মোবাইলে ভিডিও এডিটিং এর জন্য সব থেকে ভালো অ্যাপস কোনটা? Best Video Editing Apps in Mobile

যারা মোবাইল দিয়ে প্রফেশনাল ভিডিও এডিটিং করতে চান আজকের ভিডিওটি তাদের জন্য। বর্তমান সময়ে সকলের কাছেই রয়েছে স্মার্টফোন। অনেকেই এই মোবাইল দিয়েই ফেসবুকের জন্য স্ট্যাটাস ভিডিও বা বিভিন্ন ভিডিও এডিটিং এবং অনেকেই ইউটিউব করতে চান। তাদের জন্য আজকে জানাবো মোবাইল দিয়ে Video Editing Best Apps সম্পর্কে। সবাই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

ভিডিও এডিটিং অ্যাপস

ভিডিও এডিটিং অ্যাপস এটা যদি গুগল প্লে স্টোরে লিখে সার্চ দেওয়া হয়? "Video Editing Apps" তাহলে রেজাল্ট আসবে নিচে দেখানো স্ক্রিনশটের মত।

এবার আপনি নিশ্চয় কনফিউশনে পরে যাবেন যে কোনটা ইন্সটল দিলে ভালো হবে? বা কেউ একজন বলছে অমক অ্যাপসটা ভালো। 

Video Editing Apps

একটি ভালো অ্যাপস সিলেক্ট করার জন্য আপনাকে আগে বুঝতে হবে কোন ধরনের ভিডিওর জন্য কোন ধরনের অ্যাপস প্রয়োজন?

ভিডিও স্বাধারন মরা জেইগুলো এডিট করি এইগুলো ২ প্রকার একটি হলো মাল্টি লেয়ার ভিডিও, অন্যটি হলো সিঙ্গেল লেয়ার বা স্ট্যাটাস ভিডিও। 

আপনি যদি ইউটিউবের জন্য একটি ভালো ভিডিও এডিট করতে যান? সেইক্ষেত্রে প্রয়োজন হবে মাল্টি লেয়ার ভিডিও এডিটিং অ্যাপস। 

মাল্টি লেয়ার ভিডিও এডিটিং অ্যাপসের তালিকা-
  1. কাইনমাস্টার
  2. ভিএন
  3. ক্যাপকাট
সিংগেল লেয়ারের জন্য অসংখ্য অ্যাপস রয়েছে এর মধ্যে InshoT best video editing apps.
এর বাহিরেও আরো অনেক থাকতে পারে, তবে এই ৩ টা বেস্ট এবং ৫ স্টার রেটিং পাওয়া অ্যাপস তবে এর মধ্যে ল্যান্ডস্কেপ হচ্ছে কাইনমাস্টার এবং VN, CapCut হলো পোর্টরেইট। 

ইউটিউব ভিডিও বা অধিক লেয়ার ভিডিওর জন্য কাইনমাস্টার বেস্ট অ্যাপস তবে এটা পেইড ইভেন ভালো পারফর্মেন্স ডিভাইস প্রয়োজন। 

এবারে জানাজাক কাইনমাস্টার ভিএন ও ক্যাপ কাটের ফিচার সম্পর্কে।

Kinemaster Video Editing Apps

কাইনমাস্টার এমন একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন যেটার আমি মনে করি কোন বিকল্প কিছু নেই। এই অ্যাপসে এত এত ফিচার, ইফেক্ট, ট্রানজিশন, অভারলেসহ আরো অনেক কিছু রয়েছে। সাধারণ কোন অ্যাপসে এত ট্রানজিশন, ইফেক্ট ও অভারলে থাকেনা। 

গুগল এক্রোস ওয়েব থেকে বের করে একটি রেজাল্ট প্রদর্শনে এই কাইনমাস্টার অ্যাপটি সবার প্রথমেই আছে। তবে বিভিন্ন ওয়েবসাইট বিভিন্ন ব্যাখ্যা নিয়ে 1-5 এর মধ্যে কাইনমাস্টার অ্যাপটি রাখে। 

কাইনমাস্টার এত জনপ্রিয় কেন?

কাইনমাস্টার এত জনপ্রিয় কেন? কাইনমাস্টার জনপ্রিয় হওয়ার পিছনে বেশ কয়েকটি কারণ আছে। যার মধ্যে এই ৭ টি অন্যতম।
  1. User interface
  2. Importing Media
  3. Editing Tools
  4. Layers & Media
  5. Audio Editing
  6. Voice Recording
  7. Exporting & Sharing
অনেকেই আছেন যারা মোবাইল ভিডিও এডিটিং এ একদম নতুন। তাদের জন্য এই ৭ টি বিষয় আমি ক্লিয়ার করে নিচে ব্যাখ্যা করছি।

1. Kinemaster User Interface

প্রথমেই কথা বলা যাক কাইনমাস্টারের ইউজার ইন্টারফেস সম্পর্কে। কাইনমাস্টারের ইউজার ইন্টারফেস সম্পুর্ন রুপে ইউনিক এবং অন্য কোন অ্যাপ্সের সাথে তাদের Ui (User Interface) মিলবেনা। তাদের ইউ-আই এমন ভাবে ডিজাইন করা, যেনো একজন বিগিনার সে এডিট করার সময় তার ভিডিও ক্লিক টাইমলাইনে রেখেই এডিট করতে পারে। ঐটাতে অভারলে বসাতে পারে। In Video Overlay এ্যাড করতে পারে। এছাড়া টাইমলাইনে একটার উপর আরেকটা অবজেক্ট, মিডিয়া রেখে মাল্টি ক্লিপ্স নিয়ে খুব সহজেই এডিট করতে পারে। 

2. Kinemaster Importing Media

কাইনমাস্টার অ্যাপসে যে কোন ধরনের মিডিয়া আপনি ইমপোর্ট করতে পারেন। ছবি, ভিডিও, অডিও, স্টিকার খুব সহজে ইমপোর্ট করতে পারবেন। মিডিয়া অপশনে ক্লিক দিলে সরাসরি গ্যালারি আকারে আপনার ফোনের প্রতিটা ছবি, ভিডিওর লোকেশন ফোল্ডার আকারে দেখানো হবে এবং খুব সহজেই আপনি ইমপোর্ট করতে পারবেন। এছাড়া কোন হাই রেজুলেশন ভিডিও হলে সেটা অটোমেটিক কনভার্ট বা প্রক্সিতে ওপেন হবে। 

3. Kinemaster Editing Tools

কাইনমাস্টারের এডিটিং টুলস এক কথায় অসাধারণ। বড় বড় সফটওয়্যার দিয়ে যেই কাজ করতে ১০-২০ মিনিট লাগবে সেটা কাইনমাস্টার দিয়ে মাত্র কয়েক সেকেন্ড। কাইনমাস্টারের লে আউট বা ইউজার ইন্টারফেস সম্পুর্ম টাইমলাইনের জন্য এত সুন্দর। আর এই টাইম লাইনে আপনি যে কোন ভিডিও এনে সেটা এডিট, ট্রিম, ক্রোপ, সেটাতে টেক্সট এ্যাড, ভিজুয়াল ইফেক্ট অ্যাড করা, ট্রানজিশন সহ আরো অনেক অনেক অপশন রয়েছে এই Kinemaster Video Editing এডিটিং অ্যাপটিতে। 

4. Layers & Media

এটার লেয়ার এবং মিডিয়া অপশন নিয়েত আশা করি উপরের অপশনগুলো পড়তে পড়তে জেনেই গেছেন।😊 তারপরো এক্সপ্লেইন করে দিচ্ছি। লেয়ার এবং মিডিয়া এই 2টা মোবাইল ভিডিও অ্যাপসের ক্ষেত্রে আলাদা মিনিং করে। যেমন কম্পিউটারের প্রতিটা সফটওয়্যারের টাইমলাইন লেয়ার বেসড হয়ে থাকে। কিন্তু কাইনমাস্টার টাইমলাইন 2টা বেসড। একটি হচ্ছে লেয়ার অন্যটি হচ্ছে মিডিয়া। এখানে মিডিয়া অর্থাৎ আপনার মূল ভিডিও  যেটাকে এডিট করবেন সেটাকে বোঝানো হচ্ছে। আর লেয়ার অর্থাৎ আপনার মূল ভিডিওর উপরে যদি অন্য কোন ভিডিও বসান। যেমন- সাবস্ক্রাইব করার গ্রিন স্ক্রিন ভিডিও এ্যাড করা। বা কোন স্টিকার। এইগুলো করতে লেয়ার প্যানেল থেকে ভিডিও ইমপোর্ট করতে হবে। 

5/6 Audio Editng & Recording

এটা নিয়ে আর তেমন কিছু বলার নেই। আপনি খুব সহজেই যে কোন ভিডিওতে সরাসরি ভয়েস রেকর্ড করে বসাতে পারবেন। এবং যে কোন রেকর্ড করা ভয়েস ও গান ইত্যাদি সাউন্ড এডিট করার অপশন পেয়ে যাবেন। যদিও অডিও এডিটের জন্য অন্যান্য অ্যাপস ইউজ করতে পারেন। কারণ এটা ভিডিও এডিটিং এর জন্যই অ্যাপস্টা বানানো। 

7. Kinemaster Video Export & Shar

কাইনমাস্টার দিয়ে যে কোন ভিডিও এক্সপোর্ট করতে পারবেন। এক্সপোর্ট করার জন্য রয়েছে FPS Setting, Quality Setting এবং Resulation (px) সেটিংস। যেইগুলোর মাধ্যমে আপন নির্দিষ্টভাবে আপনার ভিডিও এক্সপোর্ট করতে পারবেন।

কাইনমাস্টার দিয়ে 4K এক্সপোর্ট করতে পারবেন। তবে এর জন্য হেভি ডিভাইস প্রয়োজন।

ভিডিও এক্সপোর্ট করে সেটা সরাসরি শেয়ার এবং গ্যালারিতে সেভ হয়ে যাবে।

কাইনমাস্টার অ্যাপস দিয়ে এডিট করা এমন একটি ভিডিওর লিংক দেওয়া হলো। ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক করুন।

ওয়াটারমার্ক ছাড়া কাইনমাস্টার ডাউনলোড 

ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন

এবার আসি ভিএন অ্যাপসের বিষয়।

VN Video Editing Apps

ভিএন খুবই পাওয়ারফুল এবং হেভি ডিভাইসে ইউজ করার মত একটি ভিডিও অ্যাপস। ভিএন এবং ক্যাপ-কাট। ধরতে গেলে ভাই ভাই, কারন এদের ইটারফেস একদম সেম। কিছুটা ভিন্যতা অবশ্যই আছে তবে সেম বলা চলে। 

VN & CapCut

VN & Capcut এই 2টা অ্যাপসই সেরা। যদি আপনি রিলস, স্টোরি এডিট করতে চান তাহলে CapCut সব থেকে বেটার। কেনমা ক্যাপকাট আপনাকে অটো সব করে দিবে। আপনি শুধু আপনার। মিডিয়া ইমপোর্ট করবেন। কিন্তু ভি এনের ক্ষেত্রে সব নিজে নিজে করতে হবে। 

Inshot 

ইনশট সব থেকে দ্রুত, ফাস্টেস্ট একটি মোবাইল ভিডিও এডিটিং অ্যাপস। এটা দিয়ে যে কোন ধরনের ভিডিও স্মুথ এডিট করা যায়। তবে এটার মিডিয়া সিংগেল লেয়ার। কিন্তু আপনি ইমেজ স্টিকারের মত জিনিসগুলো ভিডিওর উপর বসাতে পারবেন। 

অডিও ইমপোর্ট করার সময় সরাসরি ট্রিম করা এবং সরাসরি শুনতে পারবেন।

এছাড়া এই অ্যাপসে নিজের স্টিকার অ্যাড করে রেখে গ্লোবাল মিডিয়া হিসেবে ইউজ করতে পারবেন।

আমি ব্যাক্তিগত স্ট্যাটাস সহ অন্যান্য শর্ট ভিডিওর জন্য ইনশট ব্যবহার করি। তবে ক্যাপকাট করতে পারেন। ক্যাপকাট লো কনফিগ ডিভাইসে খুব স্লো কাজ করে।

শেষ কথা

আমি জেই অ্যাপস গুলোর লিস্ট দিয়েছি। বা যেই ৪ টা অ্যাপসের কথা বলেছি এছাড়াও আরো অনেক অ্যাপস রয়েছে। তবে এই ৪ টি অ্যাপস দিয়ে প্রফেশনাল ভিডিও এডিট করতে পারবেন বলে আমি মনে করি। তবে আপনি যদি ক্রিটিব হোন তাহলে যে কোন অ্যাপস দিয়েই অসাধারন ভিডিও এডিট করতে পারবেন। 

বি:দ্র: প্রতিটা অ্যাপস পেইড। তবে ভিএন এবং ক্যাপকাট ফ্রীতেই অনেক কিছু করা যায়। কিন্তু কাইনমাস্টার টাকা দিয়ে কিনে ব্যাবহার করতে হবে অন্যথায় ভিডিওতে Kinemaster Watermark থাকবে। 

আমি পার্সোনালি এই অ্যাপস গুলো ব্যবহার করে থাকি। আপনি কোন অ্যাপস ইউজ করেন? মোবাইল ভিডিও এডিটিং এর জন্য? কমেন্ট করে জানান ব্যাক্তিগত মতামত।

Next Post Previous Post