Showing posts with label Government. Show all posts
Showing posts with label Government. Show all posts

Thursday, November 9, 2023

এন আই ডি কার্ড, What is NID Card

এন আই ডি কার্ড, What is NID Card

এন আই ডি কার্ড হল বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য একটি বাধ্যতামূলক পরিচয়পত্র (National ID Card), যা ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার পর সরকারি ভাবে আপনার এই NID তৈরি করতে হয়। NID এর ফুল মিনিং হচ্ছে National ID Card যাকে শর্টকার্টে NID কার্ড বলা হয়ে থাকে। NID Card তৈরি ও সরবরাহ করাসহ এর নানান তথ্য হালনাগাদ করে থাকতো বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন, তবে ১২ জুন ২০২৩ এটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। নথিভুক্ত করণ ও আইডি কার্ড সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হল বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন।

English Queries:
nid, nid bd, nid service, nid card download, nid card, nid card chek, nid service bangladesh, nid download

এন আই ডি কার্ডের মূল উদ্দেশ্য হল বাংলাদেশী নাগরিকের পরিচয় নিশ্চিত করা। এবং এই কার্ড সরাসরি গভার্নমেন্টের প্রত্যেকটা কাজের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত তাছাড়া, ভোটার তালিকা তৈরি, সরকারি ও বেসরকারি সেবা গ্রহণ, ব্যাংকিং লেনদেন, বিদেশে ভ্রমণ ইত্যাদির সকল কাজেই এই কার্ড প্রয়োজন বা এই কার্ড থেকেই সরাসরি তথ্য নিয়ে থাকে। ১৮ বছরের নিচে বয়স হলে এই কাজগুলো জন্মনিবন্ধনের কাগজ বা স্কুল সার্টিফিকেট দিয়ে করা হয়।

NID Card

এন আই ডি কার্ডের আকার ৮৫ মিমি x ৫৪ মিমি 

এন আই ডি কার্ডে নিম্নলিখিত তথ্যগুলো থাকেঃ

  • নাগরিকের নাম
  • জন্ম তারিখ
  • লিঙ্গ
  • পিতা ও মাতার নাম
  • স্বামী/স্ত্রীর নাম (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
  • ঠিকানা
  • ছবি
  • স্বাক্ষর
  • আইডি নম্বর
এন আই ডি কার্ডের মেয়াদ ১০ বছর। মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নতুন করে আইডি কার্ড সংগ্রহ করতে হতো। তবে বর্তমামে স্মার্টকার্ড আসার পর তা আজীবন করা হয়েছে। 

Nid Card Download

এন আই ডি কার্ডের জন্য আবেদন করার জন্য নিচে দেওয়া কাগজপত্র প্রয়োজন:
  • জন্ম সনদ
  • শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ
  • জাতীয় পরিচয়পত্র (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
  • ছবি
  • স্বাক্ষর
এন আই ডি কার্ডের আবেদনপত্র বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করা যাবে। আবেদনপত্র পূরণ করে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসে জমা দিতে হবে। তবে বর্তমানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে দায়িত্ব চলে যাওয়াই নির্দিষ্ট ভাবে বলতে পারছিনা কোন ওয়েবসাইট থেকে এক্সেস পাবেন। আপনি গুগল সার্চ করতে পারেন "Nid Registration Online" তাহলে আশা করি পাবেন। 

এন আই ডি কার্ড


এন আই ডি কার্ড একটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। এটা আপনার পরিচয় নির্দিষ্ট করে। তাই এটা প্রত্যেক বাংলাদেশী নাগরিকের কাছে থাকা উচিত।


Tuesday, August 29, 2023

পাসপোর্ট করার উপায় : কোথায় করবেন, কি লাগবে? পাসপোর্ট করার নিয়ম

পাসপোর্ট করার উপায় : কোথায় করবেন, কি লাগবে? পাসপোর্ট করার নিয়ম

বিদেশ ভ্রমণে প্রথমে যে জিনিসটা প্রয়োজন তা হল “পাসপোর্ট”। এই পাসপোর্ট করার প্রক্রিয়া অনেকের কাছে বেশ জটিল মনে হলেও আসলে এত জটিল কিছু নয়। দেশে ই-পাসপোর্ট চালুর কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত চালু হয়নি। তাই প্রচলিত এমআরপি MRP (Machine Readable Passport) পাসপোর্টই সবার জন্য প্রযোজ্য। আর আজকের এই আর্টিকেল তাদের জন্য যারা প্রথম পাসপোর্ট করতে চাচ্ছেন।


পাসপোর্ট করার ধাপসমূহঃ পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে কয়েকটি ধাপ আছে যা ক্রমান্বয়ে নিচে দেওয়া হল-  

পাসপোর্ট করার নিয়ম

১) পাসপোর্ট ফি জমা দেওয়া

২) প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট রেডি করা

৩) পাসপোর্ট আবেদন ফর্ম পূরণ

৪) পাসপোর্ট ফর্ম ও সংশ্লিষ্ট কাগজ সত্যায়িত করা

৫) আবেদন ফর্ম পাসপোর্ট অফিসে জমা দেওয়া

৬) পাসপোর্ট টোকেন সংগ্রহ ও পাসপোর্ট স্ট্যাটাস চেক করা

৭) পুলিশ ভেরিফিকেশন

৮) পাসপোর্ট সংগ্রহ করা

১. পাসপোর্ট ফি জমা দেওয়া

পাসপোর্টের প্রথম কাজ শুরু হয় পাসপোর্টের ফি জমা দেওয়ার মাধ্যমে। পাসপোর্টের ফি দুই ভাবে জমা দেওয়া যায়। আপনি যদি পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে আবেদন করতে চান তাহলে ফি জমা দিতে হবে ব্যাংকে। যদি আপনি সরাসরি অনলাইনে আবেদন করেন তাহলে অনলাইনে আবেদন পক্রিয়া শেষে সেখান থেকেই পাসপোর্ট ফি জমা দেওয়ার অপশন আছে। পাসপোর্ট ফি বা খরচ কত তা নির্ভর করে কতদিনের ভিতর আপনি পাসপোর্ট পেতে চান তার উপর। MRP পাসপোর্ট পাওয়ার জন্যে দুই ধরণের সুযোগ আছে। একটা হচ্ছে সাধারণ পাসপোর্ট যা পেতে আপনাকে কমপক্ষে ২১ দিন অপেক্ষা করতে হবে (সর্বমোট ৩৪৫০ টাকা ফি) এবং আরেকটি হচ্ছে জরুরী পাসপোর্ট যা আপনি ৭ দিন পর পাবেন (সর্বমোট ৬,৯০০ টাকা ফি)। আপনি কোন ধরণের পাসপোর্ট পেতে চান সেই মত আপনাকে পাসপোর্ট ফি জমা দিতে হবে।

১.১ ব্যাংকে ফি জমা দেওয়া

অফলাইনের ক্ষেত্রে পাসপোর্ট অফিসের দ্বারা নির্ধারিত ব্যাংকে গিয়ে টাকা জমা দিতে হবে। ব্যাংকে গিয়ে পাসপোর্টের টাকা জমা দিবেন এটা বললেই আপনাকে একটি নির্দিষ্ট স্লিপ দিবে। স্লিপে প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করে স্লিপ সহ টাকা ব্যাংকে জমা দিতে হবে। টাকা জমা হবার পর একটি রশিদ পাবেন যার দুইটি পার্ট থাকে। এক পার্ট কাস্টমার কপি যা নিজের কাছে থাকবে আর আরেক পার্ট পাসপোর্ট অফিসের কপি যা পাসপোর্ট আবেদন ফর্মের উপর আঠা দিয়ে লাগাতে হবে। এখানে কিছু বিষয় খেয়াল রাখবেন –

যে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে পাসপোর্ট করাবেন সে এলাকার ব্যাংকের শাখায় টাকা জমা দেওয়া ভালো।

স্লিপে যেভাবে নাম লিখবেন পাসপোর্টেও সেই একই নাম হবে তা না হলে পেমেন্ট ভেরিফিকেশনে ঝামেলা হবে।

টাকা জমা দেওয়ার ৬ মাসের মধ্যে অবশ্যই পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে হবে তা না হলে ৬ মাস পার হলে আবার নতুন করে ব্যাংকে টাকা জমা দিতে হবে।

মানি রিসিটের ট্রানজেকশন নাম্বারটি কোথাও টুকে রাখুন এটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

রিসিটে কিছু নির্দেশনা দেওয়া থাকে যা পরবর্তীতে পাসপোর্টের ফর্মের জন্য কাজে লাগবে তাই রিসিটের নির্দেশনা গুলো ভালো ভাবে পড়বেন।

আর যে যে ব্যাংকে পাসপোর্ট করার টাকা জমা দিতে পারবেন তা হল-  

১. সোনালি ব্যাংক

২. প্রিমিয়ার ব্যাংক

৩. ব্যাংক এশিয়া

৪. ট্রাস্ট ওয়ান ব্যাংক

৫. ঢাকা ব্যাংক

৬. ওয়ান এশিয়া

তবে সোনালি ব্যাংকের ক্ষেত্রে, শুধুমাত্র নির্দিষ্ট কিছু শাখাতেই পাসপোর্ট ফি জমা দিতে পারবেন। পাসপোর্ট অফিস থেকেই এই ব্যাপারে জানতে পারবেন। আর অন্যান্য ব্যাংকের যেকোনো শাখায় টাকা জমা দিতে পারবেন।

১.২ অনলাইনে আবেদন শেষে ফি জমা দেওয়া

অনলাইনে পাসপোর্টের ফি জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে, www.passport.gov.bd এর সাইটে সঠিক তথ্য দিয়ে ফর্ম পূরণ করে শেষের দিকে বিভিন্ন ব্যাংকের গেটওয়ের মাধ্যমে (যেমন ব্যাংকের কার্ড, বিকাশ বা রকেটের মাধ্যমে) পেমেন্ট করতে পারবেন। আর খুব সামান্য কিছু চার্জ ব্যাংক তাদের ফি হিসেবে ( ৩-৫ টাকা) কেটে রাখে। এই ক্ষেত্রে টাকা পে করার পর একটি চালান ফর্ম পাবেন। এই ফর্মটি এক পেজে দুইটা প্রিন্ট করে একটা নিজের জন্য ও অন্যটা পাসপোর্ট ফর্মের জন্য ব্যবহার করবেন।

অনলাইন পাসপোর্ট পূরণ

২. প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট রেডি করা

পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে দরকারী বিষয় হল প্রয়োজনীয় কাগজ রেডি করা। অনেক সময় পাসপোর্ট ফি জমা দেওয়ার পর দেখা যায় সব ডকুমেন্ট ঠিকভাবে রেডি করা নেই সেই ক্ষেত্রে বাড়তি অনেক ঝামেলা হয় আর পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতেও দেরি হয়ে যায়। তাই পাসপোর্টের ফি জমা দেওয়ার আগেই সব ডকুমেন্ট ঠিকমতো আছে কিনা তা চেক করে দেখা উচিত। যে সব ডকুমেন্ট লাগবে পাসপোর্ট করার জন্য- 

পাসপোর্ট ফর্ম ২ কপি (তবে সরকারী চাকরিজীবী ও তাদের স্ত্রী বা স্বামী এবং ১৫ বছরের কম বয়সী সন্তানদের ক্ষেত্রে একটি ফর্ম)

সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ২ কপি ছবি

ন্যাশনাল আইডি কার্ড (NID) বা স্মার্ট কার্ডের ফটোকপির সত্যায়িত কপি। তবে যাদের NID কার্ড নেই বা ১৮ বছরের নিচে বয়স তাদের জন্য জন্ম নিবন্ধনের ফটোকপির সত্যায়িত ফটোকপি। তবে বর্তমানে ১৮ বছর হলে অবশ্যই NID কার্ড লাগবে।

পেশাগত সার্টিফিকেটের ফটোকপির সত্যায়িত কপি

সরকারী চাকরিজীবী ও তাদের স্ত্রী বা স্বামী এবং সন্তানদের ক্ষেত্রে চাকরিজীবী ব্যাক্তির কর্মস্থল থেকে ইস্যু করা NOC (No Objection Certificate) বা জিও GO ( Govt. Order) জমা দিতে হবে।

৩. পাসপোর্ট আবেদন ফর্ম পূরণ

দুই ভাবে পাসপোর্টের আবেদন ফর্ম পূরণ করতে পারবেন। পাসপোর্ট ফর্ম ডাউনলোড বা সংগ্রহ করে নিজে নিজে হাতে পূরণ করে। অথবা অনলাইনে তথ্য পূরণ করে।

৩.১ অফলাইনে আবেদন ফর্ম পূরণ

এই ক্ষেত্রে পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে পাসপোর্টের ফর্ম চাইলে অফিস থেকে তা বিনামুল্যে দিয়ে দিবে, আবার www.passport.gov.bd এই লিঙ্কের Download Form অপশনে গিয়ে DIP Form 1 ফর্ম ওপেন করে PDF ফরম্যাটে ফর্ম ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে নিন।

৩.২ পাসপোর্ট ফর্ম

হাতে লিখে ফর্ম ফিল আপ করার সময় খুব সাবধানে করবেন তাই কয়েক কপি ফটোকপি করে রাখলে ভালো তাতে লেখার সময় কাটাকাটি হলেও সমস্যা নেই। আর সব জায়গায় নিজের সাইন একই রকম দিবেন। যেভাবেই পাসপোর্ট পূরণ করেন অবশ্যই ভাল মত তথ্য যাচাই, বানান দেওয়া, সঠিক তথ্য দেওয়া এই ব্যাপার গুলো খেয়াল রাখবেন। কোন কিছু ভুল হলে আপনাকে এই জন্যে ঝামেলা পোহাতে হবে।

৪. পাসপোর্ট ফর্ম ও সংশ্লিষ্ট কাগজ সত্যায়িত করা

ফর্ম ফিল আপ শেষ হলে পুরো ফর্মটি দুই সেট প্রিন্ট করে নিবেন। এক কপি পাসপোর্ট অফিসের জন্য ও আরেক সেট SB OFFICE এ পাঠানো হবে।

ফর্ম প্রিন্ট হলে ফর্মের ছবির জায়গায় পাসপোর্ট সাইজের একটি সদ্য তোলা ছবি লাগাতে হবে। আর দুই কপি ফর্মের যেকোনো একটাতে ব্যাংকের রশিদের পাসপোর্ট অফিসের কপিটা কেটে ডান পাশে লাগাতে হবে।

পাসপোর্টের ফর্ম পূরণ করে, ছবি ও মানি রিসিট লাগিয়ে ফর্মের সাথে জন্ম নিবন্ধন বা ন্যাশনাল আইডি কার্ড, পেশাগত সার্টিফিকেট ও নাগরিক সনদের (এই সনদের ব্যাপারে কোথাও নির্দিষ্ট করে বলা নেই তবে অনেক সময়ই এই সনদ দেখতে চায়) ফটোকপির সত্যায়িত কপি পিন দিয়ে লাগিয়ে নিতে হবে।

৫. পাসপোর্ট অফিসে ফর্ম জমা দেওয়া

এই ক্ষেত্রে ফর্ম হাতে পূরণ করলে নিজের বর্তমান ঠিকানা সিটি কর্পোরেশনের মধ্যে হলে রিজিওনাল অফিস আর সিটি কর্পোরেশনের বাইরে হলে আঞ্ছলিক অফিসে জমা দিতে হবে। আর অনলাইনে জমা দিলে ফর্মেই লেখা থাকবে কোন অফিসে জমা দিতে হবে।

সরাসরি ফর্ম জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে, ফর্ম প্রথমে জমা নিয়ে কম্পিউটার সফট ওয়্যারে ফর্মের তথ্য গুলো নিবে তারপর ফর্মে সিল মেরে আবার ফর্ম আপনাকে ফেরত দেওয়া হবে। তারপর ছবি তোলা ও বায়োমেট্রিকের জন্য আঙ্গুলের ছাপ নেওয়ার জন্য ফর্ম নিয়ে অন্য একটি রুমে যেতে হবে। এখানে বেশ কয়েকটি ধাপ আছে। সব প্রক্রিয়া শেষ হতে মোটামুটি বেশ সময় লাগে। এছাড়া জমা দেওয়ার সিরিয়াল যদি দীর্ঘ হয় তাহলে সময় আরও বেশি লাগবে। তাই জমা দিতে গেলে সকাল সকাল চলে যাওয়া ভালো।

৬. পাসপোর্ট টোকেন সংগ্রহ ও স্ট্যাটাস চেক করা

ফর্ম জমা দেওয়া শেষ হলে কম্পিউটারে প্রিন্ট করা একটি টোকেন দেওয়া হবে যেখানে আপনার তথ্য, পাসপোর্ট ডেলিভারির সময়সহ অন্যান্য কিছু তথ্য থাকবে। এই টোকেনের তথ্য গুলো খুব ভালো ভাবে চেক করবেন কারন এই তথ্য অনুসারেই পাসপোর্ট প্রিন্ট করা হবে।

কোনও ভুল ধরা পড়লে তখনই সাথে সাথে জানাবেন তাহলে সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর টোকেনটি যত্ন সহকারে রেখে দিবেন কারণ এই টোকেন দেখিয়েই পরবর্তীতে পাসপোর্ট নিতে হবে।

আর পাসপোর্ট স্ট্যাটাস চেক করার জন্য www.passport.gov.bd এই সাইটের Application Status অপশনে গিয়ে এনরোলমেন্ট আইডি ও জন্ম তারিখ দিয়ে অনলাইনে পাসপোর্টের স্ট্যাটাস চেক করতে পারবেন। পাসপোর্ট টোকেনে Enrollment ID (EID) দেওয়া থাকে।

আর মেসেজ অপশনের ক্ষেত্রে, MRP<SPACE<EID NO লিখে ৬৯৬৯ নাম্বারে সেন্ড করে পাসপোর্টের স্ট্যাটাস জানা যাবে।

পাসপোর্টের ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা থাকলে এই স্ট্যাটাস চেক করে আপনি জানতে পারবেন। তবে সব কাজ শেষ হবার পরও পাসপোর্টের স্ট্যাটাস ঠিকমতো না পেলে কিছুদিন অপেক্ষা করবেন কারন পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্যই মূলত পাসপোর্ট পেতে সময় লাগে বা পাসপোর্ট অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন।

৭. পুলিশ ভেরিফিকেশন

ফর্ম জমা হওয়ার কিছু দিন পর পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য পুলিশ বাসায় ও আসতে পারে আবার ফোন করে তাদের অফিসেও আপনাকে যেতে বলতে পারে। এই ক্ষেত্রে পুলিশ বিভিন্ন কাগজ রেডি করে রাখতে বলে যেমন- প্রোপার্টি পেপার, ইউটিলিটি বিল ইত্যাদি।

৮. পাসপোর্ট সংগ্রহ

সব টিক থাকলে আপনার পাসপোর্টের ধরণ অনুযায়ী ১ সপ্তাহ বা ২০-৩০ দিনের মধ্যে পাসপোর্ট পেয়ে যাবেন। পাসপোর্ট রেডি হলে মোবাইলে মেসেজ দিয়ে আপানকে জানানো হবে। অথবা অনলাইনে স্ট্যাটাস চেক করেও জেনে নিতে পারবেন।

পাসপোর্ট করতে খরচ ও সময়

পাসপোর্টের ধরণখরচকতদিন সময় লাগে
সাধারনসর্বমোট খরচ ৩৪৫০ টাকা২১ দিন সময় লাগে
জরুরীসর্বমোট খরচ ৬,৯০০ টাকা৭ থেকে ১০ দিন সময় লাগে


বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ

১) সরকারি চাকরিজীবী ও তাদের স্বামী বা স্ত্রী, সন্তান এবং অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তার ক্ষেত্রে সাধারন ফি জমা দিয়েও জরুরী সুবিধা পাওয়া যাবে।

২) সাধারণ পাসপোর্টের ক্ষেত্রে ২১ দিনের ভিতর হয়ে যাবে বলা হলেও অনেক সময় তার চেয়েও বেশীদিন লাগে। জরুরী পাসপোর্টের বেলাতেও দিন অনেক সময় বেশি লাগে।

পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য

  • অনেকেই মনে করে দালাল ছাড়া বা প্রয়োজনের চেয়ে বাড়তি টাকা না দিলে পাসপোর্ট করা যায় না বা করতে অনেক ঝামেলা হয়, এই কথা পুরোপুরি সঠিক না। বর্তমানে অযৌক্তিক  হয়রানি অনেক কমে গিয়েছে আর সরকারিভাবে পাসপোর্টের পুরো প্রক্রিয়াও অনেক সহজ করা হয়েছে আগের চেয়ে। তাই দালালের মাধ্যমে বাড়তি টাকা খরচ না করে নিজেই পাসপোর্টের কাজ গুলো করে নিতে পারবেন।
  • কোনও মাধ্যম বা কারো সাহায্য ছাড়া নিজে পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে অবশ্যই হাতে সময় নিয়ে পাসপোর্টের কাজ শুরু করবেন। আর তাই জরুরী প্রয়োজনে নিজে না করে অন্য কোনও মাধ্যমের সাহায্য নিয়েই পাসপোর্ট করা ভালো।
  • পাসপোর্টের ফর্ম ফিল আপা করার আগে ও ফিল আপ করার পরে পুরো ফর্মের কয়েক কপি ফটোকপি করে রাখবেন।
  • পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে সকল ডকুমেন্টের ইনফরমেশন অবশ্যই সঠিক হতে হবে।
  • নামের বানানের ক্ষেত্রে বিশেষ খেয়াল রাখবেন। এক এক ডকুমেন্টে নামের বানান যেন ভিন্ন ভিন্ন না হয়।  বিশেষ করে NID কার্ডের তথ্য গুলো যেন একই থাকে। তা না হলে পাসপোর্ট করার জন্য বাড়তি অনেক ঝামেলা হবে।
  • পাসপোর্ট করার আবেদন পত্র জমা দেওয়ার সময় সব সার্টিফিকেটের মূল কপি সাথে নিয়ে যাবেন।
  • অনলাইন থেকে পাসপোর্ট ফর্ম ডাউনলোড করে প্রিন্ট করার ক্ষেত্রে দুটো পেজের উভয় দিকেই প্রিন্ট করতে হবে যা হাতে লেখার ফর্মের ফরমেটের মতো হবে বা এই ক্ষেত্রে একটা ফরমেট অনলাইনে দেখে নিতে পারেন।
  • পাসপোর্ট অফিসে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১.৩০ টা পর্যন্ত পাসপোর্ট ফর্ম জমা নেয়। তবে অবশ্যই আগে আগে যাওয়া ভালো কারন অনেক লম্বা লাইন থাকে।      
  • ফর্মে ছবি ও মানি রিসিট অবশ্যই আঠা দিয়ে লাগাবেন, স্ট্যাপল পিন দিয়ে লাগাবেন না।
  • ফর্ম জমা নেওয়ার সময় কিছু প্রশ্ন করা হয় যার উত্তর যথেষ্ট আত্নবিশ্বাসের সাথে দেওয়ার চেষ্টা করবেন আর সবসময় সঠিক তথ্য জানাবেন।
  • ফর্ম জমা দেওয়ার সময় ছবি তোলার জন্য সাদা রঙ বাদে অন্য কোনও রঙের কাপড় পড়বেন।
  • অনেক সময় ফর্ম জমা নেওয়ার সময় অযৌক্তিক প্রশ্ন করে বা ফর্ম কোনও কারন ছাড়াই জমা নিতে চায় না সেই ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন কোনও কর্মকর্তাকে বা অফিসের সহকারী পরিচালক এর সাথে কথা বললে সাহায্য পাবেন।
  • পুলিশ ভেরিফিকেশনে অনেক সময় টাকা চাওয়া হয়, ঝামেলা এড়াতে চাইলে কিছু টাকা দিয়ে দেওয়াই ভালো। যদিও এই টাকা দেওয়াটা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
  • যারা নতুন ভাবে পাসপোর্ট করবে শুধু মাত্র তারাই অনলাইনে আবেদন করতে পারবে।
  • আরও বিশেষ কিছু নির্দেশনা জানার জন্য www.dip.gov.bd ও আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে গিয়েও খোঁজ নিতে পারেন। 

তথ্যসূত্রঃ www.dip.gov.bd


Tuesday, March 7, 2023

গুরুত্বপূর্ণ সাধারণ জ্ঞান - বিসিএস প্রশ্ন

গুরুত্বপূর্ণ সাধারণ জ্ঞান - বিসিএস প্রশ্ন

১। সংসদে সাংবাদিকদের আসন কতটি ?

উত্তরঃ ৮০টি

২। ১৪৪ ধারা কি ?

উত্তরঃ মানুষ চলাচল এবং আচরণের কর্মকান্ডের নিষেধজ্ঞা

৩। তিতুমীর কে ছিলেন?

উত্তরঃ ইংরেজদের বিরুদ্ধে প্রথম শহীদ বাঙ্গালী বীর

৪। উয়ারী বটেশ্বর কোথায় অবস্থিত ?

উত্তরঃ নরসিংদী

৫। দেশের ১১তম শিক্ষা বোর্ড কোথায় হতে যাচ্ছে ?

উত্তরঃ ময়মনসিংহ

৬। বাংলাদেশের সরকারি নাম ইংরেজিতে লিখুন?

উত্তরঃThe people’s Republic of Bangladesh

৭। গ্রীনিচ থেকে বাংলাদেশের অবস্থান কত?

উত্তরঃ ৯০ ডিগ্রি পুর্ব দিকে।

৮। বাংলাদেশের কোন জেলায় মধুপুর ও ভাওয়াল গড় অবস্থিত?

উত্তরঃ টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, গাজীপুর।

৯। বাংলাদেশের কোন জেলা সমতল থেকে সবচেয়ে উঁচুতে অবস্থিত?

উত্তরঃ দিনাজপুর।

১০। ঢাকার প্রতিপাদ স্থান কোথায়?

উত্তরঃ চিলির নিকটে প্রশান্ত মহাসাগরে।

১১। বাংলাদেশের সমুদ্র উপকূলের দৈর্ঘ কত?

উত্তরঃ ৭১১ কি.মি.

১২। সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড কি?

উত্তরঃ বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত একটি খাত(প্রস্থ ১৪ কি মি)

১৩। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গের নামসহ উচ্চতা কত?

উত্তরঃ তাজিংডং বা বিজয়, ১২৩১ মিটার বা ৪০৩৯ ফুট।

১৪। আয়তনের দিক দিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে কত?

উত্তরঃ ৯৪তম (দক্ষিন এশিয়ার ৫ম)

১৫। বাংলাদেশের রাজনৈতিক সমুদ্রসিমা কত?

উত্তরঃ ১২ নটিক্যাল মাইল।

১৬। ভারতের সাথে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তি জেলা কতটি?

উত্তরঃ ৩০টি

১৭। পার্বত্য চট্টগ্রামের জেলা কতটি?

উত্তরঃ ৩টি।

১৮। পার্বত্য চট্টগ্রামের কোন জেলার সাথে ভারতের সীমানা নেই?

উত্তরঃ বান্দরবান।

১৯। ঢাকার সাথে নদী পথে কোন জেলার সরাসরি যোগাযোগ নেই?

উত্তরঃ রাঙ্গামাটি।

২০। বরিশাল বিভাগের জেলার সংখ্যা কত?

উত্তরঃ ৬টি।

২১। বাংলাদেশের সর্বপূর্বে স্থানের নাম কি?

উত্তরঃ আখাইন্ঠং

২২। বাংলাদেশের আয়তনে সবচেয়ে বড় থানা কোনটি?

উত্তরঃ শ্যামনগর (সাতক্ষিরা)

২৩। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার ছিটমহল বিনিময় চুক্তি কার্যাকর হয় কবে?

উত্তরঃ ১ আগষ্ট, ২০১৫ইং

২৪। ছিটমহল বেষ্ঠিত জেলা বলা হয় কোন জেলা কে?

উত্তরঃ লালমনিরহাট

২৫। কোন পাহাড় হিন্দুদের তীর্থস্থানের জন্য বিখ্যাত?

উত্তরঃ চন্দ্রনাথ পাহাড়(সীতাকুন্ড, চট্টগ্রাম)

২৬। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিরোধপূর্ণ দ্বীপটির নাম কী এবং বর্তমানে মালিকানা কোন দেশের?

উত্তরঃ দক্ষিন তালপট্টি দ্বীপ, ভারত

২৭। নিঝুম দ্বীপটি কোন নদীর মোহনায় অবস্থিত?

উত্তরঃ মেঘনা (নোয়াখালী)

২৮। দ্বীপ জেলা বলা হয় কোন জেলাকে?

উত্তরঃ ভোলা।

২৯। ভবদহ বিল কোথায় অবস্থিত?

উত্তরঃ যশোর

৩০। ক্রিসেন্ট লেক কোথায় অবস্থিত?

উত্তরঃ ঢাকা(জাতীয় সংসদ ভবনের পাশে)

৩১। বাংলাদেশের কোন অঞ্চলে হাওড়ের সংখ্যা বেশী?

উত্তরঃ সিলেট

৩২। বাংলাদেশের সাগর কণ্যা বলা হয় কোন স্থানকে?

উত্তরঃ কুয়াকাটা, পটুয়াখালী

৩৩। বাংলাদেশের প্রথম হাইটেক পার্ক নির্মান করা হচ্ছে কোথায়?

উত্তরঃ কালিয়াকৈর, গাজীপুর

৩৪। বাংলাদেশে একমাত্র শীতলপানির ঝর্ণা কোথায় অবস্থিত?

উত্তরঃ হিমছড়ি, কক্সবাজার

৩৫। বিল ডাকাতিয়া কোথায় অবস্থিত?

উত্তরঃ খুলনা।

৩৬।‘দুবলার চর’ কোথায় অবস্থিত?

উত্তরঃ সুন্দরবনের দক্ষিনে।

৩৭। বাংলাদেশের প্রথম নারী এভারেস্ট বিজয়ীর নাম ও তারিখ লিখুন?

উত্তরঃ নিশাত মজুমদার, ২১ মে, ২০১২

৩৮। SPARSO কোন মন্ত্রণালয়ের অধীনে?

উত্তরঃ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়

৩৯। বাংলাদেশের প্রথম ভূ-উপগৃহে কেন্দ্রে কোথায় স্থাপিত হয়?

উত্তরঃ বেতবুনিয়া রাঙ্গামাটি।

৪০। বাংলাদেশের কোন জেলায় সবচেয়ে বেশি ধান জন্মে?

উত্তরঃ ময়নসিংহ

৪১। রাবার বাগানের জন্য বিখ্যাত স্থান কোনটি?

উত্তরঃ রামু, কক্সবাজার।

৪২। সম্প্রতি বাংলাদেশের উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল ধানের জাতের নাম কি?

উত্তরঃ সুপার রাইস।

৪৩। নদী ছাড়া যমুনা কী?

উত্তরঃ উন্নত জাতের মরিচের নাম।

৪৪। মাছ গবেষনা কেন্দ্র কোথায় অবস্থিত?

উত্তরঃ চাদপুর।

৪৫। বাংলাদেশের জাতীয় ও একক বৃহত্তম বনভূমি কোনটি?

উত্তরঃ সুন্দরবন।

৪৬। সুন্দরবনকে ‘বিশ্ব ঐতিহ্যের’ অংশ হিসেবে কোন সংস্থা কত তারিখ ঘোষণা করে?

উত্তরঃ ইউনেস্কো, ৬ ডিসেম্বর ১৯৯৭(৭৯৮তম)

৪৭। সুনেত্র গ্যাস ক্ষেত্রটি কোথায় অবস্থিত?

উত্তরঃ সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনা

৪৮।‘Black Gold’ কি?

উত্তরঃ তেজস্ক্রিয় বালু(কক্সবাজারে পাওয়া যায়)

৪৯। তিতাস গ্যাস ক্ষেত্রটি কোথায় অবস্থিত?

উত্তরঃ ব্রাক্ষ্মনবাড়িয়া

৫০। বাংলাদেশের কোথায় কয়লার সন্ধান পাওয়া গেছে?

উত্তরঃ বড়পুকুরিয়া, দীঘিপাড়া, দিনাজপুর

৫১। বাংলাদেশের একমাত্র জ্বালানী তেল শিধানাগারের নাম কি?

উত্তরঃ ইস্টার্ণ রিফাইনারী লিঃ, চট্টগ্রাম

৫২। দেশের সবচেয়ে বড় তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নাম ও অবস্থান?

উত্তরঃ ভেড়ামারা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র, কষ্টিয়া

৫৩। ভারত – বাংলাদেশের পানি চুক্তি কবে স্বাক্ষরিত হয়?

উত্তরঃ ১২ ডিসেম্বর, ১৯৯৬

৫৪। বাংলাদেশের নাব্যতম ওঁ প্রশস্ততম নদীর নাম?

উত্তরঃ মেঘনা।

৫৫। বাংলাদেশ ও ভারতকে বিভক্তকারী নদী কোনটি?

উত্তরঃ হাড়িয়াভাঙ্গা।

৫৬। পদ্মার অপর নাম?

উত্তরঃ কীর্তিনাশা

৫৭। পদ্মা ও যমুনা কোথায় মিলিত হয়েছে?

উত্তরঃ গোয়ালন্দ

৫৮। পদ্মা নদীর উৎপত্তি স্থল কোথায়?

উত্তরঃ হিমালয়ের গঙ্গোত্রী হিম্বাহ থেকে

৫৯। মংলা সমুদ্রবন্দর কোন নদীর তীরে অবস্থিত?

উত্তরঃ পশুর।

৬০। বাংলাদেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্পের নাম কি?

উত্তরঃ তিস্তা সেচ প্রকল্প

৬১। জনসংখ্যার দিক দিয়ে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান?

উত্তরঃ ৮ম।

৬২। চাকমা উপজাতির বসবাস বাংলাদেশের কোন অঞ্চলে বেশি?

উত্তরঃ পার্বত্য চট্টগ্রামে

৬৩। বাংলাদেশের প্রথম নিরক্ষরমুক্ত গ্রামের নাম কি?

উত্তরঃ কৃষ্টপুর, কচুবাড়ি, ঠাকুরগাও

৬৪। বাংলাদেশের কোন জেলায় শিক্ষার হার বেশি?

উত্তরঃ বরগুনা।

৬৫। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম মুসলমান ও উপমহাদেশের প্রথম ভি সি কে?

উত্তরঃ স্যার এ.এফ. রহমান

৬৬। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন হলে এক সময়ে সংসদ কার্যক্রম হত?

উত্তরঃ জগন্নাত হল

৬৭। দক্ষিন এশিয়ার সবচেয়ে বড় ডায়বেটিক্স হাসপাতালের নাম কি?

উত্তরঃ বারডেম।

৬৮।‘মূসক’ দিবস কবে পালন করা হয়?

উত্তরঃ ১০ জুলাই।

৬৯। বাংলাদেশ কবে ভ্যাট চালু হয়?

উত্তরঃ ১৯৯১ সালের ১ জুলাই



Sunday, November 27, 2022

বিন সার্টিফিকেট কিভাবে বাতিল করে?

বিন সার্টিফিকেট কিভাবে বাতিল করে?

টিন সার্টিফিকেট বাতিল করার নিয়মঃ

কোন কারণে টিন সার্টিফিকেট বাতিল করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই উপকর অফিসে গিয়ে আপনাকে টিন সার্টিফিকেট বাতিলের জন্য আবেদন করতে হবে। কারণ টিন সার্টিফিকেট অনলাইনে তৈরি করা গেলেও এর বাতিল করার কাজ আপনাকে অফিসে গিয়ে সম্পাদন করতে হবে।

সেক্ষেত্রে আপনাকে যে সব কাগজপত্র সাথে করে নিতে হবেঃ

১) আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র/জন্ম নিবন্ধন সনদ।

২) আপনার আয়করের ফটোকপি।

৩) আপনার টিন সার্টিফিকেট।

৪) মালিক মৃত হলে তার সনদ।

৫) বাতিলের প্রকৃত কারণ (উপযুক্ত প্রমাণসহ)।


উল্লেখিত সকল কাগজপত্র নিয়ে আপনাকে উপকর বিভাগের অধীনে জমা দিতে হবে। সেখানে আপনাকে একটি ফর্ম দিবে।আপনার কাগজের তথ্যের উপর ভিত্তি করে আপনি ফরম পূরণ করে জমা দিবেন। ৩ থেকে ৫ কার্য দিবসের মধ্যেই টিন সার্টিফিকেট বাতিল হয়ে যাওয়ার চূড়ান্ত কপি আপনাকে দিয়ে দেওয়া হবে। অথবা আপনি নিজে গিয়ে জেনে নিতে পারেন আপনার আবেদন গ্রহণযোগ্য হয়েছে কিনা। আর বাতিল হয়েছে কিনা। উপরোক্ত নিয়ম মেনে আপনি খুব সহজে টিন সার্টিফিকেট বাতিল করতে পারবেন। 


এজন্য সরকারকে কোন ফি পরিশোধ করতে হয় না।

Friday, August 26, 2022

BANGLADESH এর পুর্নরূপ কী? Full Form of Bangladesh

BANGLADESH এর পুর্নরূপ কী? Full Form of Bangladesh

BANGLADESH এর তথাকথিত পূর্ণরূপ

B=Blood (রক্তে)

A=Achieve (অর্জিত)

N=Noteworthy (স্মরণীয়)

G=Golden (সোনালী)

L=Land (ভূমি)

A=Admirable (প্রশংসিত)

D=Democratic (গণতান্ত্রিক)

E=Evergreen (চিরসবুজ)

S=Sacred (পবিত্র)

H=Habitation (বাসভূমি)

অর্থাৎঃ

'রক্তে অর্জিত স্মরণীয়

সোনালী ভূমি, প্রশংসিত

গণতান্ত্রিক চিরসবুজ পবিত্র

বাসভূমি'।

পুলিশের পূর্ণরুপ অনেকে এভাবে লেখে-

>>P = Polite (নম্র, ভদ্র)

O = Obedient (বাধ্য, অনুগত)

L = Loyal ( বিশ্বস্ত)

I = Intelligent (বিচক্ষণ, বুদ্ধিমান)

C = Courageous (সাহসী, নির্ভীক)

E = Efficient (দক্ষ) ...

অনেকে আবেগের ঠ্যালায় (!) এসব ভিত্তিহীন উত্তরে লাইক-কমেন্ট-আপভোটের বন্যা প্রবাহিত করে দেয়।

কেউ কি চাইলে B A N G L A / P O L I C E এর প্রতিটি অক্ষরের বিপরীতে একটি করে খারাপ শব্দ ধরে নিয়ে বদনাম/অপমান করতে পারবে না? পারবে তো। তাহলে?!

২০২২ সালে এসেও যদি এমন মূর্খতা থেকে মুক্ত হতে না পারি তাহলে এটি সত্যিই দুঃখজনক।

আমাকে যারা ধুয়ে দিতে আসবে তাদের জন্যও একবুক সমবেদনা।



Monday, June 27, 2022

পদ্মা সেতুর টোল এত বেশী কেন? দেশের অর্থে তৈরি পদ্মাতে কেন টোল দিতে হবে? Why Padma Bridge Toll So High?

পদ্মা সেতুর টোল এত বেশী কেন? দেশের অর্থে তৈরি পদ্মাতে কেন টোল দিতে হবে? Why Padma Bridge Toll So High?

বাংলাদেশের প্রতিটি মেগা প্রজেক্টই দেশের উন্নয়ন ও দেশের মানুষের জীবনকে আরো সহজ করে তোলার জন্য বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তবে এর মধ্যে পদ্মা বহুমুখী সেতুটি নির্মাণ প্রকল্পটি বাংলাদেশের অন্যতম একটি ড্রিম প্রজেক্ট, যা সম্পুর্ন দেশীয় অর্থায়নে তৈরি করা হয়েছে। পদ্মা সেতুর মাধ্যমে দক্ষিন আঞ্চলের ১৯টি জেলা রাজধানী ও দেশের অন্যান্য অঞ্চলের সাথে নিরবিচ্ছিন সড়ক যোগাযোগ ব্যাবস্থার আহতায় আসাতে উক্ত অঞ্চলের মানুষের জীবন যাত্রার পরিবর্তন এসেছে।

দক্ষিন অঞ্চলের জেলা গুলোর সাথে দেশের অন্যান্য জেলা গুলোর ব্যাবসা বাণিজ্য বেড়েছে যা দেশের অভারঅল GDP বৃদ্ধিতে কন্ট্রিবিউট করছে। সেতুটি উদ্ভবনের পুর্বে ২০২২ সালের মে মাসে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় পদ্মা সেতুতে চলাচলের জন্য বিভিন্ন ক্লাসের পরিবহনের হার নির্ধারণ করেছে। কিন্তু সেতুতে টোলের পাড়াপাড় হার নির্ধারণ এর পর টোলের হার নিয়ে দেশের জনগণের মধ্যে তৈরি হয়েছে অনেক প্রশ্ন। বেশিরভাগ জনগণেরই ধারনা পদ্মা সেতুর টোলের হার অনেক বেশী। এছাড়া সম্পুর্ন দেশীয় অর্থায়নে তৈরি এই সেতুতে কেন টোল দিতে হবে? এটা নিয়েও চলছে অনেক কথা বাত্রা। আমার আজকের এই আর্টিকেলে আমি জানাবো কেন পদ্মা সেতুতে টোল দিতে হচ্ছে এবং টোলের হার কেন এত বেশি?


২০১৩ সালে বাংলাদেশ সরকার নিজস্ব অর্থায়নে দেশের সর্বোচ্ছ অগ্রাধিকার প্রাপ্ত মেগা প্রজেক্ট পদ্মা সেতু নির্মাণের ঘোষনা দেয়। ২০১৪ সালে মূল সেতু নির্মাণে China Major Bridge Engineering Co. Ltd  এবং রিভার ট্রেনিং এর জন্য Sinohydro Corporation Limited এর সাথে চুক্তির মাধ্যমে সে বছরের ডিসেম্বর মাসে সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। 

পদ্মা সেতুটি নির্মাণ কাজে ব্যায় হয়েছে ৩০,১৯৩ কোটি টাকা। মূল সেতু ও মূল সেতুটির মোট দৈর্ঘ ৯.৩০ কিলোমিটার। এছাড়াও সেতুটির জন্য ১২ কিলোমিটার আপ্রোচ রোডের পাশাপাশি এ প্রকল্পের জন্য ব্রিজের ২ পাশে ১৪৭১ হেক্টোরস জমি অধিগ্রহণ এবং ১৪ কিলোমিটারের রিভার ট্রেনিংয়ের কাজ করা হয়। প্রজেক্টির মেইন ব্রিজের উভয় পাশে আপ্রোচরোড, সার্ভিস এরিয়া ও জমি অধিগ্রহণ সহ আরো অনেক কিছু বাস্তবায়নের কাজ করেছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। দ্বিতল হওয়ায় পদ্মা সেতুর উপরের অংশে চলছে বাস ও যানবাহন এবং নিচের অংশে চলবে রেইল। 

পদ্মা ব্রিজ পাড়াপাড়ে প্রতিটি যানবাহনের জন্য নির্দিষ্ট টোল ফি রাখা হয়েছে। যা নিম্নে উল্যেখ করা হলো।
নাম টোল রেট
বাইক ১০০৳
কার বা জী ৭৫০৳
মাইক্রোবাস ১৩০০৳
ছোট বাস ১৪০০৳
বড় বাস ২৪০০৳
পিকয়াপ ১২০০৳
৫ টোনের ছোট ট্রাক ১৬০০৳
৩ এক্সেলের বড় ট্রাক ৫৫০০৳
৩ এক্সেলের বেশি বড় ট্রাক ৬০০০৳
পদ্মা সেতুর টোলের হার বর্তমানে পদ্মা  নদীতে চলমান ফেরীর ভাড়ার চেয়ে গড়ে প্রায় দের গুন বেশি। অন্যদিকে দেশের দ্বিতীয় দৈর্ঘতম ৪.৮ কিলোমিটারের বংগবন্ধু সেতুর টোলের তুলনায় পদ্মা সেতুর টোল প্রায় দ্বিগুন! 

পত্রপত্রিকা সহ সোসিয়াল মিডিয়াতে রয়েছে পদ্মা সেতুর টোল নিয়ে নানা প্রশ্ন ও মোতামোত দেখা গেছে। অনেকেই কনফিউসড যে দেশের অর্থায়ন তৈরি পদ্মা  সেতুতে টোল কেন দিতে হবে? আর দিলেও তা কেন এত বেশি। 

এবারে এক্সপ্লেইন করা যাক আসলেইকি পদ্মা সেতুর টোল বেশি? আর বেশি হলেও অন্যান্য টোলের তুলনায় এত বেশি কেন?

পদ্মা সেতুতে টোল এত বেশি কেন?

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সুত্রে স্বাধারণত বিদেশী অর্থায়নে তৈরি সেতু নির্মাণ করা হলে, সেতুর টোল হার নির্ধারনে দাতা সংস্থা বা ঋণ প্রদান কারী রাষ্ট্রের বিভিন্ন শর্ত ও পরামর্শ থাকে। কিন্তু দেশীয় অর্থায়নে সেতু নির্মিত সেতুর ক্ষেত্রে এ ধরনের কোন বাধ্যকথা থাকেনা! যার প্রেক্ষিতে স্বাধারণত সেতু চালু হবার আগে ফেরীতে যে হার ভাড়া নেওয়া হতো, সেই অনুযায়ী সেতুর টোলের হার নির্ধারন করে থাকে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর। তবে প্রথম আলোর একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, সেতু বিভাগের সিনিয়র সচীব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান- বিদ্যমান ফেরীর চেয়ে সেতুর টোলের হার দেরগুন নির্ধারন করাটা স্টান্ডার্ড প্রেক্টিস। তবে টোল হার বেশী হলে সরকার তা কমাতেও পারে। 

অর্থাৎ ফেরী ভাড়ার চেয়ে পদ্মা সেতুর টোলের যে পার্থক্য তা সরকারি স্টান্ডার্ড মেনেই ঠিক করা হয়েছে। তবে ফেরীর চেয়ে উচ্চ মূল্য হলেও আদতে টোল হার বেশী নয়। আর সেতুতে টোল কালেকশন সুধু বাংলাদেশেই নয়, বরং বিশ্বের ছোট বড় প্রায় সব দেশেই টোল কালেকশন করা হয়। এমনকি বিভিন্ন দেশের এক্সপ্রেস ওয়ে থেকেও টোল আদায় করা হয়। 

যেমন-Financial Express এর একটি তথ্য সুত্রে ২০২১-২২ অর্থবছরে ভারতের হাইওয়ে গুলো থেকে ৩৮ হাজার কোটি রুপিরও বেশি টোল কালেকশন করা হয়েছে। এছাড়াও US এর বিভিন্ন এক্সপ্রেস ওয়ে ও ছোট খাটো ব্রিজ থেকেও টোল নেওয়া হয়।  

বাংলাদেশের প্রথম এক্সপ্রেস ওয়ে ঢাকা মাওয়া এক্সপ্রেস ওয়েতেও রয়েছে টোল। 

সবই বুঝলাম কিন্তু এই টোলের টাকা কি করা হবে?

পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করেছে সেতু বিভাগ। অর্থ মন্ত্রণালয় সেতুটি নির্মাণের জন্য ১% ইন্টারেস্টে ৩০,১৯৩ কোটি টাকা ঋন হিসেবে দিয়েছে সেতু বিভাগকে, যা আগামী ৩৫ বছরে অর্থমন্ত্রণালয়কে ফেরত দিবে সেতু বিভাগ! প্রথম আলোর একটি রিপোর্ট অনুসারে জাপান সরকারের ঋণ মওকুফ ফান্ডের ৩০০ কোটি টাকা পরিশোধ করতে হবেনা। সুতরাং সেতু বিভাগকে আসল  ২৯,৯০০+ কোটি টাকা এবং ১% ইন্টারেস্ট সহ মোট পরিশোধ করতে হবে ৩৬,৪০৩ কোটি টাকা। তার মধ্যে প্রথম বছরেই সরকারকে ৬০০ কোটি টাকা কিস্তি পরিশোধ করতে হবে। এছাড়া সেতুটি রক্ষণা বেক্ষনায় প্রতি বছরেই ব্যায় করতে হবে। 

পদ্মা সেতুতে প্রতিবছর বিভিন্ন  সার্ভিসিং করতে হবে। যার খরচ টোল আদায়ের মধ্য দিয়েই হবে। সব মিলিয়ে আমার মতে একটি দেশের GDP ঠিক রাখতে হলে যেমন ইনভেস্ট প্রয়োজন ঠিক তেমনি যেই প্রজেক্টে ইনভেস্ট করা হচ্ছে সেই প্রজেক্ট থেকে কিছু অংশ ইন্টারেস্ট দেশের ভবিশ্যতের জন্য অবশ্যই আশা করা যায়।  

Sunday, April 17, 2022

E-Cab E-commerce Association of Bangladesh ইক্যাব কী?

E-Cab E-commerce Association of Bangladesh ইক্যাব কী?

ইক্যাব বা ই-কমার্স অ্যাসোসিয়াশন অফ বাংলাদেশ ২০১৫ সালে যাত্রা শুরু করে (ই-ক্যাব) মূলত অনলাইন ভিত্তিক ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান বা ই-কমার্স ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান গুলোর কথা চিন্তা করেই এই প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে। 

ই-ক্যাব দেশব্যাপী নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার পাশাপাশি দেশের ই-কমার্স উদ্যোক্তা এবং অনলাইন ব্যাবসাকে ই-ব্যাবসায় রুপান্তর করতে সারাদেশে ই-ব্যাবসা ছড়িয়ে দিচ্ছে। ই-ক্যাব ক্রস বর্ডার ই-কমার্সের সম্প্রসারণ এবং আন্তরজাতিক অনলাইন মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে বিদেশে আমাদের স্থানীয় ব্যাবসা করার জন্যও কাজ করছে। 

বর্তমানে ই-ক্যাবে প্রায় ২০০০+ ট্রেডিং মেম্বার রয়েছে যারা সবাই অনলাইন বিজনেস বা ই-ব্যাবসা করে আসছে। অ্যাসোসিয়াশন বাংলাদেশে ই-কমার্স উদ্যোক্তাদের বিকাশ ও সচেতনতা বাড়াতে নিয়মিত সেমিনার, কর্মশালা এবং প্রশিক্ষনের আয়োজন করে।

ই-ক্যাব বাংলাদেশ গভার্মেন্টের একটি প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠান করার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে অনলাইন বিজনেস বা ই-ব্যাবসা যারা করে তাদেরকে ভালো মেইনটেইন করা। যেমন একজন ব্যাক্তি একটা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের মালিক।  এখন সে এই অনলাইন বিজনেসের মাধ্যমে কাউকে ঠকাচ্ছে কিনা? ভালো সার্ভিস দিচ্ছে কিনা? পাবলিকেদ টাকা আবার মেদে খাচ্ছেনাত? এরকম আরো অনেক ধরনের সমস্যা থেকে স্বাধারন পাবলিকদের মুক্ত রাখার জন্য সরকার ২০১৫ সালে ই-ক্যাব নামে এই প্রতিষ্ঠান করেন। 

এখন অনলাইনে কেউ যদি বেশ ভালোভাবে আইনের বাধা ছাড়া ব্যাবসা করতে চায় তাহলে তাকে অবশ্যই ই-ক্যাব মেম্বার হতে হবে। 

এখন আসি ই-ক্যাব মেম্বার কেন হবো? বা সুবিধা কি? এটার উত্তর না বললেই নয়। ই-ক্যাব বাংলাদেশ গভার্মেন্ট একটি প্রতিষ্ঠান যা তৈরি করা হয়েছে ই-বিজনেস ভালোভাবে করার জন্য। এবং সেই প্রেক্ষাপটে উল্যেক্ষ্য একটি উদাহরন হচ্ছে ধরুন হটাত কোন কারনে লগডাউন ঘোষনা হলো তাও পুরো বাংলাদেশ তবে আপনার ব্যাবসা অনলাইনে। এখন আপনি স্বাধারন মানুষের থেকে যেই অর্ডার গুলো অনলাইনে নিবেন এইগুলো অবশ্যই ফিজিক্যালি ডেলিভারি দিতে হবে। আর এই ডেলিভারি লিগডাউনে দিতে হলে অনেক জবাদিহি করতে হবে এবং এর জন্য আলিনার জেল জরিমানা হতে পারে। তবে যদি ই-ক্যাব মেম্বার হোন তাহলে আপনার প্রোডাক্ট ডেলিভারি কৃত গাড়ি কেউ আটকাবেনা এবং আপনার জবাবদিহি করতে হবেনা। এর বাহিরেও আরো অনেক ফ্যাসিলিটি আছে। 



Thursday, February 24, 2022

কিভাবে BIN Certificate করা যায়?

কিভাবে BIN Certificate করা যায়?

BIN Certificate কি

প্রতিটি ব্যবসায় একটি অদ্বিতীয় বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (BIN) থাকে। এই নম্বরটি বিন নম্বর বলা হয়। এই নাম্বরটি পেতে হলে জাতীয় রাজস্ববোর্ড থেকে নিবন্ধন করতে হয়।

বাংলাদেশে প্রথমে /৯ ডিজিটের এ্যানালগ বিন সার্টিফিকেট ছিল। এরপর ২০২৮ সালে অনলাইন হওয়ারপর সেটা ১১ ডিজিট করা হয়েছিল। বর্তমানে নতুন ভ্যাট আইনের অধীনে সকল বিন সার্টিফিকেট ১৩ ডিজিটের।

যে সকল ব্যাবসায়ীরা পূর্বের কোন বিন সার্টিফিকেট নিয়েছে, তাদেরকেও অবশ্যই ১৩ ডিজিটের এই বিন সার্টিফিকেট নিতে হবে। 

কেন BIN করতে হয়? 

বিন সার্টিফিকেট করার অনেক ভালো দিক আছে আছে নিচে আমি কিছু দিক উল্যেক্ষ্য করছি।
  • ব্যাবসা পরিচালনার জনয যে কোন ধরনের সার্ভিস প্রদানের জন্য।
  • টেন্ডারে অংশ গ্রহণ করার জন্য
  • ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার জন্য
  • আমদানি ও রপ্তানির সকল ক্ষেত্রে

বিন সার্টিফিকেট করতে কি কি লাগে? 

বিন সার্টিফিকেট করতে প্রয়োজনীয় যেই ডকুমেন্ট লাগে নিচে তার লিস্ট দেওয়া হলো।
  1. ট্রেড লাইসেন্স
  2. জাতীয়পত্র
  3. টিন সার্টিফিকেট
  4. বাংক সলভেন্সি সার্টিফিকেট
  5. লিমিটেড কোম্পানি বা পার্টনারশীপ ফার্ম হলে অন্যান্য ডকুমেন্ট

বিন সার্টিফিকেট করার পর ভ্যাট রিটার্ন জমা দিতে হবে কি?

বিন সার্টিফিকেট করার পর আপনাকে প্রত্যেক মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে গতমাসের বিক্রয়ের উপর হিসেব করে ভ্যাট রিটার্ন জমা দিতে হবে। ভ্যাট আসুক বা না আসুক, রিটার্ন আপনাকে অনলাইন এবং অফলাইনে অবশ্যই দাখিল করিতে হবে।



রিটার্ন দাখিল না করলে কি হবে? 

রিটার্ন দাখিল না করলে অনলাইনে আপনার তৈরিকৃত সার্টিফিকেটের বিপরীতে অটোমেটিক মাসিক ১০ হাজার টাকা জরিমানা যুক্ত হয়ে যাবে। যেটা যে কোন সময় ভ্যাত অফিস আপনার থেকে আদায় করতে পারবে।