অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল কি? অপটিক্যাল ফাইবার সম্পর্কে বিস্তারিত । অপটিক ফাইবার

অপটিক্যাল ফাইবার হলো ডাই-ইলেক্ট্রিক পদার্থ দিয়ে তৈরি এক ধরনের আঁশ-যা আলো নিবন্ধকরণ ও পরিবহনে সক্ষম।

{getToc} $title={Table of Contents}

ভিন্ন প্রতিসরাংকের এই ধরনের ডাই-ইলেক্ট্রিক দিয়ে অপটিক্যাল ফাইবার গঠিত। ফাইবার অপটিকের তিনটি অংশ থাকে। 

ফাইবার অপটিকের তিনটি অংশ

  1. কোরঃ ভিতরের ডাই-ইলেক্ট্রনিক কোর যার ব্যাস ৮ থেকে ১০০ মাইক্রোন হয়ে থাকে। 
  2. ক্ল্যাডিংঃ কোরকে অবদ্ধ করে থাকা বাইরের ডাই-ইলেক্ট্রিক আবরণ ক্ল্যাডিং নামে পরিচিত। কোরের প্রতিসরাংক ক্ল্যাডিংয়ের প্রতিসরাংকের চেয়ে বেশি থাকে। 
  3. জ্যাকেটঃ আবরণ হিসাবে কাজ করে। 
$ads={1}

ফাইবার অপটিকের বৈশিষ্ট্য 

  • এটি ইলেক্টেইক্যাল সিগনালের পরিবর্তে আলোক বা লাইট সিগনাল ট্রান্সমিট করে। 
  • এতে আলোকের পুর্ণ অভ্যান্তরীণ প্রতিফলন পদ্ধতিতে ডেটা উৎস থেকে গন্তব্যে গমন করে।
  • এতে ফিগাবাইট রেঞ্জ বা তার চেয়ে বেশি গতিতে ডেটা চলাচল করতে পারে। 
  • নেটওয়ার্কের ব্যকবোন হিসাবে ফাইবার অপটিক ক্যাবল অধিক ব্যাবহার হয়।


অপটিক্যাল ফাইবারের গঠন উপাদান

ফাইবার তৈরির অন্তরক পদার্থ হিসাবে সিলিকা এবং মাল্টি কমপোনেন্ট কাঁচ বহুলভাবে ব্যাবহার করা যায়। এসব অন্তরক পদার্থের গুনগত বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হলো-
  • অতি স্বচ্ছতা
  • রাসায়নিক সুস্থিরতা বা নিষ্ক্রিয়তা
  • সহজ প্রক্রিয়াকরণ যোগ্যতা
ফাইবার ক্যাবল তৈরুর জন্য সোডা বোরো সিলিকেট, সোডা লাইম সিলিকেট, সোডা অ্যালুমিনা সিলিকেট ইত্যাদি মাল্টি কম্পোনেন্ট কাঁচগুলো বেশি ব্যাবহৃত হয়। কখনও ফাইবারের ক্ল্যাডিং হিসেবে প্লাষ্টিক ব্যাবহৃত হয়ে থাকে। বর্তমানে পুর্ণ প্লাষ্টিক ফাইবারের ব্যাবহারও পরিলক্ষিত হচ্ছে। এক্ষেত্রে প্রধান বাধাঁ হচ্ছে অতিরিক্ত ক্ষয় (Loss). সাধারণ কাঁচ ফাইবার তৈরির জন্য মোটেই উপযুক্ত নয়। কারণ এর মধ্য দিয়ে আলোক রশ্মি কিছু দূর যেতে না যেতেই নিঃশেষ হয়ে যায়। তাছাড়া সাধারণ কাঁচ দূর থেকে স্বচ্ছ মনে হলেও অপটিক্যাল কমিউনিকেশনের জন্য যতটা স্বচ্ছতা দরকার ঠিক ততটা নয়।

অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবলে সুবিধাসমূহ

বিভিন্ন ধরনের কাজের জন্য অপটিক্যাল ফাইবার ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এসব সুবিধার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-
  • আলোর গতিতে ডেটা স্থানান্তরিত হয় এবং অপেক্ষাকৃত দ্রুত গতি সম্পন্ন
  • উচ্চ ব্যান্ডউইথ
  • আকারে ছোট এবং অজন অত্যান্ত কম
  • শক্তি ক্ষয় করে কম
  • বিদ্যুৎ চৌম্বক প্রভাব হতে মুক্ত
  • ডেটা সংরক্ষণের নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা
  • সঠিকভাবে ডেটা স্থানান্তর বা চলাচলের ক্ষেত্রে পারিপার্শ্বিক অবস্থা কোন বাধাঁ প্রদান করতে পারে না।
$ads={2}

অপটিক্যাল ফাইবারের অসুবিধা

অপটিক্যাল ফাইবারের উল্লেখযোগ্য অসুবিধাসমূহ হলো-
  • ফাইবার অপটিক ক্যাবলকে U আকারে বাঁকানো যায় না তাই যেখানে অধিক বাঁকানোর প্রয়োজন হয় না সেখানেই অপটিক্যাল ফাইবার ব্যাবহার করা সম্ভব।
  • এটি অত্যান্ত ব্য্যবহুল
  • অপটিক্যাল ফাইবার স্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষন করার জন্য দক্ষ ও কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন জনবল প্রয়োজন হয়।


অপটিক্যাল ফাইবারের প্রকারভেদ

ফাইবারের গঠনিক উপাদানের প্রতিসরাংকের উপর ভিত্তি করে ফাইবারকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়।
  1. স্টেপ ইনডেক্স ফাইবার (Step-Index-Fiber)
  2. গ্রেডেড ইনডেক্স ফাইবার  (Graded-Index-Fiber)
  3. মনোমোড ফাইবার (Monomode-Fiber)
স্টেপ ইনডেক্স ফাইভারের কোরের প্রসরাংক সর্বত্র সমান থাকে। গ্রেডেড ইনডেক্স ফাইবারের কোরের প্রতিসরাংক কেন্দ্রে সবচাইতে বেশি এবং ইহার ব্যাসার্ধ বরাবর কমতে থাকে। কোরের প্রতিসরাংকের ভিন্নতার জন্য এ দুই ধরনের ফাইবারের আলোক রশ্মির গতিপথও ভিন্ন হয়। গ্রেডেড ইনডেক্স ফাইবারের তুলনায় স্টেপ ইন্ডেক্স ফাইবারের কোরের ব্যাসার্ধ বেশি।




Next Post Previous Post