, একটি মোবাইল দিয়ে সহজেই নগদে লেনদেন করা যায়।

নগদের কথা যদি একটি ভেঙ্গে বলি নগদ বলতে নগদ অর্থকে বোঝায়, অর্থাৎ হ্যান্ড ক্যাশ, তবে হ্যান্ড ক্যাশে অনেক ঝামেলা আছে! যেমন চুরি হওয়ার বা হারিয়ে যাওয়ার ভয় থাকে। আর এই সমস্যার সমাধানের জন্য, মোবাইল ব্যাংকিং একটি জনপ্রিয় বিকল্প হয়ে উঠছে। মোবাইল ব্যাংকিং হলো এমন একটি  Service যার মাধ্যমে গ্রাহক তাদের মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অর্থ লেনদেন করতে পারে।

আর এর ধারাবাহিকতায় "নগদ" নামক একটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে লঞ্চ করা হয় যা বর্তমানে দেশের দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ মোবাইল ফাইনান্সিয়াল সার্ভিস প্রোভাইডার।

নগদের ইতিহাস

মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ইতিহাস খুব একটা পুরাতন কাহিনি না, এটা সম্পুর্ন নতুন একটি ইতিহাস। এটি প্রথম ২০০৩ সালে ফিলিপাইনে চালু হয়েছিল। এরপর থেকে, এটি বিশ্বের অনেক দেশে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

বাংলাদেশে, মোবাইল ব্যাংকিং ২০১০ সালে চালু হয়। বর্তমানে, বাংলাদেশে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ব্যবহার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সুবিধা

মোবাইল ব্যাংকিংয়ের অনেক সুবিধা রয়েছে। এটি নগদ. অর্থ বা হ্যান্ড ক্যাশ ব অসুবিধাগুলি দূর করে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের কিছু সুবিধা হলো:সহজে ব্যবহার করা যায়: মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করা খুবই সহজ। এটি ব্যবহারের জন্য কোন বিশেষ দক্ষতার প্রয়োজন হয় না।
নিরাপদ: মোবাইল ব্যাংকিং লেনদেনগুলি খুবই নিরাপদ। এগুলি উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থা দ্বারা সুরক্ষিত থাকে।
সুবিধাজনক: মোবাইল ব্যাংকিং লেনদেনগুলি খুবই সুবিধাজনক। এগুলি যেকোনো সময় যেকোনো জায়গা থেকে করা যায়।

মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ভবিষ্যৎ

মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল বলে মনে করা হয়। এটি নগদ ব্যবহারের প্রবণতাকে হ্রাস করতে পারে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির সাথে সাথে, এটি আমাদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করা হয়।

মোবাইল ব্যাংকিং এবং বাংলাদেশের অর্থনীতি

বাংলাদেশে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে, বাংলাদেশের দরিদ্র এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ সহজেই অর্থনৈতিক সেবা গ্রহণ করতে পারছে। এটি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করছে।

মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে, বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যও সহজ হচ্ছে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে, ব্যবসায়ীরা তাদের গ্রাহকদের কাছে সহজেই অর্থ প্রদান এবং গ্রহণ করতে পারছে। এটি ব্যবসায়ীদের ব্যয় কমাতে এবং তাদের কার্যক্রম আরও কার্যকর করতে সহায়তা করছে।

নগদ এর ইতিহাস

নগদ হলো বাংলাদেশের ডাক বিভাগের একটি মোবাইল ফোন ভিত্তিক ডিজিটাল আর্থিক সেবা। এটি ২০১৭ সালের ২৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিয়ে চালু হয়। নগদ এর প্রতিষ্ঠাতা হলো থার্ড ওয়েভ টেকনোলজি লিমিটেড।

নগদ এর ইতিহাস শুরু হয় ২০১২ সালে। তখন বাংলাদেশ ডাক বিভাগ মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করার পরিকল্পনা নিচ্ছিল। ২০১৫ সালে, বাংলাদেশ ডাক বিভাগ থার্ড ওয়েভ টেকনোলজি লিমিটেডকে নগদ সেবা চালু করার জন্য চুক্তি দেয়।

নগদ এর প্রথম নাম ছিল "পোস্টাল ক্যাশ কার্ড"। ২০১৭ সালে, নগদ এর নাম পরিবর্তন করে "নগদ" রাখা হয়।

নগদ দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করে। ২০১৯ সালে, নগদ এর গ্রাহক সংখ্যা ছিল ৫ কোটির বেশি। ২০২৩ সালে, নগদ এর গ্রাহক সংখ্যা ১০ কোটির বেশি।

নগদ এর জনপ্রিয়তার কারণ হলো এর সহজ ব্যবহার, নিরাপত্তা এবং সুবিধাজনক ফি। নগদ এর মাধ্যমে, গ্রাহকরা যেকোনো সময় যেকোনো জায়গা থেকে অর্থ লেনদেন করতে পারে।

নগদ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। নগদ এর মাধ্যমে, বাংলাদেশের দরিদ্র এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ সহজেই অর্থনৈতিক সেবা গ্রহণ করতে পারছে। এটি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করছে।

নগদ এর সুবিধা

নগদ এর অনেক সুবিধা রয়েছে। নগদ এর কিছু সুবিধা হলো:সহজে ব্যবহার করা যায়: নগদ ব্যবহার করা খুবই সহজ। এটি ব্যবহারের জন্য কোন বিশেষ দক্ষতার প্রয়োজন হয় না।
নিরাপদ: নগদ লেনদেনগুলি খুবই নিরাপদ। এগুলি উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থা দ্বারা সুরক্ষিত থাকে।
সুবিধাজনক: নগদ লেনদেনগুলি খুবই সুবিধাজনক। এগুলি যেকোনো সময় যেকোনো জায়গা থেকে করা যায়।

নগদ এর সেবা

নগদ গ্রাহকদের বিভিন্ন ধরনের সেবা প্রদান করে। নগদ এর কিছু সেবা হলো:অর্থ স্থানান্তর: নগদ এর মাধ্যমে, গ্রাহকরা যেকোনো নগদ গ্রাহকের কাছে অর্থ স্থানান্তর করতে পারে।
বিল পরিশোধ: নগদ এর মাধ্যমে, গ্রাহকরা বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি, টেলিফোন, ইত্যাদি বিল পরিশোধ করতে পারে।

পণ্য এবং পরিষেবা কেনাকাটা: নগদ এর মাধ্যমে, গ্রাহকরা পণ্য এবং পরিষেবা কেনাকাটা করতে পারে।
অর্থ জমা এবং উত্তোলন: নগদ এর মাধ্যমে, গ্রাহকরা অর্থ জমা এবং উত্তোলন করতে পারে।

নগদ বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় মোবাইল ব্যাংকিং সেবা। এটি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

নগদ এর ভবিষ্যৎ

নগদ এর ভবিষ্যৎ উজ্বল বলে মনে করা হয়। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির সাথে সাথে, নগদ এর ব্যবহারও বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করা হয়।

নগদ এর ভবিষ্যতে আরও বেশি নতুন সেবা চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়াও, নগদ এর আউটলেট এবং এজেন্টের সংখ্যা বৃদ্ধির পরিকল্পনা রয়েছে।

Sunday, November 13, 2022

সুইস ব্যাংকে সবাই কেন টাকা রাখে? ধনী ব্যাক্তিরা Swiss Bank এ টাকা কেন রাখে?

সুইস ব্যাংকে সবাই কেন টাকা রাখে? ধনী ব্যাক্তিরা Swiss Bank এ টাকা কেন রাখে?

সুইজারল্যান্ড বলতেই সবার আগে সেইখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সুর্য, বাহাড়, কিং রিসোর্ট, চকলেট এবং সুইটস চিজের পাশাপাশি সুইস ব্যাংকের (Swiss Bank) কথা মাথায় আসে। দেশটির ব্যাংকিং আইনে সিকিউরিটিজ ও প্রাইভেসির কল্যাণে পৃথিবীর বড় বড় পলিটিশিয়ান, বিজনেস ম্যান থেকে শুরু করে মানি লন্ডারার, ড্রাগ ব্যাবসায়ী ও ক্রিমিনালরাও তাদের বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার সুইস ব্যাংকে জমা রাখছে।

সুইজ ব্যাংকে কেন টাকা রাখবেন?

২০২১ সাল পর্যন্ত সুইস ব্যাংকে মোট ডিপোজিটকৃত অর্থের পরিমাণ ২ ট্রিলিয়ন সুইস ফ্রাংকের বেশি! যেখানে ফরেন ক্লায়েন্টের ডিপোজিট কৃত অ্যামাউন্টের পরিমান ১.৫ ট্রিলিয়ন সুইস ফ্রাংক। ২০২১ সালে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশী ক্লায়েন্টের জমা কৃত অর্থের পরিমাণ ছিলো ৮৭১.১ মিলিয়ন সুইস ফ্রাংক বা ৮,২৬৫ কোটি টাকা। যা ২০২০ সালেও ছিলো ৫,৩৩৩ কোটি টাকা।

মূলত সর্বচ্চ লেভেলের প্রাইভেসি এন্ড সিকিউরিটির কারণে মানুষ তাদের সৎ ও অসৎ উপায়ে অর্জিত অর্থ সুইস ব্যাংক গুলোতে জমা রাখতে পছন্দ করেন।

আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদেরকে জানাবো সুইস ব্যাংক কি? ও কিভাবে ক্লায়েন্টের সিকিউরিটি এনসিউর করা হয়। 

সুইস ব্যাংক বলতে আদতে কোন একটি নির্দিষ্ট  ব্যাংককে বোঝায়না। বরং সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকিং আইনের অধীনে অপারেট করা ২৪০ টিরও বেশি ব্যাংকে একত্রে সুইস ব্যাংক হিসেবে কনসিডার করা হয়। 

১৬০০ শতকের দিকে সুইজারল্যান্ডে প্রথমবারের ব্যাংকিং ব্যাবস্থা গড়ে উঠে। ১৭১৩ সালে গ্রান্ড কাউন্সিল অফ জেনেবা (Grand Counsil of Geneba) তাদের আপার ক্লাস সিটিজেন ফিনান্সিয়াল ইনফরমেশন ডিসক্লোজ না করার সিদ্বান্ত নেন। যার অরেক্ষিতে এয়াজা রানী থেকে শুরু করে সেখানকার বড় ব্যাবসায়ী ও লর্ডরা তাদের স্বর্ণ ও অন্যান্য দামী জহরত জমা রাখার জন্য একটি নির্দিষ্ট নিরাপদ স্তানের সন্ধান করলে ততকালীন সুইস ব্যাংক গুলো তাদের এই সুবিধা দিতে শুরু করে। 

১৮০০ সালের শুরু দিকে গ্রান্ড কাউনসিল অফ জেনেবার ক্লোজ এসোসিয়েশন ফ্রান্সের অনেক ব্যাংকাররাই সুইজারল্যান্ডে বসবাস করতে শুরু করে।  অন্যদিকে সুইজারল্যান্ড ও জার্মানি প্রতিবেশী রাষ্ট্র হওয়ার সুবাদে ১৮৬৫ সালে সুইজারল্যান্ডে ক্রেডিট সুইজ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা হয়। যেখানে মোট ক্যাপিটালের অর্ধেক জার্মানি থেকে অর্থায়ন করা হয়েছিলো। 

১৯১২ সালে সুইজ ব্যাংকারস এসোসিয়েশন (Swiss Bangkers Association) বা SBA নামে সুইজারল্যান্ডে প্রথম ব্যাংকিং এসোসিয়েশন গড়ে উঠে। 

সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকিং সিস্টেম মূলত প্রাইভেসি, পলিটিক্যাল ইস্টাবিলিটি এবং অর্থনৈতিক ঐক্যমতের উপর টিকে রয়েছে। ১৯৩০ এর দশকে গ্রেড ডিপ্রেশন চলাকালীন ২ জন সুইজ ব্যাংকার তাদেএ ক্লায়েন্টের ব্যাংক ইনফরমেশন ফাস করে দেয়! যার প্রেক্ষিতে পরবর্তীতে যেনো এ ধরনের ঘটনা না ঘটে এর জন্য ফ্রান্স ও জার্মান্দের চাপে পরে ১৯৩৪ সালে সুইজারল্যান্ডে ব্যাংকিং আইন পাস করানো হয় যা সুইজ ব্যাংকিং আর্ট (Swiss Bangking Art) হিসেবেও পরিচিত।

অবশ্য বর্তমান সময়ে সুইজাল্যান্ডের ব্যাংকগুলো সকল প্রকার এক্টভিটি সুপার ভিশনের জন্য ২০০৯ সালে Federal Office of Provate Insurance (FOPI), Swiss Federal Banking Commission (SFBC), Anti-Money Laundering Control Authority (AMLCA) এই ৩টি প্রতিষ্ঠানকে মার্জ (একসাথে) করে ফিনান্সিয়াল মার্কেট সুপার ভাইজর অথরিটি (Financial Market Supervisor Authority) বা finma প্রতিষ্ঠা করা হয়! 

সুইজ ব্যাংকিং এর একটি আর্টিকেল ৪৭ এর অধীনে ক্লায়েন্টের ব্যাক্তি ব্যাতীত তার ব্যাংকিং এর কোন ইনফরমেশন সুইজারল্যান্ডের কোন ব্যাংক কিংবা ব্যাংকের কোন ব্যাক্তি অন্য দেশের সরকার বা ট্যাক্স অথরিটির সাথে ডিস-ক্লোজ করতে পারবেনা। আইনটি ভঙ্গ করলে উক্ত ব্যাংক কর্মকর্তাকে ৫ বছরের কারাদন্ডিত করারও বিধান রয়েছে। এর পাশাপাশি কোন ক্লায়েন্টের বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল এক্টিভিটির অভিযোগ সামনে আসলে যদি সেই অপরাধীর সাথে তার সরাসরি সম্পর্কিত প্রমাণ হয় তবেই সুধুমাত্র তার ব্যাংকিং ইনফরমেশন ডিস-ক্লোজ করা যাবে বলেও আর্টিকেলটিতে উল্যেখ করা হয়। 



Friday, July 29, 2022

নতুনদের জন্য ব্লগার ইনকাম নিয়ে কিছু কথা

নতুনদের জন্য ব্লগার ইনকাম নিয়ে কিছু কথা

অনেকে এই সেক্টর নতুন এসে কিছু দিন কাজ করার করে এডসেন্স এপ্রুভ পায় কিংবা অনেক এর আগেই ঝড়ে পড়ে। এর একমাত্র কারণ হতাশা,প্রোপার নলেজ না থাকা এবং ধৈর্যের অভাব।


অনেকেই হতাশ হয়ে সেফ ক্লিক এর দিকে ঝুঁকছে। আমার মতে সেফ ক্লিক করে ইনকাম করা আর ভিক্ষা করা সেম। সেফ ক্লিককে এক কথায় ভিক্ষা করা এবং চুরি করা বলে। সেফ ক্লিক করেন ইনকাম কিছু সময়ের জন্য। গুগল অনেক আপডেট হয়েছে তাই হতাশ হয়ে অবৈধ পন্থা অনুসরণ না করে সঠিক উপায়ে লাইফটাইম ইনকাম করুন। 


অনেকই দেখি সেফ ক্লিক করে ইনকাম করার টেকনিক শিখায় তাদেরকে বলি ভাই চুরির দালালি না করে।অর্গানিক ভাবে ইনকাম করার পরমর্শ দেন। পারলে মানুষের উপকার করেন সঠিক পদ দেখিয়ে কিন্তু ক্ষতি কইরেন না কারো। 

সর্বশেষ বলি, যারা ব্লগিং করে সফল হতে চান আগে কাজটিকে ভালো করে শিখুন তার পর নিয়মিত কাজ করে যান আপনি আপনার কষ্টের ফল অবশ্যই পাবেন হয়তো ২ দিন আগে অথবা ২ দিন পরে।কষ্ট করলে অবশ্যই সফল হবেন কষ্ট না করলে তো আর আপনাকে কিউ ফ্রিতে টাকা দিবে না। চোরের দালালদের কথায় নিজের ক্ষতি নিজে কইরেন না।

আমার এই সাইটে আমি আজকের তারিখ অনুয়ায়ী প্রায় ৮ মাস ধরে কাজ করছি। ইনকাম হয়েছে এই পর্যন্ত মাত্র ১.৭৫$ এই টাকায় খাটনির দামও উঠেনি তবে আমার বিশ্বাস পরিশ্রম করলে সফলতা আসবেই।

Saturday, July 23, 2022

মোবাইলের দাম কিভাবে নির্ধারন করা হয়?

মোবাইলের দাম কিভাবে নির্ধারন করা হয়?

স্যামসাং, সিমফোনি, হুয়াওয়ে, সাওমি, ভিভোর মত নামিদামি মোবাইল কোম্পানি গুলো সব ধরনের ক্রেতাদের কথা মাথায় রেখে সাধারণত তাদের ফোনগুলো বাজারজাত করে থাকে। একদম কম দাম থেকে মধ্যম দামে এবং সবদিক থেকে উন্নত বেশি দামেও মোবাইল ফোন তারা বাজার জাত করে থাকে। তবে অ্যাপল কোম্পানি একটু আলাদা! তারা সবসময় অভিজাত শ্রেণিকে লখ্য করেই বেশি দামে স্মার্টফোন তৈরি করে থাকে। আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে জানানো হবে একটি মোবাইলের দাম কিভাবে নির্ধারণ করা হয়। 

একটি স্মার্টফোন তৈরির আগে প্রথমেই এটির ফিচার ও ডিজাইন কেমন হবে সেই সমস্ত বিষয়গুলো জানার জন্য প্রচুর গবেষণার প্রয়োজন হয়। এজন্য মোবাইল কোম্পানিগুলোর রিচার্স এন্ড ডেভেলপমেন্ট টিম রয়েছে এখানে সদস্যদের উপর কোম্পানি গুলোর আলাভাবে টাকা বিনিয়োগ করতে হয়। তবে একটি স্মার্টফোনের মুল্য সবিচেয়ে বেশি নির্ভর করে এর যন্ত্রাংশের উপর। এ অংশগুলো আলাদা ভাবে তৈরি করতে হয়ে থাকে। পরবর্তীতে এসব আলাদা যন্ত্রাংশগুলো এক সাথে যুক্ত করা হয়।

মোবাইল ফোনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ এর ক্যামেরা। সনি এবং স্যামসাং বাজারের অধিকাংশ ক্যামেরার সেন্সর তৈরি করে থাকে। একটি স্মার্টফোন তৈরির ক্ষেত্রে তৈরিকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে সেন্সর কিনে মিতে হয়। এছাড়াল মোবাইল ফোনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এর ডিস্পলে, ডিস্পলেও মোবাইল কোম্পানিগুলো নিজেরা তৈরি করেনা বরং তৃতীয় কোন কোম্পানির কাছ থেকে কিনে নেয়। এছাড়াও র‍্যাম, স্টোরেজ, প্রসেসর, ব্যাটারি, টাচস্ক্রিন ইত্যাদি সার্কিটবোর্ডসহ অন্যান্য অনেক যন্ত্রাংশ স্মার্টফোন কোম্পানিগুলো অন্য কোন প্রস্তুত কৃত কোম্পানির কাছ থেকে কিনে নেয়।

স্মার্ট উৎপাদনের সময় একটি বিশাল অংক ব্যায় হয় এর যন্ত্রাংশ ক্রয়ের খ্যাতে। যন্ত্রাংশ ক্রয়ের পর কোম্পানিগুল নিজস্ব ফ্যাক্টরিতে এসব যন্ত্র দিয়ে স্মার্টফোন তৈরি হয়ে থাকে। ফ্যাক্টরি চালানো এবং ফোন উৎপাদন করার জন্য যেই কর্মচারী রাখা হয় তাদের পেছনে উৎপাদনের একটি অংশ খরচ হয়। অধিকাংশ স্মার্টফোন উৎপাদন কারীর কারখানা স্বাধারনত চীনে প্রতিষ্টা করা হয়েছে। কারন সেখানে তুলনামূলক কম মুজুরি দিয়ে দক্ষ শ্রমিক সহজে পাওয়া সম্ভব। এছাড়াও বর্তমান কোম্পানি গুপো ভারতেও স্মার্টফোন তৈরিতে আগ্রহী হয়েছে। 

নতুন কোন স্মার্টফোন বাজারে আনার পুর্বে প্রমশন করতে হয়। বিজ্ঞাপন করার জন্য বিভিন্ন জনপ্রিয় তারকাদের পেছনে খরচ করতে হয় টাকা। এছাড়াও কোম্পানি গুলো গভার্মেন্ট ভ্যাট/টাক্স দেওয়া লাগে।   এতসব খরচের সাথে একটি নির্দিষ্ট অংকের মুনাফা যোগ করে মূলত স্মার্টফোনের মূল্য নির্ধারন করা হয়। 

তবে সব কোম্পানির নির্দিষ্ট একটি বিক্রয় লখ্য থাকে। তারা সেই লখ্য অর্জন করতে পারলে তাদের উতপাদন খরচ ও পর্যাপ্ত মুনাফা  লাভ করে। তাই লখ্য অর্জন করার পর। অধিকাংশ মোবাইলের ফোনের দাম উল্যেখ যোগ্য ভাবে হ্রাস পায়। 



Wednesday, June 22, 2022

ব্রাক ব্যাংক নিয়ে এলো ফ্রিল্যান্সার ম্যাট্রিক্স অ্যাকাউন্ট

ব্রাক ব্যাংক নিয়ে এলো ফ্রিল্যান্সার ম্যাট্রিক্স অ্যাকাউন্ট

আর থাকছেনা Payonner / Bkash এ পেমেন্ট আনার ঝামেলা। ফ্রিল্যান্সারদের জন্য ব্রাক ব্যাংক নিয়ে এসেছে Freelancer Matrix Account. ইতি মধ্যে বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ফ্রিল্যান্সারের আবির্ভাব ঘটছে কিন্তু পেমেন্ট কিভাবে রিসিভ করবে এটা নিয়ে সবাই রয়েছে অনেক ঝামেলায়। তাদের কথা মাথায় রেখেই ব্রাক ব্যাংকের এই উদ্যোগ। ফ্রিল্যান্সার ম্যাট্রিক্স অ্যাকাউন্টে রয়েছে অনেক সুবিধা যা আমি নিম্নে কিছু উল্যেখ করছি।
  • ডলার মার্কেটপ্লেস থেকে সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে আসবে। 
  • ডলার রেট পাওয়া যাবে ৩/৪ টাকা বেশি
  • অ্যাকাউন্টে জমা থাকবে আনলিমিটেড ডলার।
  • এন্ডোর্সমেন্ট এর কোন ঝামেলা থাকবে না।
  • রয়েছে সরকার ঘোষিত বিশেষ প্রণোদনা।
  • আস্থা অ্যাপ ব্যাবহার করে ঘরে বসেই পাচ্ছেন ২৪/৭ ব্যাংকিং সুবিধা। 
এছাড়াও রয়েছে আরও অনেক সুযোগ সুবিধা যেমনঃ- ক্রেডিট কার্ড, লোন যা ফ্রিল্যান্সারদের জন্য অন্য কোন ব্যাংক করছেনা। এবং কোন চার্জ ছাড়াই অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে। অ্যাকাউন্ট ওপেন করতে নিচে দেওয়া ব্রাকের কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করুন। অথবা অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।

Rima Sultana
Assistant Relationship Officer
BRAC Bank Limited, Head Office
Mobile: 01707566222



Tuesday, June 21, 2022

বাংলাদেশের কঞ্জুমার ইলেক্ট্রনিক্স মার্কেট সাইজ কত বড়?

বাংলাদেশের কঞ্জুমার ইলেক্ট্রনিক্স মার্কেট সাইজ কত বড়?

বর্তমানে বাংলাদেশের কঞ্জুমার ইলেক্ট্রনিক্স সেক্টরটির মার্কেট সাইজ ২.২৮ বিলিয়ন ডলার, যা ২০৩০ সাল নাগাদ ১০ বিলিয়ন ডলারে পৌছাবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। বাংলাদেশের অন্যতম এই গ্রোয়িং সেক্টটরটি ইতোমধ্যে অনেকাংশেই সয়ংসম্পুর্ন হয়ে উঠেছে। একসময় সতভাগ আমদানি নির্ভর বাংলাদেশের কঞ্জুমার ইলেক্ট্রনিক্স সেক্টরে বর্তমানে বেশীরভাগ প্রোডাক্ট ক্যাটাগরির লিডার বাংলাদেশের লোকাল ব্রান্ড গুলো। বিশেষ করে লোকাল ব্রান্ড ওয়ালটন, এই সেক্টরের প্রায় প্রতিটি ক্যাটাগরিতেই এককভাবে মার্কেট লিড করছে। যার প্রেক্ষিতে, লোকাল মার্কেটের ডিমান্ড মেটাতে এবং লোকাল ব্রান্ডগুলোর এধরনের সাফল্য ইন্টারন্যাশনাল ব্রান্ডগুলোও লোকালি ম্যানুফ্যাকচারিং শুরু করেছে। তবে এই সেক্টরের মেজর প্রোডাক্ট ক্যাটাগরির দিকে প্রতিটি সেক্টরেই লোকাল ম্যানুফ্যাকচারারদে অধিপত্ব সবচাইতে বেশি।


Sunday, June 19, 2022

ট্রানজেকশন প্রসেসিং সিস্টেম

ট্রানজেকশন প্রসেসিং সিস্টেম

ট্রানজেকশন প্রসেসিং সিস্টেম হচ্ছে একটি ইনফরমেশন সিস্টেম যা দৈনন্দিন ব্যাবসায়িক কার্যক্রম থেকে প্রাপ্ত ডেটা করায়ত্ব এবং প্রক্রিয়াকরণ করে।
ট্রানজেকশন প্রসেসিং সিস্টেমের কার্যাবলী প্রতিষ্ঠানের অপারেশন পর্যাইয়ে সম্পাদায়িত হয়। ব্যাবসাকে সফলভাবে পরিচালনার জন্য এই সিস্টেমে দৈনন্দিন কার্য সম্পাদন এবং সম্পাদিত কাজের দৈনন্দিন হিসাব রাখা হয়। যেমন- বিক্রয় নিবন্ধীকরণ সিস্টেম, হোটেল নিবন্ধীকরণ সিস্টেম ইত্যাদি। অপারেশন পর্যায়ে উৎস, কাজ এবং ফলাফল পুর্ব নির্ধারিত এবং সুনিয়ন্ত্রিত। যেমন একজন নিম্নপর্যায়ের পরিদর্শক ক্রেতাকে কি পরিমাণ কমিশন দেবে তা পুর্ব নির্ধারিত থাকে। নিচে একটি ট্রানজেকশন প্রসেসিং সিস্তেম দেখানো হল যা অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের একাউন্টিং ট্রানজেকশন প্রসেসে দেখা যায়।
একটি পেরোল সিস্টেমে প্রত্যেক কর্মচারীর বেতনের ইনফরমেশন এবং তাদের নাম, আইডি, ঠিকানা ইত্যাদি ইনফরমেশন একটি লগ ফাইলে রাখা হয় এবং এই ইনফরমেশন গুলো নানা ভাবে প্রসেসিং এর মাধ্যমে বিভিন্ন রিপোর্ট আকারে সেই প্রতিষ্ঠানে উচ্চ পর্যায়ে প্রেরণ করা হজয়। এই ট্রানজেকশন প্রসেসিং সিস্টেম তাৎক্ষনিক ডেটার উপর ভিত্তি করেও তৈরি হতে পারে।

Sunday, June 12, 2022

ব্যাংকিং এবং অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানে ডাটাবেজের ব্যাবহার

ব্যাংকিং এবং অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানে ডাটাবেজের ব্যাবহার

আধুনিক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যুগে ব্যাংক বা অর্থনৈতিক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ব্যাপকভাবে ডাটাবেজ ব্যাবহার করা হয়। উন্নত বিশ্বে কোন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান বর্তমানে ডেটাবেজের বাস্তবায়ন ছাড়া পরিচালিত হতে পারে বলে কল্পনাও করা যায়না। বর্তনানে আমাদের দেশের প্রায় সকল বেসরকারি ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও কিছু সরকারি ব্যাংক অনলাইন ব্যাংকিং চালু করেছে। অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মূল হচ্ছে ডেটাবেজ মেনেজমেন্ট সিস্টেম। অন লাইন ব্যাংকিং অবস্থায় একজন অ্যাকাউন্ট হোল্ডার যা কোন শাখা থেকে ATM বুথের মাধ্যমে টাকা উত্তলোন করতে পারছে। ইন্টারনেট বা মোবাইলের মাধ্যমে অ্যাকাউন্টের তথ্য জানতে পারছে। ডেটাবেজ সিস্টেমের ফলেই ব্যাংক তার গ্রাহকদের এ সকল সুবিধা প্রধান করতে সমর্থ হচ্ছে। 

ব্যাংকিং এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ডেটাবেজ এর ব্যাবহারঃ-

  1. পার্সোনাল ইনফর্মেশন সিস্টেমঃ প্রতিষ্ঠানে কর্মচারিদের প্রয়োজনীয় তথ্যবলি (যেমন- নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, জন্ম তারিখ, বয়স, জাতীয় পরিচিতি নম্বর ইত্যাদি) সংরক্ষনের জন্য এ ধরনের ডেটাবেজ ব্যাবহার করা হয়।
  2. কাস্টমার ইনফর্মেশন সিস্টেমঃ কাস্টমার বা গ্রাহকের প্রয়োজনীয় তথ্যাবলি (যেমন- নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, জন্ম তারিখ, বয়স, জাতীয় পরিচিতি নাম্বর, অ্যাকাউন্ট ধরন ইত্যাদি) সংরক্ষনের জন্যা ব্যাংকিং ডেটাবেজ ব্যাবহার করা হয়।
  3. ব্যাংকিং ইনফরমেশন সিস্টেমঃ গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট বিবরনী যেমন - ব্যালেন্স, লোন বিবরণী, লেনদেন, ক্রেডিট কার্ড এর বিবরণী ইত্যাদি।
  4. কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ইনফরমেশন সিস্টেমঃ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন ব্যাংকের গ্রাহকদের তথ্য সংরক্ষন করে থাকে। যাতে কোন ব্যাক্তি একই সময় বিভিন্ন ব্যাংক অর্থ লগ্নীকারক ও অর্থ ব্যাবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান থেকে বিভিন্ন পরিচয়ে লোন বা ঋন নিতে না পারে। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে নির্বাচন কমিশনের একটি সমযোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় যার ফলে নির্বাচন কমিশনের জাতীয় ডেটাবেজ বাংলাদশ ব্যাংক ব্যাবহার করতে পারবে। 
  5. শেয়ার বাজার বা স্টক এক্সচেঞ্জঃ বর্তমান সময়ে কোন স্টক এক্সচেঞ্জই ডেটাবেজের ব্যাবহার ছাড়া পরিচালিত হতে পারেনা। বিভিন্ন অর্থ লগ্নীকারক ও অর্থ ব্যাবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান শেয়ার কেনা-বেচার হিসাব, মূল্য উঠা-নামার তথ্য সহ সকল উপাত্ত সংরক্ষনের জন্য ডেটাবেজ ব্যাবহার করেন।

অর্থনীতি নিতে এই পোস্টে আরো অনেক কিছু লিখা বাকি আছে যা খুব দ্রুত লিখা হবে। তবে এর জন্য প্রয়োজন আপনাদের অনুপ্রেরনা। সুতরাং অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। ধন্যবাদ। 


Sunday, May 8, 2022

সুইফট কি? সুইফট কিভাবে কাজ করে? ব্যাংকের সুইফট কোড What is SWIFT?

সুইফট কি? সুইফট কিভাবে কাজ করে? ব্যাংকের সুইফট কোড What is SWIFT?

Society for Worldwide Interbank Financial Telecommunication বা SWIFT মূলত বিশ্বব্যাপি বহুল ব্যাবহৃত গ্লোবাল ব্যাংকিং সিস্টেম যা দিয়ে প্রতিদিন বিশ্বব্যাপী প্রায় ৫ ট্রিলয়ন ডলার ট্রান্সফার করা হয়। বর্তমানে ২০০+ টি দেশের ১১,০০০ এরও বেশি ইন্সটিটিউশনে সুইফট (Swift) ব্যাবহার করা হচ্ছে। মূলত বিভিন্ন দেশের সেন্ট্রাল ও কমার্সিয়াল ব্যাংকগুলোর পাশাপাশি, ফরেন এক্সচেঞ্জ, কারেন্সি ব্রকার, নন ব্যাংক কমার্সিয়াল ইন্সটিটিউট এবং এসেট মেনেজমেন্ট কোম্পানি গুলোর মত যে কোন ব্যাংকে ইন্টারন্যাশনাল ট্রান্সিকশন করতে সুইফট (SWIFT) ব্যাবহার করতে হয়। 

সুইফট এর ইতিহাস

১৯৭৩ সালে বিশ্বব্যাপী ক্রসবর্ডার পেমেন্ট জরীত সমস্যার সমাধানের লক্ষ্যে বিশ্বের ১৫ টি দেশের ২৩৯ টি ব্যাংকে একত্রিত হয়ে Society for Worldwide Interbank Financial Telecommunication বা SWIFT (সুইফট) প্রতিষ্ঠা করে। তখন থেকে সুইফটের হেডকোয়ার্টার ছিলো বেলজিয়ামে অবস্থিত। ১৯৭৭ সাল থেকে টেলিক্স টেকনোলজিকে রিপ্লেস করে পুরতরে সিফটের কার্যক্রম শুরু হয়ে যায়। ততদিনে বিশ্বের মোট ২২ টি দেশে ও ৫১৮ টি ইন্সটিটিউশন সুইফট (SWIFT) ব্যাবহারের মাধ্যমে যুক্ত হয়। যাত্রার শুরুতে এই সুইফট খুব দ্রুত মার্কেট কেপচার করতে সক্ষম হয় এবং গ্লোবাল ও ইন্টারন্যাশনাল ট্রান্সজিকশন দেওয়া শুরু করে এবং এর কারণে বিশ্বব্যাপী গ্লোবাল পার্টনার হয়ে উঠে সুইফট। সুইফটের ওয়েবসাইটের তথ্যসুত্রে সুধু মাত্র ২০২২ সালে ৩৮৫ মিলিয়ন ফিনান্সিয়াল মেসেজিংসহ বছরের প্রথম ২ মাসে মেসেজের পরিমান ছিলো ১.২৬ বিলিয়ন। 

সুইফট কী? 

SWIFT হচ্ছে ফিনান্সিয়াল ট্রান্সজেকশনে ব্যাবহৃত একটি গ্লোবাল মেসেজিং সিস্টেম। ইন্টারন্যাশনালি ফিনান্সিয়াল ট্রানজিশনের ক্ষেত্রে, ট্রানজিশনের সাথে রিলেটেড ব্যাংক বা অন্য যে কোন ধরনের ফিনান্সিয়াল ইন্সটিটিউটের মধ্যে যে নেটওয়ার্কের মাধ্যমে মেসেজিং হয় তাই মূলত সুইফট নেটওয়ার্ক। দ্রুত এবং নিরাপদে মানি ট্রান্সফারের সুবিধার কারনে যাত্রার শুরু থেকেই বিশ্বব্যাপী বিশাল জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সক্ষম হয় সুইফট। মিডিয়া নিউজের একটি তথ্যে সুত্রে ২০১৫ সালে সুইফটের মাধ্যমে প্রতিদিন ট্রানজিকশনের পরিমাণ যেখানে ছিলো ৩২ মিলিয়ন সেখানে ২০২১ সাল নাগাদ তা বেড়ে দাঁড়ায় ৪২ মিলিয়ন ডলার।  

সুইফট কিভাবে কাজ করে?

অর্থ লেনদেনকে আরো সিকিউর ও রিলায়েবল করতে ব্যাংক ও ফিনান্সিয়াল ইন্সটিটিউটগুলো সুইফট পেমেন্ট সিস্টেম ব্যাবহার করে।

সুইফট কোড কাকে বলে?

সুইফটের মাধ্যমে আসলে সরাসরি টাকা পাঠানো হয়না। সুইফট নেটওয়ার্ক IBAN (International Bank Account Number) বা BIC (Bank Identifier Codes) কে স্টান্ডার্ড করেছে। এই ২ টি ফরমেটের মধ্যে BIC Codes সুইফট নিজে Own করে এবং যার মাধ্যমে বাংক আইডেন্টিফাই করে ইন্সটান্ট পেমেন্ট সম্পুর্ন করতে পারে। মূলত সুইফট থেকে প্রতিটি ব্যাবহারকারী বাংককে ৮ অথবা ১১ ক্যারেক্টরের ইউনিক কোড এ্যাসাইন করা হয় যাকে সুইফট কোড বলে। 

এই সুইফট কোডের মাধ্যমে একটি ব্যাংক অন্য সুইফট কোডের অ্যাকাউন্টের সাথে লেনদেনের জন্য অর্ডার জেনেরেট করে সুইফট নেটওয়ার্কে মেসেজ পাঠায়। 




Monday, April 4, 2022

ইনভেস্ট ছাড়া ব্যাবসা করার উপায়

ইনভেস্ট ছাড়া ব্যাবসা করার উপায়

আসসালামু আলাইকুম, আজকের এই আর্টিকেল সবার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আজকের এই আর্টিকেল যদি মনযোগ দিয়ে পরেন তাহলে আমি গ্যারান্টি দিতে পারি আপনিও সফল হতে পারবেন।

বন্ধুরা আজকের এই আর্টিকেলে আমি মূলত কথা বলবো ইনভেস্ট ছাড়া অনলাইন ব্যাবসা কিভাবে করা যায়। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা টাকার জন্য ব্যাবসা করতে পারছেন না। তাদের কথা মাথায় রেখেই আজকের এই আর্টিকেল। আজকে আমি ইনভেস্ট ছাড়া ব্যাবসার সকল টেকনিক শেয়ার করবো! তাহলে চলুন সবাই মনোযোগ সহকারে আর্টিকেলটি পড়ি।

ইনভেস্ট ছাড়া ব্যাবসা বিষিয়টা শুনে হাসির মনে হতে পারে! কিন্তু এটা সম্ভব। 

ব্যাবসা করতে গেলে প্রথমেই মাথায় চিন্তা আসে কিসের ব্যাবসা করবেন? এবং কিভাবে করবেন। প্রোডাক্ট কই পাবেন? মার্কেটিং কিভাবে করবেন? 

কিসের ব্যাবসা করবেন?

ব্যাবসা করতে হলে অবশ্যই নির্দিষ্ট একটি পণ্যের প্রয়োজন। এখন আপনি কোন পণ্য নিয়ে ব্যাবসা কিরবেন এটা একান্ত আপনার ব্যাক্তিগত ব্যাপার, তবে হ্যা-আমি সাজেস্ট করবো পোশাক বা জুতা নিয়ে ব্যাবসা করার জন্য! কারন এই 2 টা প্রোডাক্ট মার্কেটে অনেক ডিমান্ড। 

এখন কথা হলো যদি পোশাক নিয়ে ব্যাবসা করেন তাহলে পোশাক কোথায় পাবো এবং টাকা ছাড়া কে দিবে?

আপনি যদি ব্যাবসা করতে চান তাও টাকা ছাড়া এবং অনলাইনে তাহলে অবশ্যই আপনাকে ঢাকা নিউ মার্কেট আসতে হবে। এবং এখানে আসলে আপনি বুঝতে পারবেন বাংলাদেশের ই-কমার্স সেক্টরের ৮০% প্রোডাক্ট সব এখান থেকেই ডেলিভারি দেওয়া হয়। মানে বুঝতেই পারছেন আপনি এখানে আসা মানে অনলাইন সেক্টর অনেক ভালোভাবে বুঝতে ও শিখতে পারবেন আর সেই সাথে আপনি টাকা ছাড়া ব্যাবসাও করতে পারবেন। 

টাকা ছাড়া প্রোডাক্ট কিভাবে? 

টাকা ছাড়া প্রোডাক্ট নেবার জন্য আপনাকে অবশ্যই বিশস্ত হতে হবে এবং আপনার একটা ভালো পরিচয় থাকা লাগবে যা দেখে মানুষজন আপনাকে বিশ্বাস করবে। তারপর আপনি প্রোডাক্ট টাকা ছাড়া মেনেজ করতে পারবেন। টাকা ছাড়া প্রডাক্ট মেনেজ করার জন্য নিউ মার্কেট বিশ্বাস বিল্ডার্স সব থেকে বিসস্থ একটি প্লেস।

এখান থেকে টাকা ছাড়া প্রোডাক্ট নেবার জন্য আপনাকে বিভিন্ন দোকানে বা শোরুমে জেতে হবে। এবং তাদের সাথে বেশ ভালোভাবে কমিউনিকেশন করা লাগবে। এবং তাদের থেকে আপনি রিসেলারের হিসেবে কথা বলবেন এবং মনে রাখবেন আপনার কোথায় দম থাকা লাগবে। রিসেলার হিসেবে তাদের থেকে প্রোডাক্টের ছবি চাইবেন দাম জিজ্ঞাসা করবেন, কন্ডীশন কেমন কি সব ডিটেইলস নিবেন, সাইজ, কালারসহ আরো অন্যান্য পেসিফিকেশন জেনে নিবেন। এর পর আপনি মার্কেট এনালাইসিস করবেন কয়েকজনকে জিজ্ঞাসা করবেন যে ভাই এইগুলো এখন কেমন চলে? যদি বলে ভালো তাহলে জিজ্ঞাসা করুন আছে আপনাদের কাছে? থাকলে দেখি কয়েকটা দেখানত আমি অনলাইনে সেল করি। 
এবার যদি দেখেন তাদের কাছে নেই তাহলে বুঝবেন তারা ফাউ ঢপ দিচ্ছে যে এইগুলো চলছে। এইভাবেই কয়েকটা দোকানে যাচাই করুন এবং সর্বোশেষ যদি আপনার মনে হয় যে আপনি বিক্রি করতে পারবেন তখন প্রোডাক্টির ছবি তাদের থেকে নিন নিয়ে বলুন এটা নিয়ে আমি কাজ করবো অর্ডার নিলে দিতে পারবেন? যদি বলে হ্যা তাহলেত আর কোন কোথাই নেই। 

তাদের সকল নাম্বার যেমন হোয়াট'স অ্যাপ, ইমু এইগুলোর নাম্বর নিন এবং তাদের সাথে রেগুলার একটা যোগাযোগ রাখুন এবং এইভাবে আরো অনেক দোকান ঘুরে বিভিন্ন রকমের ড্রেস বা অন্য প্রোডাক্ট মেনেজ করুন।  (প্রোডাক্ট যখন অর্ডার হবে তখন সেই দোকান থেকে নিয়ে যাবেন। যদি সম্পর্ক ভালো গরতে পারেন ১০০% টাকা ছাড়াই দিবে)

ফেসবুক মার্কেটিং

  1. মার্কেটিং করার জন্য প্রয়োজন একটি পেইজ যেখানে প্রতিদিন পোস্ট করবেন। এবং সেই একটি ফেসবুক গ্রুপ। মার্কেটিং এর জন্য বিভিন্ন অনলাইন সেলিং পেইজে যুক্ত হবেন এবং সেখানে আপনার প্রোডাক্ট নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরবেন এবং সেল করার জন্য পোস্ট দিবেন। আপনারর প্রোডাক্টের ছবি আপনার পার্সোনাল প্রোফাইলের স্টোরিতে শেয়ার করুন, ইনশাল্লাহ ফ্রেন্ড লিস্টের কারো না কারো যে কোন সময় পছন্দ হয়ে যেতেও পারে এবং অর্ডার দিতে পারে। 

  2. এরপর বিভিন্ন সেলারের সাথে কথা বলা যা সহজেই বায়-সেল গ্রুপ্ব বা পেইজে পেয়ে যাবেন। 

  3. বেইজ বুস্ট করা, ২-৩ টা প্রোডাক্ট সেল হবার পর ৫০০ টাকা দিয়ে অর্থাৎ 5 Doller দিয় পেইজের যে কোন একটি পোস্ট বুস্ট দিন যেই প্রোডাক্টটা বিক্রি করতে চাচ্ছেন। পেইজ বুস্ট করাতে অবশ্যই অভিজ্ঞ কাউকে দিইয়ে করাবেন। বুস্ট করতে যেহুতু ডুয়াল কারেন্সির কার্ড লাগে সেহুতু আপনার যদি থেকে থাকে আপনি নিজেই বুস্ট করতে পারবেন। অন্যথায় কারো দিয়ে করিয়ে নিবেন।  আমাকে দিয়ে বুস্ট করাতে চাইলে আমার পেইজে এসএমএস দিন।