মোবাইলের দাম কিভাবে নির্ধারন করা হয়?

স্যামসাং, সিমফোনি, হুয়াওয়ে, সাওমি, ভিভোর মত নামিদামি মোবাইল কোম্পানি গুলো সব ধরনের ক্রেতাদের কথা মাথায় রেখে সাধারণত তাদের ফোনগুলো বাজারজাত করে থাকে। একদম কম দাম থেকে মধ্যম দামে এবং সবদিক থেকে উন্নত বেশি দামেও মোবাইল ফোন তারা বাজার জাত করে থাকে। তবে অ্যাপল কোম্পানি একটু আলাদা! তারা সবসময় অভিজাত শ্রেণিকে লখ্য করেই বেশি দামে স্মার্টফোন তৈরি করে থাকে। আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে জানানো হবে একটি মোবাইলের দাম কিভাবে নির্ধারণ করা হয়। 

একটি স্মার্টফোন তৈরির আগে প্রথমেই এটির ফিচার ও ডিজাইন কেমন হবে সেই সমস্ত বিষয়গুলো জানার জন্য প্রচুর গবেষণার প্রয়োজন হয়। এজন্য মোবাইল কোম্পানিগুলোর রিচার্স এন্ড ডেভেলপমেন্ট টিম রয়েছে এখানে সদস্যদের উপর কোম্পানি গুলোর আলাভাবে টাকা বিনিয়োগ করতে হয়। তবে একটি স্মার্টফোনের মুল্য সবিচেয়ে বেশি নির্ভর করে এর যন্ত্রাংশের উপর। এ অংশগুলো আলাদা ভাবে তৈরি করতে হয়ে থাকে। পরবর্তীতে এসব আলাদা যন্ত্রাংশগুলো এক সাথে যুক্ত করা হয়।

মোবাইল ফোনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ এর ক্যামেরা। সনি এবং স্যামসাং বাজারের অধিকাংশ ক্যামেরার সেন্সর তৈরি করে থাকে। একটি স্মার্টফোন তৈরির ক্ষেত্রে তৈরিকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে সেন্সর কিনে মিতে হয়। এছাড়াল মোবাইল ফোনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এর ডিস্পলে, ডিস্পলেও মোবাইল কোম্পানিগুলো নিজেরা তৈরি করেনা বরং তৃতীয় কোন কোম্পানির কাছ থেকে কিনে নেয়। এছাড়াও র‍্যাম, স্টোরেজ, প্রসেসর, ব্যাটারি, টাচস্ক্রিন ইত্যাদি সার্কিটবোর্ডসহ অন্যান্য অনেক যন্ত্রাংশ স্মার্টফোন কোম্পানিগুলো অন্য কোন প্রস্তুত কৃত কোম্পানির কাছ থেকে কিনে নেয়।

স্মার্ট উৎপাদনের সময় একটি বিশাল অংক ব্যায় হয় এর যন্ত্রাংশ ক্রয়ের খ্যাতে। যন্ত্রাংশ ক্রয়ের পর কোম্পানিগুল নিজস্ব ফ্যাক্টরিতে এসব যন্ত্র দিয়ে স্মার্টফোন তৈরি হয়ে থাকে। ফ্যাক্টরি চালানো এবং ফোন উৎপাদন করার জন্য যেই কর্মচারী রাখা হয় তাদের পেছনে উৎপাদনের একটি অংশ খরচ হয়। অধিকাংশ স্মার্টফোন উৎপাদন কারীর কারখানা স্বাধারনত চীনে প্রতিষ্টা করা হয়েছে। কারন সেখানে তুলনামূলক কম মুজুরি দিয়ে দক্ষ শ্রমিক সহজে পাওয়া সম্ভব। এছাড়াও বর্তমান কোম্পানি গুপো ভারতেও স্মার্টফোন তৈরিতে আগ্রহী হয়েছে। 

নতুন কোন স্মার্টফোন বাজারে আনার পুর্বে প্রমশন করতে হয়। বিজ্ঞাপন করার জন্য বিভিন্ন জনপ্রিয় তারকাদের পেছনে খরচ করতে হয় টাকা। এছাড়াও কোম্পানি গুলো গভার্মেন্ট ভ্যাট/টাক্স দেওয়া লাগে।   এতসব খরচের সাথে একটি নির্দিষ্ট অংকের মুনাফা যোগ করে মূলত স্মার্টফোনের মূল্য নির্ধারন করা হয়। 

তবে সব কোম্পানির নির্দিষ্ট একটি বিক্রয় লখ্য থাকে। তারা সেই লখ্য অর্জন করতে পারলে তাদের উতপাদন খরচ ও পর্যাপ্ত মুনাফা  লাভ করে। তাই লখ্য অর্জন করার পর। অধিকাংশ মোবাইলের ফোনের দাম উল্যেখ যোগ্য ভাবে হ্রাস পায়। 



Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.