Sunday, December 31, 2023

ক্লাউড কম্পিউটিং কী | Cloud Computing

ক্লাউড কম্পিউটিং কী | Cloud Computing

আমরা সবাই জানি, তথ্য প্রযুক্তির উৎকর্ষতার দরুন আজকের যুগে আমরা নিজের ঘরের কোণে বসে নিজস্ব ছোট্ট কম্পিউটারে ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে একটি বিশালাকার কম্পিউটারকে ভাড়ার মাধ্যমে যথেচ্ছা ব্যবহার করতে পারি এবং আমাদের যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সেই কম্পিউটারে সংরক্ষণও করতে পারি। এই বিশালাকার কম্পিউটারের ধারণাটিই ক্লাউড কম্পিউটিং।

আজকের এই আর্টিকেলে "ক্লাউড কম্পিউটিং কী?" এই নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

{getToc} $title={Table of Contents}

ক্লাউড কম্পিউটিং কি

আধুনিক তথ্য প্রযুক্তিগত সবকিছুই চলছে এই ক্লাউড কম্পিউটিং ধারণার উপর ভিত্তি করে। 'ক্লাউড' শব্দটি রূপক অর্থে ব্যবহৃত। ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে যে কোনো ব্যবহারকারী পৃথিবীর যে কোনো প্রান্ত থেকে ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের সুবিশাল তথ্যভান্ডার দীর্ঘ মেয়াদে ব্যবহার এবং সংরক্ষণ করতে পারেন। 

Cloud Computing

আমরা বর্তমানে যারা কম্পিউটার বা মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করি তাদের প্রায় সবারই Facebook, E- mail বা অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের একাউন্ট রয়েছে। আমরা ইচ্ছানুযায়ী এসব একাউন্টের মাধ্যমে স্টেটাস দিচ্ছি কিংবা মেইল আদান-প্রদান করে থাকি। এসব সেবা গ্রহণের জন্য আমাদেরকে কোনো টাকা খরচ করতে হয় না। কেননা, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এইসব সার্ভিস বা সেবা প্রদানকারী বেশকিছু কোম্পানীর বিপলু সংখ্যক সার্ভার রয়েছে, যার মাধ্যমে তারা অসংখ্য ক্লায়েন্টকে একই সময়ে সার্ভিস প্রদান করে যাচ্ছেন। আবার কিছু সংখ্যক সার্ভিস রয়েছে যেগুলো অর্থের বিনিময়ে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন সেবা দান করে থাকেন।

ক্লাউড কম্পিউটিং সার্ভিস

বিনামূল্যের এবং অর্থের বিনিময়ে উভয় প্রকার সার্ভিস ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের অন্তর্গত। এক্ষেত্রে কম্পিউটার রিসোর্স যেমন- হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, নেটওয়ার্ক ইত্যাদি সার্ভিস প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে থাকে, ক্রেতা বা ব্যবহারকারী নিজস্ব কম্পিউটার ব্যবহার করে ইন্টারনেটের মাধ্যমে সার্ভিসদাতা সার্ভারের সাথে সংযোগ স্থাপন করে প্রয়োজনীয় কম্পিউটিংয়ের কাজ সমাধা করে থাকে। ক্লাউড কম্পিউটিংকে কোনো সুনির্দিষ্ট টেকনোলজি হিসেবে গণ্য করা হয় না, এটি মূলত একটি ব্যবসায়িক মডেল, যার দ্বারা ব্যবহারকারী এবং সার্ভিস প্রদানকারী উভয়ই ব্যবসায়িকভাবে লাভবান হয়ে থাকেন।

ক্লাউড কম্পিউটিং পদ্ধতিকে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা যায়।

যথা-

১। প্রাইভেট ক্লাউড Private Cloud

একক প্রতিষ্ঠান নিজস্ব মালিকানা ও ব্যবস্থাপনায় কিংবা থার্ড পার্টির ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হয় যাতে অভ্যন্তরীণ বা বাহ্যিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে, এ ধরনের ক্লাউডকে প্রাইভেট ক্লাউড বলে। এ সব পরিচালনা অত্যন্ত ব্যয়বহুল, তবে অনেক বড়ো প্রতিষ্ঠানের অনেক শাখায় ডেটা সেন্টার না বসিয়ে একটিমাত্র ক্লাউড ডেটা সেন্টার স্থাপন করলে প্রতিষ্ঠানটির জন্য সাশ্রয়ী হয়।

২। পাবলিক ক্লাউড Public Cloud

জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত ক্লাউডকে পাবলিক ক্লাউড বলে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে সংযুক্ত সকলের বিনামূল্যে বা স্বল্প ব্যয়ে ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত অ্যাপ্লিকেশন, স্টোরেজ এবং অন্যান্য রিসোর্স ইত্যাদির সার্ভিসযুক্ত ক্লাউড-ই পাবলিক ক্লাউড। Amazon, Microsoft এবং Google ইত্যাদি তাদের নিজস্ব ডেটা সেন্টারে পাবলিক ক্লাউডের অবকাঠামো স্থাপন ও পরিচালনা করার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের সার্ভিস প্রদান করে থাকে।

হাইব্রিড ক্লাউড Hybrid Cloud

দুই বা ততোধিক ধরনের ক্লাউড (প্রাইভেট, পাবলিক বা কমিউনিটি) - এর সংমিশ্রণই হলো হাইব্রিড ক্লাউড। বিভিন্ন ধরনের ক্লাউড পৃথক বৈশিষ্ট্যের হলেও এক্ষেত্রে একই সাথে সংঘবদ্ধভাবে কাজ করে। ক্লাউড সার্ভিসের ক্ষমতাবৃদ্ধির জন্য একাধিক ক্লাউডকে একীভূত করা হয়ে থাকে।
ওয়াইম্যাক্স কি WiMax

ওয়াইম্যাক্স কি WiMax

আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় ভিজিটর আজকের আর্টিকেলটি নেটওয়ার্ক প্রেমিদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যারা ইতিমধ্যে নেটওয়ার্কিং শিখছেন বা ইন্টারনেট সম্পর্কে ভালো জ্ঞান অর্জন করতে চান তাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটি। আজকের আর্টিকেলে জানাবো- ওয়াই ম্যাক্স কি?, WiMax এর স্পিড কত?, wimax কি কাজে ব্যবহার হয়?, এবং WiMax কি?
ওয়াইম্যাক্স

ওয়াইম্যাক্স কোন ধরনের নেটওয়ার্ক

এটি দ্রুতগতির একটি যোগাযোগ প্রযুক্তি যেটি প্রচলিত DSL (Digital Subscriber Line) এবং তারযুক্ত ইন্টারনেটের পরিবর্তে ওয়্যারলেস ইন্টারনেট সুবিধা দিয়ে থাকে। Worldwide Interoperability for Microwave Access -এর সংক্ষিপ্ত রূপ হচ্ছে WiMax

এটি সাধারণত 2 থেকে 66 Ghz ফ্রিকোয়েন্সিতে কাজ করে এবং 80 Mbps থেকে 1Gbps পর্যন্ত গতিতে ডেটা ট্রান্সফার রেট প্রদানে সক্ষম।

WiMax এর প্রধান অংশ দুটি:

১। বেস স্টেশন, যেটি ইনডোর ডিভাইস এবং
আউটডোর টাওয়ার নিয়ে গঠিত। প্রতিটি বেস স্টেশনের কভারেজ এরিয়া 50 থেকে 80 km পর্যন্ত হয়ে থাকে।
২। অ্যান্টেনাযুক্ত WiMax রিসিভার, যা কম্পিউটারে সংযুক্ত করা হয় যেটি ওয়্যারলেস নির্ভর হওয়ায় পরিবহনযোগ্য।

এই প্রযুক্তিতে একটি একক বেস স্টেশনের মাধ্যমে বিশাল ভৌগোলিক এলাকায় হাজার হাজার ব্যবহারকারীকে ওয়্যারলেস ইন্টারনেট সুবিধা দেয়া যায়। ওয়্যারলেস হওয়ায় পোর্টেবলিটির সুবিধা পাওয়া যায় এবং এর রিসিভার সহজে বহনযোগ্য। বিভিন্ন ধরনের ডিভাইসের মাধ্যমে শহর এবং গ্রামে পোর্টেবল ব্রডব্যান্ড সংযোগ প্রদান করে।

ওয়াইম্যাক্স এর স্ট্যান্ডার্ড কত

WiMax নেটওয়ার্ক ব্যবহারের জন্য কর্তৃপক্ষের অনুমোদন প্রয়োজন হয়। অনেক বিস্তৃত নেটওয়ার্ক হওয়ায় অন্যান্য নেটওয়ার্কের তুলনায় এটি ব্যয়বহুল এবং এর রক্ষণাবেক্ষণ খরচ বেশি।
Bluetooth, Wi-Fi এবং WiMax -এই তিনটি ওয়্যারলেস প্রযুক্তির তুলনামূলক কার্যকারিতার ছক দেওয়া হলো:

আরো পড়ুন
জানানোর চেষ্টা করলাম "WiMax" সম্পর্কে😊

Friday, December 29, 2023

সংখ্যা পদ্ধতি আবিষ্কারের ইতিহাস | History of Number System

সংখ্যা পদ্ধতি আবিষ্কারের ইতিহাস | History of Number System

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আমরা প্রতিনিয়ত ভাষা এবং একই সাথে সংখ্যাকেও ব্যবহার করি। আমাদের প্রয়োজনের কারণে ভাষার সাথে সাথে আমরা সংখ্যা পদ্ধতি আবিষ্কার করেছি। সত্যি কথা বলতে কী অনেক প্রাণী এবং পাখিও অল্প কিছু গুণতে পারে। শুনে অবাক হয়ে যেতে হয় যে এখনো পৃথিবীর গহিন অরণ্যে এমন আদিবাসী মানুষ আছে যাদের জীবনে সংখ্যার বিশেষ প্রয়োজন হয় না বলে সেভাবে গুনতে পারে না। ব্রাজিলের পিরাহা নামের আদিবাসীরা এক এবং দুই থেকে বেশি গুনতে পারে না। এর চাইতে বেশি যে কোনো সংখ্যা হলেই তারা বলে 'অনেক'।

সংখ্যা পদ্ধতি কি, বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি কি, পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি কি, সংখ্যা পদ্ধতি কাকে বলে, সংখ্যা পদ্ধতির বেজ কি, সংখ্যা পদ্ধতি, হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতি কি, ৩ ভিত্তিক সংখ্যা পদ্ধতি ব্যাখ্যা কর, দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি কি, সংখ্যাপদ্ধতি, নন পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি কি, সংখ্যা পদ্ধতির বেস কি

সংখ্যা পদ্ধতির ইতিহাস

আদিম মানুষ যখন শিকারী হিসেবে বনে-জঙ্গলে ঘুরে বেড়াত তখন হিসেব রাখা বা গোনার সেরকম প্রয়োজন ছিল না। যখন তারা কৃষিকাজ করার জন্য স্থিতু হয়েছে, গবাদি পশু পালন করতে শুরু করেছে, শস্যক্ষেত্রে চাষাবাদ করেছে, গ্রাম, নগর-বন্দর গড়ে তুলেছে, রাজস্ব আদায় করা শুরু করেছে তখন থেকে গোনার প্রয়োজন শুরু হয়েছে। সেজন্য সংখ্যা পদ্ধতির ইতিহাস এবং সভ্যতার ইতিহাস খুবই ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। আমাদের প্রয়োজনের কারণে এখন আমরা অনেক বড় বড় সংখ্যা ব্যবহার করতে পারি, গণিতের সাহায্যে সেগুলো নানাভাবে প্রক্রিয়া করতে পারি।
আদিম কালে মানুষেরা গাছের ডাল বা হাড়ে দাগ কেটে কিংবা কড়ি, শামুক বা নুড়ি পাথর সংগ্রহ করে সংখ্যার হিসাব রেখেছে। তবে যখন আরো বড় সংখ্যা আরো বেশি স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করার প্রয়োজন হয়েছে তখন সংখ্যার একটি লিখিত রূপ বা চিহ্ন সৃষ্টি করে নিয়েছে। প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে মোটামুটি একই সময়ে সুমেরিয়ান-ব্যবলিয়ান এবং মিশরীয় সভ্যতার শুরু হয় এবং এই দুই জায়গাতেই সংখ্যার প্রথম লিখিত রূপ পাওয়া গেছে।

সংখ্যা পদ্ধতি

সুমেরিয়ান ব্যবলিয়ান সংখ্যা ছিল ষাটভিত্তিক এবং মিশরীয় সংখ্যা ছিল দশভিত্তিক। ব্যবলিয়ান সংখ্যা পদ্ধতির রেশ পৃথিবীতে এখনো রয়ে গেছে, আমরা মিনিট এবং ঘণ্টার হিসেব করি ষাট দিয়ে এবং কোণের পরিমাপ করি ষাটের গুণিতক দিয়ে। সুমেরিয়ান ব্যবলিয়ান সংখ্যা পদ্ধতিতে স্থানীয় মান ছিল, মিশরীয় সংখ্যা পদ্ধতিতে ছিল না। দুই পদ্ধতিতেই কোনো কিছু না থাকলে সেটি বোঝানোর জন্য চিহ্ন ব্যবহার করা হতো কিন্তু সেটি মোটেও গাণিতিক সংখ্যা শূন্য ছিল না।

পরবর্তীকালে আরো তিনটি সভ্যতার সাথে সাথে সংখ্যা পদ্ধতি গড়ে উঠে, সেগুলো হচ্ছে মায়ান সভ্যতা, চীন সভ্যতা এবং ভারতীয় সভ্যতা। মায়ান সংখ্যা পদ্ধতি ছিল কুড়িভিত্তিক, চীন এবং ভারতীয় সংখ্যা পদ্ধতি ছিল দশভিত্তিক। (আমাদের দেশে যেসব মানুষ লেখাপড়ার সুযোগ পায়নি তারা কাজ চালানোর জন্য মৌখিকভাবে কুড়িভিত্তিক এক ধরনের সংখ্যা ব্যবহার করে থাকে।) মায়ান এবং ভারতীয় সংখ্যা পদ্ধতিতে স্থানীয় মান ব্যবহার করে।
প্রয়োজনের কারণে সব সংখ্যা পদ্ধতিতেই শূন্যের জন্য একটি চিহ্ন থাকলেও প্রকৃত অর্থে শূন্যকে একটি সংখ্যা হিসেবে ধরে সেটিকে সংখ্যা পদ্ধতিতে নিয়ে এসে গণিতে ব্যবহার করে ভারতীয়রা এবং এই শূন্য আবিষ্কারকে আধুনিক গণিতের একটি অন্যতম যুগান্তকারী আবিষ্কার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মায়ান এবং চীন সংখ্যা পদ্ধতি মাত্র দুই-তিনটি চিহ্ন ব্যবহার করে লেখা হতো। কিন্তু হাতে লেখার সময় পাশাপাশি অসংখ্য চিহ্ন বসানোর বিড়ম্বনা থেকে বাঁচার জন্য ভারতীয় সংখ্যা পদ্ধতিতে 1 থেকে 9 পর্যন্ত নয়টি এবং শূন্যের জন্য একটি চিহ্ন- এভাবে দশটি চিহ্ন ব্যবহার করতে শুরু করে। আমরা এই চিহ্নগুলোকে অঙ্ক বা Digit বলি।

সংখ্যা পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত

2500 বছর আগে গ্রিকরা ব্যবলিয়ান এবং মিশরীয়দের সংখ্যা পদ্ধতির উপর ভিত্তি করে তাদের পূর্ণাঙ্গ 10 ভিত্তিক সংখ্যা পদ্ধতি গড়ে তুলেছিল। রোমানরা গ্রিক সভ্যতার পতন ঘটানোর পর গণিতের অভূতপূর্ব বিকাশ থেমে যায়। রোমান সাম্রাজ্যে গণিতের সেরকম প্রয়োজন ছিল না। তাদের সংখ্যাগুলোতে আলাদা রূপ ছিল না এবং রোমান অক্ষর দিয়ে সেগুলো প্রকাশ করা হতো। অনাবশ্যকভাবে জটিল এবং অবৈজ্ঞানিক রোমান সংখ্যা এখনো বেঁচে আছে এবং ঘড়ির ডায়াল বা অন্যান্য জায়গায় মাঝে মাঝে আমরা তার ব্যবহার দেখতে পাই।
ইসলামি সভ্যতার বিকাশ হওয়ার পর ভারতীয় সংখ্যা পদ্ধতি আরবদের মাধ্যমে ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ে, যেটি আমাদের আধুনিক দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি। এখানে উল্লেখ্য যে শূন্য ব্যবহারের ফলে সংখ্যা পদ্ধতিতে বিস্ময়কর অগ্রগতি হলেও খ্রিষ্টীয় শাসকেরা শূন্যকে শয়তানের রূপ বিবেচনা করায় দীর্ঘদিন সেটাকে ঠেকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছিল!

আমাদের হাতে দশ আঙুল থাকার কারণে দশভিত্তিক সংখ্যা গড়ে উঠলেও দুই, আট কিংবা ষোলোভিত্তিক সংখ্যাও আধুনিক প্রযুক্তিতে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়।

সংখ্যা পদ্ধতি (Number System)

সংখ্যাকে প্রকাশ করার এবং গণনা করার পদ্ধতিকে সংখ্যা পদ্ধতি বলে। সংখ্যাকে প্রকাশ করার জন্য বিভিন্ন প্রতীক বা চিহ্ন ব্যবহার করা হয়। এই প্রতীকগুলোকে দুটো ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতিতে ব্যবহার করা যায়।
সংখ্যা পদ্ধতি কি, বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি কি, পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি কি, সংখ্যা পদ্ধতি কাকে বলে, সংখ্যা পদ্ধতির বেজ কি, সংখ্যা পদ্ধতি, হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতি কি, ৩ ভিত্তিক সংখ্যা পদ্ধতি ব্যাখ্যা কর, দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি কি, সংখ্যাপদ্ধতি, নন পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি কি, সংখ্যা পদ্ধতির বেস কি
গবেষণা কি? What is Research

গবেষণা কি? What is Research

যে প্রক্রিয়ায় সৃষ্টিশীল মেধা-মনন প্রয়োগ করে পৃথিবীর জ্ঞানভান্ডার বৃদ্ধি বা সমৃদ্ধ করা হয় সেটিই হচ্ছে গবেষণা। উন্নয়নের অন্যতম পূর্বশর্ত হলো গবেষণা। নিয়মিত জ্ঞানচর্চা বা বিজ্ঞানসম্মত অধ্যয়ন গবেষণার সাথে সম্পৃক্ত। উন্নতকামী দেশ মাত্রই গবেষণার জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে থাকে। তাই বিশ্বগ্রাম ধারণায় গবেষণা একটি প্রধান অনুষঙ্গ এবং সেজন্য এখানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ভূমিকা অপরিসীম।

গবেষণা কি? 

বর্তমান পৃথিবীতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সাহায্য ছাড়া বিজ্ঞানী বা গবেষকেরা গবেষণার কথা চিন্তাও করতে পারেন না। তথ্য ও উপাত্তের সংরক্ষণ এবং প্রক্রিয়া, জটিল হিসাব, সিমুলেশন কিংবা যন্ত্রপাতি পরিচালনা এবং নিয়ন্ত্রণ, সেগুলো থেকে ডেটা সংগ্রহ এর প্রতিটি ধাপেই তথ্য প্রযুক্তি বড় ভূমিকা রেখে থাকে। বিজ্ঞানী বা গবেষকেরা তাঁদের চিন্তাধারা ইন্টারনেটের মাধ্যমে একে অন্যের কাছে প্রকাশ করতে পারেন, আলোচনা করতে পারেন কিংবা নিরবচ্ছিন্নভাবে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারছেন। শারীরিকভাবে উপস্থিত না থেকেও একজন গবেষক সেমিনার বা কনফারেন্সে নিজের গবেষণা প্রকাশ করতে পারেন কিংবা অন্যের গবেষণা সম্পর্কে জানতে পারেন।
একসময় জার্নাল বা গবেষণাপত্র, প্যাটেন্ট ইত্যাদি অত্যন্ত দুর্লভ বিষয় ছিল, এবং সেটি ছিল গবেষণার সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা। আজকাল প্রায় সব জার্নাল ই-জার্নাল হিসেবে প্রকাশিত হয় এবং প্যাটেন্টের বিশাল ডেটাবেসের অনেকটুকুই উন্মুক্ত, কাজের যে কোনো গবেষক সেই বিশাল তথ্যভান্ডার ব্যবহার করতে পারেন। সে কারণে আমরা দেখতে পাই সীমিত সম্পদ নিয়েও আমাদের দেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বমানের গবেষণা করতে পারে।

গবেষণার বিষয়বস্তু নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট বা ব্লগে প্রকাশিত হলে গবেষণার কার্যক্রম আরো গতিশীল ও ত্বরান্বিত হয়। বিজ্ঞানী বা গবেষকদের গবেষণালব্ধ ফলাফল, তথ্য-উপাত্তের যথার্থতা যাচাই এবং সমগ্র বিশ্বের সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিবর্গের নিকট দ্রুততার সাথে প্রচার এবং সেগুলোর উপর পর্যবেক্ষণ, মতামত প্রদান ইত্যাদি প্রতিটি বিষয় বিশ্বগ্রাম ধারণার মাধ্যমে বাস্তবায়ন অত্যন্ত সহজসাধ্য হয়েছে।

গবেষণা সম্পর্কে আরো তথ্য পেতে এখানে ক্লিক করুন
ইতিহাস সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন
ধন্যবাদ আমার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করার জন্য, গবেষণা কি? গবেষণা বা রিসার্চ নিয়ে আমাদের আজকের এই আর্টিকেল!

ক্রায়োসার্জারি কি? What is Cryosurgery

ক্রায়োসার্জারি কি? What is Cryosurgery

ক্রায়োসার্জারি একধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি যা অত্যধিক শীতল তাপমাত্রা প্রয়োগের মাধ্যমে অস্বাভাবিক বা অপ্রত্যাশিত রোগাক্রান্ত টিস্যু/ত্বক কোষ ধ্বংস করার কাজে ব্যবহৃত হয়। ক্রায়োসার্জারিতে চিকিৎসা করার ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যথাযথ প্রয়োগ হয়ে থাকে।

এ পদ্ধতির চিকিৎসায় প্রথমেই সিম্যুলেটেড সফটওয়্যার দ্বারা ক্যান্সার ইত্যাদিতে আক্রান্ত কোষগুলোর অবস্থান ও সীমানা নির্ধারণ করা হয়। এ ক্ষেত্রে রোগাক্রান্ত কোষটিতে আইসিটি যন্ত্রপাতি নিয়ন্ত্রিত মাইক্রো-ক্যামেরাযুক্ত নল দিয়ে ক্ষতস্থান শনাক্ত করা হয় এবং অত্যন্ত সূক্ষ্ম সুচযুক্ত ক্রায়োপ্রোব প্রবেশ করিয়ে নির্ধারিত ক্রায়োজনিক গ্যাস প্রয়োগ করা হয়।

তাপমাত্রা অত্যধিক হ্রাস পেয়ে -41 থেকে -196 ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে নেমে আসার কারণে নির্বাচিত টিস্যুটিতে অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। ঐ নিম্নতম তাপমাত্রায় রক্ত ও অক্সিজেন সঞ্চালন সম্ভব না হওয়ার দরুন রোগাক্রান্ত টিউমার টিস্যুর ক্ষতিসাধন হয়। ক্রায়োসার্জারি চিকিৎসায় টিউমারের ধরন অনুযায়ী এবং নির্দিষ্ট শীতলতায় পৌঁছানোর জন্য তরল নাইট্রোজেন, আর্গন, অক্সিজেন বা কার্বন ডাই অক্সাইড ব্যবহার করা হয়। এই তরল গ্যাসগুলো ক্রায়োজনিক এজেন্ট নামে পরিচিত।

ক্রায়োসার্জারিতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ভূমিকা অনেক বেশি, যেমন আক্রান্ত কোষ বা টিস্যুর অবস্থান নির্ণয়ে এবং সমস্ত কার্যাবলী পর্যবেক্ষণের কাজে সারাক্ষণ কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা ব্যবহৃত হয়। সেজন্য ক্রায়োসার্জারিতে চিকিৎসা ব্যবস্থায় অভিজ্ঞ করে তুলতে ডাক্তারদের প্রশিক্ষণে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহার করা হয়।

রোগীর তথ্য, চিকিৎসার গবেষণার ফলাফল ইত্যাদি সংরক্ষণের জন্য কম্পিউটার ডেটাবেজ সিস্টেম প্রয়োজন হয়। 

ক্রায়োসার্জারির অনেক সুবিধা রয়েছে। অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতির তুলনায় ক্যান্সার ও নিউরোসার্জারি চিকিৎসায় ক্রায়োসার্জারি অনেক সাশ্রয়ী এবং প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সময় কম লাগে। এ পদ্ধতিতে কোনো জটিল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই, ব্যথা, রক্তপাত অথবা অপারেশনজনিত কাটা-ছেঁড়ার কোনো জটিলতা নেই।

রোগীকে কোনো পূর্ব প্রস্তুতি নিতে হয় না এবং অনেকক্ষেত্রে সার্জারি শেষে রোগীকে হাসপাতালেও থাকতে হয় না। তবে আক্রান্ত কোষের সঠিক অবস্থান নির্ণয়ে ব্যর্থ হলে ক্রায়োসার্জারি ব্যবহারে জীবাণু শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে।

এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে লিভার ও ফুসফুসের স্বাভাবিক গঠন বিনষ্ট কিংবা স্নায়বিক সমস্যার উদ্ভব হতে পারে।


রোবটিক্স কি? Robotics Ki

রোবটিক্স কি? Robotics Ki

আজকের আর্টিকেলটি টেকনলোজি প্রেমিদের জন্য খুবই গুরত্বপূর্ণ আর্টিকেল। আজকের আর্টিকেলে জানাবো রোবটিক্স সম্পর্কে!

রোবোটিক্স কি?

রোবট শব্দটির সাথে আমরা সবাই কম-বেশি পরিচিত, এই শব্দটি দিয়ে আমরা এমন একধরনের যন্ত্রকে বোঝাই যেটি মানুষের কর্মকাণ্ডের অনুরূপ কর্মকাণ্ড করতে পারে। বিজ্ঞান, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং প্রযুক্তির সমন্বয়ে গঠিত যে বিষয়টি রোবটের ধারণা, নকশা, উৎপাদন, কার্যক্রম কিংবা ব্যবহার বাস্তবায়ন করতে পারে তাকে রোবটিক্স বলা হয়ে থাকে।

রোবট কত প্রকার

রোবট কথাটি বলা হলে যদিও সাধারণভাবে আমরা মানুষের আকৃতির একটি যন্ত্র কল্পনা করি, কিন্তু প্রকৃত রোবট তার কাজের উপর নির্ভর করে যে কোনো আকারের বা আকৃতির হতে পারে। আজ থেকে এক যুগ আগেও রোবটের মূল ব্যবহার গাড়ির ওয়েল্ডিং কিংবা স্ক্রু লাগানোর মাঝে সীমাবদ্ধ ছিল। প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে রোবটের কার্যপরিধিও বেড়ে যেতে শুরু করেছে এবং এমন কোনো কাজ নেই যেখানে রোবট ব্যবহার করা হচ্ছে না।

রোবটিক্সের ক্ষেত্র বৃদ্ধি পেলেও তার গঠনে তিনটি নির্দিষ্ট বিশেষত্ব রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে:
  1. একটি রোবট যে নির্দিষ্ট কাজ করার জন্য তৈরি হয়, তার উপর নির্ভর করে একটি বিশেষ যান্ত্রিক গঠন হয়ে থাকে।
  2. রোবটের যান্ত্রিক কাজ করার জন্য বিদ্যুৎ ব্যবহারের ব্যবস্থা থাকতে হয়।
  3. রোবটকে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
রোবট শিল্প এখনো তুলনামূলকভাবে নতুন হলেও এটি সাগরের গভীর থেকে শুরু করে মহাকাশ পর্যন্ত সব জায়গায়, যেখানে মানুষের পক্ষে যাওয়া সম্ভব নয়, সেখানে কাজ করে যাচ্ছে।

রোবটের ব্যবহার  ব্যবহার (Application)

১. বিপজ্জনক কাজে

মানুষের পক্ষে যে সব কাজ অত্যন্ত বিপজ্জনক এবং ঝুঁকিপূর্ণ, যেমন সমুদ্রের তলদেশে, যে কোনো অনুসন্ধানী কাজে, মাইন ইত্যাদি বিস্ফোরক দ্রব্য নিষ্ক্রিয়করণে, নিউক্লিয়ার শক্তি কেন্দ্রে, খনির অভ্যন্তরের কোনো কাজে, নদী-সমুদ্রের নিচে টানেল নির্মাণ ইত্যাদি কার্যক্রমে রোবট ব্যবহৃত হয়।

২. শিল্প-কারখানায়

শিল্পোৎপাদন কাজে, শিল্প-কারখানার ভারী বস্তু নড়াচড়া করানো, প্যাকিং, সংযোজন, পরিবহন ইত্যাদি শ্রমসাধ্য কাজ ছাড়াও কম্পিউটার এইডেড কাজে রোবটিক্স-এর ব্যবহার রয়েছে।

৩. সুক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম কাজে

মাইক্রোসার্কিটের উপাদান পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষণ কাজ এবং ইলেকট্রনিক আইসি, প্রিন্টেড সার্কিট বোর্ড ইত্যাদির তৈরির জন্য রোবট ব্যবহৃত হয়।

৪. চিকিৎসা ক্ষেত্রে

সার্জারি, জীবাণুমুক্তকরণ, ওষুধ বিতরণ ইত্যাদি কাজে রোবট ব্যবহৃত হয়।

৫. সামরিক ক্ষেত্রে

বিস্ফোরক দ্রব্য শনাক্তকরণ, বোমা নিষ্ক্রিয়করণ, যুদ্ধক্ষেত্রে এবং অন্যান্য মিলিটারি অপারেশনে রোবট ব্যবহৃত হয়।

৬. শিক্ষা ও বিনোদনে

শারীরিকভাবে অসুস্থ, পঙ্গু বা অটিস্টিক শিক্ষার্থীদেরকে বিশেষ শিক্ষা ব্যবস্থায় রোবটের ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে। শিশুদের চিত্তবিনোদনের ক্ষেত্রে খেলনা রোবট এবং মিডিয়া আর্টের ক্ষেত্রেও রোবট ব্যবহৃত হয়।

৭. নিরাপত্তা ও পর্যবেক্ষণ

নিরাপত্তা ও পর্যবেক্ষণে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তার জন্য, অন্ধকারে কোনো আগন্তুককে পর্যবেক্ষণ করার জন্য, দুষ্কৃতকারী কিংবা বিপজ্জনক আসামীকে ধরার কাজে এবং পর্যবেক্ষণ ইত্যাদিতে পুলিশকে রোবট সহায়তা দিতে থাকে।

৮. মহাকাশ গবেষণা

মহাকাশ গবেষণায় মহাকাশে কিংবা অন্য গ্রহ-উপগ্রহ সম্পর্কিত নানাবিধ তথ্যানুসন্ধান ও বৈজ্ঞানিক কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের জন্য বা মহাকাশ যান প্রেরণ করার সময় ব্যাপকহারে রোবটের ব্যবহার আছে।

৯. ঘরোয়া কাজে

দৈনন্দিন ঘরোয়া কাজে, গৃহকর্মী হিসেবে নিত্যনৈমিত্তিক কার্যাদি সম্পাদনের জন্য রোবট ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

ভবিষ্যতে রোবটের সাথে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আরো ব্যাপকভাবে সম্পৃক্ত করে রোবটকে অনেক নতুন নতুন কাজে ব্যবহার করা হবে। 

Thursday, December 28, 2023

Inshot App without Watermark free download | ইনশট অ্যাপ ওয়াটারমার্ক ছাড়া ফ্রী ডাউনলোড

Inshot App without Watermark free download | ইনশট অ্যাপ ওয়াটারমার্ক ছাড়া ফ্রী ডাউনলোড

ইনশট বর্তমানে খুবই জনপ্রিয় একটি ভিডিও এডিটিং অ্যাপ। এই অ্যাপটি দিয়ে খুব ইজি এবং যে কোন লো কনফিগ ডিভাইস দিয়ে আপনি ভিডিও এডিট করতে পারবেন। 

Inshot app download for free, inshot app without watermark, ইনশট অ্যাপ ফ্রী ডাউনলোড, ওয়াটারমার্ক ছাড়া ইনশট প্রো, InShot Mod Apk

যারা ইউটিউব, ফেসবুকে ও অন্যান্য প্লাটফর্মের জন্য ভিডিও এডিটিং করতে চান তাদের জন্য ইনশট খুবই উপযোগী। কারণ ইনশট অ্যাপ খুব ইজিলি ব্যাবহার যোগ্য।

Inshot Pro Apk

এই অ্যাপটিতে রয়েছে অনেক ফিচার তার মধ্যে শটিকার অ্যাড করা, টেক্সট বসানো, ইফেক্ট, ফিলটার্স ইত্যাদির কালেকশন রয়েছে যা আপনার ভিডিওকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলবে। 

আমাদের আজকের আর্টিকেলে শেয়ার করবো Inshot Apk Free Download কিভাবে করবেন? 

ইনশট অ্যাপস গুগল প্লে স্টোরেও আপনি ফ্রীতে ডাউনলোড করতে পারবেন। তবে ইনশট যদি গুগল প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করেন সেটা আপনাকে পেইড বা In App Purchase করতে হবে। নয়ত অ্যাপস এডিট করতে আপনি লিমিটেশন পাবেন।

লিমিটেশন বলতে বুঝাচ্ছি যে নির্দিষ্ট ফ্রী জিনিসগুলো ব্যাতীত অন্যান্য জিনিসগুলো ব্যবহার করতে পারবেন না। 

Inshot app without watermark

ইনশট একটি ফ্রী ভিডিও এডিটিং অ্যাপস। তবে লিমিটেশন বা নির্ধারিত ফিচার ব্যাতীত আকর্ষীয় অবজেক্ট বা সেইভাবে ইচ্ছে মত এডিট করতে পারবেন না। তাছাড়া ফ্রী ভার্শনে রয়ে যাবে ওয়াটারমার্ক। এবং রেন্ডারিং বা ভিডিও এক্সপোর্ট এর সময় থাকবে লিমিটেশন। 

Inshot Pro

Inshot Pro - এটা পেইড একটি অ্যাপ্স। তবে আমি ফ্রী ডাউনলোডের উপায় বলে দিবো। যেটাতে আপনি সম্পুর্ন প্রিমিয়াম এক্সেস পাবেন। এটা যদি গুগল প্লে স্টোর থেকে যদি আপনি ব্যবহার করতে চান তাহলে আপনাকে টাকা দিয়ে কিনতে হবে। তবে আমি ফ্রীতে ব্যাবহার বা প্রো ভার্শন ডাউনলোড করার উপায় বলে দিবো।

Inshot Pro free download

ইনশট প্রো ফ্রীতে ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন। এখন আসি আসল কথায়। ফ্রীতে ডাউনলোড করলে এটা ব্যাবহার করলে কোন সমস্যা হবে? বা ফ্রীতে এটা কিভাবে ফুল এক্সেস পাচ্ছেন?

ইনশট প্রো ডাউনলোড

ইনশট প্রো ফ্রীতে ডাউনলোড করলে আপনি সম্পুর্ন এক্সেস পাবেন তবে এই অ্যাপটি একটি ক্রা"কেড এ্যাপস! তাই অবশ্যই সতর্কতার সাথে ব্যবহার করতে হবে।

Inshot Mod Apk

এ্যাপস ডাউনলোড করার জন্য নিচের ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করুন।



inshot app without watermark

Inshot App
উপরে ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করলে আপনি গুগল ড্রাইভ লিংকে প্রবেশ করবেন। এরপর আপনি খুব সহজেই ডাউনলোড করতে পারবেন। যদি ডাউনলোড না হয়ে থাকে? তাহলে কমেন্ট করে জানাবেন।

ইনশট অ্যাপস ফ্রী ডাউনলোড। Inshot app without watermark
অল্প বয়সে বিয়ে করার উপকারিতা

অল্প বয়সে বিয়ে করার উপকারিতা

অল্প বয়সে বিয়ে, অল্প বয়সে বিয়ে করলে কি হয়?, অল্প বয়সে কেন বিয়ে করা উচিত, অল্প বয়সে বিয়ে করা ঠিক হবে?, অল্প বয়সে বিয়ে করার উপকার, অল্প বয়সে বিয়ে করলে কি উপকার জানতে চাও?

অল্প বয়সে বিয়ে

এই সমাজ তোমাকে ভালো কিছু দিতে চায়না বরং তোমাকে পাপের সাগরে ডুবাতে চায়। এইভাবে শেষ হয়ে যাচ্ছে আমাদের চরিত্র, পারছে না কেউ যৌবন কে পবিত্র রাখতে।

অল্প বয়সে বিয়ে করার উপকার | অল্প বয়সে বিয়ে করলে কি কি উপকার হয়?

কারণ হচ্ছে যৌবন এক ধরনের ক্ষুধা। ক্ষুধা লাগলে যেমন খাবারের দরকার হয়, ঠিক তেমন যৌবনের ক্ষুধা লাগলে বউ দরকার হয়। কিন্তু সমাজ বলছে আগে প্রতিষ্ঠিত হও তারপর বিয়ের পিড়িতে বসো।

অথচ এই আয়াতে আল্লাহ বলেনঃ

وَأَنكِحُوا الْأَيَامَى مِنكُمْ وَالصَّالِحِينَ مِنْ عِبَادِكُمْ وَإِمَائِكُمْ إِن يَكُونُوا فُقَرَاء يُغْنِهِمُ اللَّهُ مِن فَضْلِهِ وَاللَّهُ وَاسِعٌ عَلِيمٌ

তুমি বিয়ে করো, তোমায় প্রতিষ্ঠিত করার দায়িত্ব আমি আল্লাহর। অভাবে আছো অভাব দূর করে দেব। আল্লাহ বলেন, ধনী হতে চাও বিয়ে করো।

আবার রাসুল (সা.) বলেছেন, ثَلَاثَةٌ حَقٌّ عَلَى اللَّهِ عَوْنُهُمْ: المُجَاهِدُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ، وَالمُكَاتَبُ الَّذِي يُرِيدُ الأَدَاءَ، وَالنَّاكِحُ الَّذِي يُرِيدُ العَفَافَ  তিন ব্যক্তিকে সাহায্য করা আল্লাহ তায়ালার জন্য কর্তব্য হয়ে যায়। 

১। আল্লাহ তায়ালার রাস্তায় জিহাদকারী।

২। চুক্তিবদ্ধ গোলাম যে তার মনিবকে চুক্তি অনুযায়ী সম্পদ আদায় করে মুক্ত হতে চায়।

৩। ওই বিবাহিত ব্যক্তি যে (বিবাহ করার মাধ্যমে) পবিত্র থাকতে চায়।

অল্প বয়সে বিয়ে করলে রোমান্টিকতার বহু সময় পাওয়া যায়।কেন এতো বিয়ে করতে দেরি? আল্লাহ তো অফার দিয়ে রাখছেন। আল্লাহ তোমাকে বড়লোক বানিয়ে দেবেন তার

ওয়াদা দিয়েছেন। খামাখা কেন দেরি? বিয়ে কর, যৌবন শুরু হয়েছে, আল্লাহর দেয়া বিশাল অফারটাকে গ্রহণ করো।

অল্প বয়সে বিয়ের উপকারিতা

বিয়ে করলে যে উপকারিতা পাবে তা হলোঃ

১। লজ্জা স্থানের হেফাজত হয়।

২। বিবাহ চক্ষু নত করে রাখে।

৩।  তাড়াতাড়ি ধনী হওয়া যায়।

৪।  ইমান পরিপূর্ণ হয়।

৫। অসুস্থতা দূর হয়।

৬। ইবাদতে মজা পাওয়া যায়।

৭। আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা যায়।

৮। মানসিক তৃপ্তি পাওয়া যায়।

এমন তৃপ্তি যেটা শুধু নিজের বউয়ের কাছে পাবে, যেনা করতে গিয়েও তা পাবে না।

৯। মেজাজ ঠান্ডা থাকে। মাথা কখনো গরম হবেনা।

১০। যৌবনের ক্ষুধা নিবারণ হয়।

আরো অনেক উপকারিতা আছে।

খাবার না পেলে মানুষ যেমন ক্ষুধার যন্ত্রনায় হারাম

ভক্ষণ করে ফেলে। ঠিক সেই রকম বউ না থাকলে যৌবনের ক্ষুধার তাড়নায় অনেকে লজ্জা স্থান দিয়ে পর নারীর সাথে যিনা করে ফেলে।

বিয়েকে সহজ কর, দেখবে সমাজ থেকে অনেক জেনা ব্যভিচার কমে যাবে।

ছেলেমেয়েদের অভিবাবকদের বলি, অল্প বয়সে ছেলে মেয়ে বিয়ে দিন।

সরকারি চাকরি বাদ দেন, আগে দেখুন ছেলে মানুষ কিনা। যদি মানুষ হয়, তার সাথে বিয়ে দেন। কারণ একটা মেয়ে কখনো খাবারের অভাবে মারা যায়না। মারা যায়তো জানোয়ার গুলোর অত্যাচারে। তাই মেয়ের বাবাদের বলছি, বিষয়টি বিবেচনায় নেন।

ছেলের বাবাদের বলছি, আল্লাহ ওয়াদা দিয়েছেন ধনী বানিয়ে দেবে তাই ছেলেকে বিয়ে দিন, খুব তাড়াতাড়ি প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাবে আপনার ছেলে।

কথা গুলো আল্লাহ তায়ালা আমাদের  সকলকে বুঝার ও অবিবাহিতদের আমল করার তৌফিক দিন🤲

তথ্য সুত্র: বিভিন্ন নিউজ ও সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সংগ্রহীত।




সাইবার নিরাপত্তা আইন - সাইবার অপরাধের শাস্তি সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

সাইবার নিরাপত্তা আইন - সাইবার অপরাধের শাস্তি সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

সাইবার অপরাধ দমনে বিভিন্ন দেশেই আইন চালু আছে। আমাদের দেশে ২০০৬ সালে প্রণীত 'তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ২০০৬ এর ৫৭(১) ধারামতে, যদি কোনো ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করে যা মিথ্যা ও অশ্লীল, যার দ্বারা কারও মানহানি ঘটে বা ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়, আর এ ধরনের তথ্যগুলোর মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে উস্কানি প্রদান করা হলে অনধিক দশ বছর কারাদন্ড এবং অনধিক এক কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দন্ডিত হওয়ার বিধান রয়েছে।

সাইবার সিকিউরিটি বাংলাদেশ

এছাড়া, পর্ণগ্রাফি আইন-২০১২-তে বর্ণিত আছে, কোনো ব্যক্তি ইন্টারনেট বা ওয়েবসাইট বা মোবাইল ফোন বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে পর্ণগ্রাফি সরবরাহ করলে সর্বোচ্চ 5 বছর সশ্রম কারাদন্ড এবং 2 লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ডে দণ্ডিত হবেন।

সাইবার নিরাপত্তা আইন

সর্বশেষ 2018 সালে আমাদের দেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণীত হয়, যার আংশিক উল্লেখ করা হলো:

- ১. কোনো ব্যক্তি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোয় বেআইনি প্রবেশ করে ক্ষতিসাধন, বিনষ্ট বা অকার্যকরের চেষ্টা কিংবা কম্পিউটার সিস্টেম, নেটওয়ার্ক বা প্রোগ্রাম ধ্বংস/পরিবর্তন বা অকার্যকর করতে পারবেন না।

- ২. ইলেকট্রনিক ডিভাইস, কম্পিউটার সিস্টেমে অবৈধভাবে প্রবেশ করতে পারবেন না, সেখান থেকে কোনো তথ্য বা উদ্ধৃতাংশ বা উপাত্তের অনুলিপি সংগ্রহ করতে পারবেন না।

- ৩. ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক মাধ্যম ব্যবহার করে কারো সাথে ইচ্ছাকৃতভাবে প্রতারণা, জালিয়াতি বা ছদ্মবেশ ধারন করতে পারবেন না।

- ৪. ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক মাধ্যম ব্যবহার করে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জাতির পিতা, জাতীয় পতাকার বিরুদ্ধে প্রচার বা অপপ্রচার কিংবা এতে মদদ দিতে পারবেন না।

- ৫. রাষ্ট্রের অখণ্ডতা, নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয় এমন বিভ্রান্তিকর তথ্য অপপ্রচার বা কার্যকলাপ, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে বা জাতিগত ঘৃণা-উস্কানি বা বিভেদ/বিদ্বেষ সৃষ্টি করে কিংবা সামাজিকভাবে বিশৃঙ্খলার জন্ম দেয় এরূপ কোনো কার্যক্রম ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক মাধ্যম ব্যবহার করে করা যাবে না।

- ৬. ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক মাধ্যম ব্যবহার করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ব্যক্তিগত ভাবমূর্তি নষ্ট, অপমান বা অপদস্থ করা কিংবা ভয়ভীতি বা হুমকি প্রদর্শন করা যাবে না।

- ৭. ইলেকট্রনিক বা ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে ব্যাংক, বীমা ইত্যাদি আর্থিক প্রতিষ্ঠান কিংবা সরকারি, আধাসরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে অবৈধ অনুপ্রবেশ করে আর্থিক ক্ষতি বা তছরুপ কিংবা অত্যন্ত গোপনীয় তথ্য চুরি, তথ্য পাচার করা যাবে না।

ডিজিটাল আইনের আওতায় উল্লিখিত কৃত অপরাধের জন্য বিভিন্ন মেয়াদের শাস্তি এবং আর্থিক দণ্ড প্রদানের বিধান রাখা হয়েছে।

তাই আমাদের জীবনের অন্যান্য প্রতিটি সেক্টরের ন্যায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিবেক, বুদ্ধি ও বিবেচনাকে নৈতিকতার মানদণ্ড হিসেবে ব্যবহার করে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধিসহ সবধরনের অপরাধমূলক কাজের প্রবণতা হতে পরিত্রাণ পেতে পারি।

আরো পড়ুন

সাইবার সিকিউরিটি কি | ডিজিটাল প্রযুক্তির রক্ষণায়ন

Wednesday, December 27, 2023

উইন্ডোজ সিস্টেমে সময় ও তারিখ পরিবর্তন করে কিভাবে? কম্পিউটারে সময় ও তারিখ পরিবর্তন করা শিখুন

উইন্ডোজ সিস্টেমে সময় ও তারিখ পরিবর্তন করে কিভাবে? কম্পিউটারে সময় ও তারিখ পরিবর্তন করা শিখুন

কম্পিউটারে সময় ও তারিখ কিভাবে ঠিক করে? কম্পিউটারের তারিখ ও সময় পরিবর্তন করা শিখুন, কম্পিউটারের সময় ঠিক করে কিভাবে? কম্পিউটারের টাইম ঠিক করে কিভাবে? How to change date & time in computer

কম্পিউটারের সময় ও তারিখ পরিবর্তন

সাধারণত কম্পিউটারে ঘন ঘন সময় ও তারিখ পরিবর্তন করার প্রয়োজন হয়না। তবে কখনও যদি মাদারবোর্ডের ব্যাটারি নষ্ট হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে নতুন ব্যাটারি সংযোজনের সময়, অপারেটিং সিস্টেমের সময় ও তারিখ ঠিক করে নিতে হয়। আবার অনেক সময় ব্যবহারকারীকে নিজের সুবিধামত সময় ও তারিখ সেট করতে হয়। আজকের আর্টিকেলে আমরা শিখাবো কিভাবে আপনি কম্পিউটারের সময় ও তারিখ পরিবর্তন করতে পারেন।

কম্পিউটারে টাইম ঠিক করে কিভাবে

যেহুতু আমরা কম্পিউটারের সময় ঠিক করা বা পরিবর্তন করা শিখবো তাই আমাদের প্রয়োজন পরবে একটি কম্পিউটারের। এবং যেই কম্পিউটারের সময় ও তারিখ পরিবর্তন করবেন সেই কম্পিউটারে কি কি জিনিস থাকা লাগবে তার একটি লিস্ট দিলাম।

১. হার্ডওয়্যারঃ একটি কম্পিউটার
২. সফটওয়্যারঃ অপারেটিং সিস্টেম (উইন্ডোজ ১১ / উইন্ডোজ ১০ / উইন্ডোজ ৮ / উইন্ডোজ ৭)
৩. ব্যবহারঃ কম্পিউটারে সময় ও তারিখ সফলভাবে পরিবর্তন করতে নিচে স্টেপ গুলো ফলো করতে হবে।

বিঃদ্রঃ আমি আজকের এই আর্টিকেলে উইন্ডোজ ১১ - দিয়ে কিভাবে সময় ও তারিখ পরিবর্তন করতে হয় তা দেখানোর চেষ্টা করেছি। তবে সেম পদ্ধতিতে আপনি উইন্ডোজের আপডেট ভার্শনগুলোতে সময় ও তারিখ পরিবর্তন করতে পারেন। (Windows XP ছাড়া)

ধাপ-১ঃ কম্পিউটারের সময় ও তারিখ দেখা

কম্পিউটার রিস্টার্ট দেওয়ার পর কম্পিউটার অন হলে ডান পাশে দেখতে পাবেন সময় এবং তার নিচে তারিখ রয়েছে।

যদি আপনার সময় বা তারিখ ঠিক না থাকে তাহলে আপনি নিচে ধাপগুলো অনুস্বরণ করতে পারেন।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (Artificial Intelligence)

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (Artificial Intelligence)

চিন্তাশক্তি, বুদ্ধি কিংবা বিশ্লেষণ ক্ষমতা মানুষের সহজাত, একটি যন্ত্রকে মানুষের মতো বুদ্ধিমত্তা দিয়ে, সেটিকে চিন্তা করানো কিংবা বিশ্লেষণ করানোর ক্ষমতা দেওয়ার ধারণাটিকে সাধারণভাবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বলা হয়। কিছুদিন আগেও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ছিল দূর ভবিষ্যতের একটি কাল্পনিক বিষয়।

আজকের আর্টিকেলে থাকছেঃ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কি,আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স,আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কিভাবে কাজ করে,আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স কি,আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা মেশিন লার্নিং কি ?,আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কি,আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স,আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স: এআই,আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স,আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কি?,আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কি,আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স hsc
{getToc} $title={এই পোস্টে যা যা থাকছে}

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স হলো: চিন্তাশক্তি, বুদ্ধি কিংবা বিশ্লেষণ ক্ষমতা মানুষের সহজাত, একটি যন্ত্রকে মানুষের মতো বুদ্ধিমত্তা দিয়ে, সেটিকে চিন্তা করানো কিংবা বিশ্লেষণ করানোর ক্ষমতা দেওয়ার ধারণাটিকে সাধারণভাবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বলা হয়। কিছুদিন আগেও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ছিল দূর ভবিষ্যতের একটি কাল্পনিক বিষয়। কিন্তু অতি সম্প্রতি এই দূরবর্তী ভবিষ্যতের বিষয়টি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হতে শুরু করেছে। তার প্রধান কারণ, পৃথিবীর মানুষ ডিজিটাল বিশ্বে এমনভাবে সম্পৃক্ত হয়েছে যে, হঠাৎ করে অচিন্তনীয় পরিমাণ ডেটা সৃষ্টি হয়েছে এবং সেই ডেটাকে প্রক্রিয়া করার মতো ক্ষমতাশালী কম্পিউটার আমাদের হাতে চলে এসেছে।

What is AI

এই ডেটা বা তথ্যকে প্রক্রিয়া করার জন্য বিজ্ঞানী এবং প্রযুক্তিবিদরা এমন একটি পদ্ধতি বেছে নিয়েছেন যেটি মানুষের মস্তিষ্কের মতো করে কাজ করে। সাধারণভাবে এটা নিউরাল নেট নামে পরিচিত। সহজভাবে বলা যায় এর একটি ইনপুট স্তর এবং আউটপুট স্তর রয়েছে যার মাঝখানের স্তরটি হচ্ছে 'লুক্কায়িত' স্তর (Hidden Layer)।

প্রথমে এই নিউরাল নেটকে ইনপুট এবং তার সাথে যুক্ত উদাহরণ আউটপুট ডেটা দিয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়, তখন "লুক্কায়িত” স্তরটি এমনভাবে পরিবর্তিত হতে থাকে যেন প্রশিক্ষণের জন্য দেওয়া ইনপুটের জন্য সত্যি আউটপুটটি পাওয়া যায়। একবার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ে গেলে এই নিউরাল নেটকে সম্পূর্ণ নতুন ইনপুট দিলেও সেটি তার জন্য সম্ভাব্য সঠিক আউটপুটটি দিতে পারবে। যত বেশি ডেটা দিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, নিউরাল নেটটি তত ভালো কাজ করবে।

Artificial Intelligence

একটি লুক্কায়িত স্তর না রেখে একাধিক স্তর দিয়ে এই নেটকে আরো অনেক 'বুদ্ধিমান' করা সম্ভব। তখন নেটটি নিজেই ডেটা ব্যবহার করে শিখে নিতে পারবে। এই প্রক্রিয়ার নাম 'ডিপ লার্নিং' এবং বলা যেতে পারে এটি সত্যিকারের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের সবচেয়ে কাছাকাছি একটি প্রক্রিয়া।

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কিভাবে তৈরি করা হয়? 

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগের ক্ষেত্রে প্রধানত C/C++, Java, MATLAB, Python, SHRDLU, PROLOG, LISP, CLISP, R ইত্যাদি প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ ব্যবহার করা হয়। কার্যকারিতা ও প্রয়োজনীয়তার ভিত্তিতে ডেভে লপারগণ তাঁদের পছন্দসই প্রোগ্রাম ব্যবহার করে থাকেন।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের সবচেয়ে সফল ক্ষেত্র হিসেবে মেশিন লার্নিংয়ের কথা বলা যায়। বর্তমান Reinforcement Learning গবেষণার মূল ভিত্তি হচ্ছে একটি যন্ত্রকে আলাদাভাবে কোনো কিছু শেখানো হবে না। মেশিনের সামনে উপস্থিত বিশাল পরিমাণ ডেটা থেকে একটি যন্ত্র নিজেই শিখে নেবে। প্রথম প্রথম সিদ্ধান্ত নিতে ভুল হবে, কিন্তু ঠিক মানুষের মতোই যন্ত্র ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে শিখবে।

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার

ইনপুট স্তর লুক্কায়িত স্তর আউটপুট স্তর আমরা আমাদের জীবদ্দশাতেই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের কিছু সফল প্রয়োগ দেখতে পাব, তার একটি হচ্ছে ড্রাইভারবিহীন স্বয়ংক্রিয় গাড়ি। আবহাওয়ার সফল ভবিষ্যৎবাণী আমরা ইতোমধ্যে দেখতে শুরু করেছি। এ ছাড়াও বর্তমান বিশ্বে কম্পিউটার প্রযুক্তিনির্ভর এমন কোনো ক্ষেত্র খুঁজে পাওয়া যাবে না যেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারিক প্রয়োগ নেই।

যেমন চিকিৎসাবিদ্যা, অটোমোবাইল, ফাইন্যান্স, সার্ভেইল্যান্স, সোশাল মিডিয়া, এন্টারটেনমেন্ট, শিক্ষা, স্পেস এক্সপ্লোরেশন, গেমিং, রোবটিক্স, কৃষি, ই- কমার্সসহ স্টক মার্কেটের শেয়ার লেনদেন, আইনি সমস্যার সম্ভাব্য সঠিক সমাধান, বিমান চালনা, যুদ্ধক্ষেত্র পরিচালনা ইত্যাদি ক্ষেত্রে এর ব্যাপক ব্যবহার বর্তমানে পরিলক্ষিত হচ্ছে।




তথ্য সুত্র: ১১-১২ শ্রেণির তথ্য ও প্রযুক্তি বই থেকে সংগ্রহীত!




Tuesday, December 26, 2023

Apple iPhone 16 Pro and iPhone 16 Pro Max Rumored to Feature Wi-Fi 7 and 48-Megapixel Ultra Wide Camera

Apple iPhone 16 Pro and iPhone 16 Pro Max Rumored to Feature Wi-Fi 7 and 48-Megapixel Ultra Wide Camera

Apple's iPhone 16 Pro and iPhone 16 Pro Max are rumored to feature Wi-Fi 7 support and a 48-megapixel Ultra Wide camera lens.

The information comes from Jeff Pu, a tech analyst at Hong Kong investment firm Haitong International Securities. Pu revealed this information in a research note about the tech industry released today.

Wi-Fi 7 is the latest version of the Wi-Fi standard, and it offers significant improvements over Wi-Fi 6. Wi-Fi 7 can support faster speeds, lower latency, and better capacity than Wi-Fi 6. This will be beneficial for users who download large files, stream high-quality video, or play multiplayer games on their iPhones.

The 48-megapixel Ultra Wide camera lens would be a significant upgrade over the 12-megapixel Ultra Wide camera lens found on current iPhones. The 48-megapixel lens would allow for more detail to be captured in photos and videos, especially in low-light conditions. This would be a welcome addition for iPhone users who take a lot of photos and videos in low-light conditions.

Pu's research note also suggests that the iPhone 16 Pro and iPhone 16 Pro Max will feature a new A17 Bionic chip, a 6.1-inch and 6.7-inch OLED display, and a triple-lens rear camera system. The phones are expected to be released in September 2023.

These are just rumors at this point, so it is important to take them with a grain of salt. However, Pu has a good track record of accuracy when it comes to Apple rumors, so it is worth paying attention to this one.

Concept of Communication System | Exploring the Intricacies of Communication Systems in Our Interconnected World

Concept of Communication System | Exploring the Intricacies of Communication Systems in Our Interconnected World

In today's world, communication systems play a crucial role in connecting people across vast distances. It is an unsung hero that orchestrates the seamless exchange of thoughts and ideas. The intricate dance of signals and messages is an integral part of our daily lives, shaping the way we connect, collaborate, and comprehend the world around us.

The Essence of Communication Systems

A communication system is a dynamic network designed to transmit, receive, and process information between two or more entities. Whether it's the spoken words between individuals, the written messages on a screen, or the invisible signals traveling through the airwaves, communication systems are the unsung architects of our interconnected society.

Components of Communication Systems

1. Source

The journey begins with a source capable of generating data, like a person, computer, or device. It's the storyteller with a message to share.

2. Transmitter

The message from the source needs a translator to be understood. The transmitter acts as a bridge, converting the information into a suitable form for transmission. For instance, in a conversation, your vocal cords turn thoughts into spoken words, or in the digital world, a device encodes data into electronic signals.

3. Channel

Imagine the channel as a pathway that allows the message to travel. This pathway could be the air for sound waves, cables for electrical signals, or even the internet for digital data. The channel plays a crucial role in ensuring the safe and efficient passage of information.

4. Receiver

At the end of a communication, someone is receiving the message, like a listener paying attention. This person or entity decodes the message to understand it. They can be a friend understanding your words or a computer decrypting a digital file.

5. Destination

The final destination of any communication is achieving its intended purpose, whether it's reaching an understanding between friends, making a decision in a boardroom, or completing a successful data transfer.

Modes of Communication

Communication systems take on different forms to cater to the various requirements of human interaction.

1. Verbal Communication

The oldest and perhaps the most primal mode, verbal communication involves spoken words. From ancient conversations around a fire to modern phone calls, the spoken word remains a potent force.

2. Written Communication

With the advent of writing, messages gained longevity. Letters, books, and now digital text have allowed us to communicate across time and space, transcending the limitations of immediate interaction.

3. Non-verbal Communication

Sometimes, actions speak louder than words. Facial expressions, gestures, and body language convey a wealth of information without the need for verbalization, adding depth to our interactions.

4. Digital Communication

In our technologically advanced era, digital communication reigns supreme. Emails, instant messaging, and social media platforms have revolutionized the speed and scope of information exchange, shrinking the world into a global village.

Challenges in Communication Systems

While communication systems are marvels of human ingenuity, they are not without challenges. Noise, interference, and signal degradation can distort messages, leading to misunderstandings. Moreover, the sheer volume of information in the digital age poses challenges in terms of security and privacy.

The Future of Communication Systems

As technology continues to advance, so too will communication systems. The integration of artificial intelligence, the development of faster and more reliable networks, and innovations in virtual and augmented reality are poised to redefine how we connect and share information.

Communication systems are a testament to humanity's desire to connect, share, and understand. They have been the silent enablers of progress, from the ancient art of storytelling to the complexities of digital data transmission. As we navigate an ever-evolving landscape of connectivity, the essence of communication systems remains steadfast, fostering the human experience in ways both tangible and intangible. In conclusion, communication systems continue to play a vital role in our lives and will continue to shape our future.