ইনভেস্ট ছাড়া ব্যাবসা করার উপায়

আসসালামু আলাইকুম, আজকের এই আর্টিকেল সবার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আজকের এই আর্টিকেল যদি মনযোগ দিয়ে পরেন তাহলে আমি গ্যারান্টি দিতে পারি আপনিও সফল হতে পারবেন।

বন্ধুরা আজকের এই আর্টিকেলে আমি মূলত কথা বলবো ইনভেস্ট ছাড়া অনলাইন ব্যাবসা কিভাবে করা যায়। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা টাকার জন্য ব্যাবসা করতে পারছেন না। তাদের কথা মাথায় রেখেই আজকের এই আর্টিকেল। আজকে আমি ইনভেস্ট ছাড়া ব্যাবসার সকল টেকনিক শেয়ার করবো! তাহলে চলুন সবাই মনোযোগ সহকারে আর্টিকেলটি পড়ি।

ইনভেস্ট ছাড়া ব্যাবসা বিষিয়টা শুনে হাসির মনে হতে পারে! কিন্তু এটা সম্ভব। 

ব্যাবসা করতে গেলে প্রথমেই মাথায় চিন্তা আসে কিসের ব্যাবসা করবেন? এবং কিভাবে করবেন। প্রোডাক্ট কই পাবেন? মার্কেটিং কিভাবে করবেন? 

কিসের ব্যাবসা করবেন?

ব্যাবসা করতে হলে অবশ্যই নির্দিষ্ট একটি পণ্যের প্রয়োজন। এখন আপনি কোন পণ্য নিয়ে ব্যাবসা কিরবেন এটা একান্ত আপনার ব্যাক্তিগত ব্যাপার, তবে হ্যা-আমি সাজেস্ট করবো পোশাক বা জুতা নিয়ে ব্যাবসা করার জন্য! কারন এই 2 টা প্রোডাক্ট মার্কেটে অনেক ডিমান্ড। 

এখন কথা হলো যদি পোশাক নিয়ে ব্যাবসা করেন তাহলে পোশাক কোথায় পাবো এবং টাকা ছাড়া কে দিবে?

আপনি যদি ব্যাবসা করতে চান তাও টাকা ছাড়া এবং অনলাইনে তাহলে অবশ্যই আপনাকে ঢাকা নিউ মার্কেট আসতে হবে। এবং এখানে আসলে আপনি বুঝতে পারবেন বাংলাদেশের ই-কমার্স সেক্টরের ৮০% প্রোডাক্ট সব এখান থেকেই ডেলিভারি দেওয়া হয়। মানে বুঝতেই পারছেন আপনি এখানে আসা মানে অনলাইন সেক্টর অনেক ভালোভাবে বুঝতে ও শিখতে পারবেন আর সেই সাথে আপনি টাকা ছাড়া ব্যাবসাও করতে পারবেন। 

টাকা ছাড়া প্রোডাক্ট কিভাবে? 

টাকা ছাড়া প্রোডাক্ট নেবার জন্য আপনাকে অবশ্যই বিশস্ত হতে হবে এবং আপনার একটা ভালো পরিচয় থাকা লাগবে যা দেখে মানুষজন আপনাকে বিশ্বাস করবে। তারপর আপনি প্রোডাক্ট টাকা ছাড়া মেনেজ করতে পারবেন। টাকা ছাড়া প্রডাক্ট মেনেজ করার জন্য নিউ মার্কেট বিশ্বাস বিল্ডার্স সব থেকে বিসস্থ একটি প্লেস।

এখান থেকে টাকা ছাড়া প্রোডাক্ট নেবার জন্য আপনাকে বিভিন্ন দোকানে বা শোরুমে জেতে হবে। এবং তাদের সাথে বেশ ভালোভাবে কমিউনিকেশন করা লাগবে। এবং তাদের থেকে আপনি রিসেলারের হিসেবে কথা বলবেন এবং মনে রাখবেন আপনার কোথায় দম থাকা লাগবে। রিসেলার হিসেবে তাদের থেকে প্রোডাক্টের ছবি চাইবেন দাম জিজ্ঞাসা করবেন, কন্ডীশন কেমন কি সব ডিটেইলস নিবেন, সাইজ, কালারসহ আরো অন্যান্য পেসিফিকেশন জেনে নিবেন। এর পর আপনি মার্কেট এনালাইসিস করবেন কয়েকজনকে জিজ্ঞাসা করবেন যে ভাই এইগুলো এখন কেমন চলে? যদি বলে ভালো তাহলে জিজ্ঞাসা করুন আছে আপনাদের কাছে? থাকলে দেখি কয়েকটা দেখানত আমি অনলাইনে সেল করি। 
এবার যদি দেখেন তাদের কাছে নেই তাহলে বুঝবেন তারা ফাউ ঢপ দিচ্ছে যে এইগুলো চলছে। এইভাবেই কয়েকটা দোকানে যাচাই করুন এবং সর্বোশেষ যদি আপনার মনে হয় যে আপনি বিক্রি করতে পারবেন তখন প্রোডাক্টির ছবি তাদের থেকে নিন নিয়ে বলুন এটা নিয়ে আমি কাজ করবো অর্ডার নিলে দিতে পারবেন? যদি বলে হ্যা তাহলেত আর কোন কোথাই নেই। 

তাদের সকল নাম্বার যেমন হোয়াট'স অ্যাপ, ইমু এইগুলোর নাম্বর নিন এবং তাদের সাথে রেগুলার একটা যোগাযোগ রাখুন এবং এইভাবে আরো অনেক দোকান ঘুরে বিভিন্ন রকমের ড্রেস বা অন্য প্রোডাক্ট মেনেজ করুন।  (প্রোডাক্ট যখন অর্ডার হবে তখন সেই দোকান থেকে নিয়ে যাবেন। যদি সম্পর্ক ভালো গরতে পারেন ১০০% টাকা ছাড়াই দিবে)

ফেসবুক মার্কেটিং

  1. মার্কেটিং করার জন্য প্রয়োজন একটি পেইজ যেখানে প্রতিদিন পোস্ট করবেন। এবং সেই একটি ফেসবুক গ্রুপ। মার্কেটিং এর জন্য বিভিন্ন অনলাইন সেলিং পেইজে যুক্ত হবেন এবং সেখানে আপনার প্রোডাক্ট নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরবেন এবং সেল করার জন্য পোস্ট দিবেন। আপনারর প্রোডাক্টের ছবি আপনার পার্সোনাল প্রোফাইলের স্টোরিতে শেয়ার করুন, ইনশাল্লাহ ফ্রেন্ড লিস্টের কারো না কারো যে কোন সময় পছন্দ হয়ে যেতেও পারে এবং অর্ডার দিতে পারে। 

  2. এরপর বিভিন্ন সেলারের সাথে কথা বলা যা সহজেই বায়-সেল গ্রুপ্ব বা পেইজে পেয়ে যাবেন। 

  3. বেইজ বুস্ট করা, ২-৩ টা প্রোডাক্ট সেল হবার পর ৫০০ টাকা দিয়ে অর্থাৎ 5 Doller দিয় পেইজের যে কোন একটি পোস্ট বুস্ট দিন যেই প্রোডাক্টটা বিক্রি করতে চাচ্ছেন। পেইজ বুস্ট করাতে অবশ্যই অভিজ্ঞ কাউকে দিইয়ে করাবেন। বুস্ট করতে যেহুতু ডুয়াল কারেন্সির কার্ড লাগে সেহুতু আপনার যদি থেকে থাকে আপনি নিজেই বুস্ট করতে পারবেন। অন্যথায় কারো দিয়ে করিয়ে নিবেন।  আমাকে দিয়ে বুস্ট করাতে চাইলে আমার পেইজে এসএমএস দিন। 





Next Post Previous Post