ব্যাবসায় অর্থায়ন কাকে বলে?

অর্থায়নের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন ধরন হচ্ছে ব্যাবসায় অর্থায়ন বা বিজনেস ফাইন্যান্স। মুনাফা অর্জনের ইদ্দ্যেশ্যে লাভ-ক্ষতির ঝুঁকি গঠিত সংঘটনকে ব্যাবসায় প্রতিষ্ঠান বলা হয়। ফলে ব্যাবসায় প্রতিষ্ঠান তার তাহবিল সংগ্রহ ও বিনিয়গের জন্য যে অর্থায়ন প্রক্রিয়া ব্যাবহার করে, সেটাই ব্যাবসায় অর্থায়ন। ব্যাবসায় প্রতিষ্ঠানগুলোকে ৩ ভাগে ভাগ করা হয়-

  1. একমালিকানা ব্যাবসা
  2. অংশদারী ব্যাবসা
  3. যৌথ মূলধনি ব্যাবসা
এই তিন প্রকার প্রতিষ্ঠানেরই অর্থায়নের সাধারন বৈশিষ্ট্য হলো বিনিয়গের জন্য অর্থ সংগ্রহ ও অর্থ ব্যাবস্থাপনা। অর্থ সংগ্রহের ক্ষেত্রে স্থীয় মূলধন ও ঋণ উৎস হিসেবে ব্যাবহৃত হয়। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা ব্যাবসায় অর্থায়নের বিষয় আলোচনা করবো।

একমালিনা ব্যাবসা কাকে বলে?

বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠান সাধারনত ছোট প্রতিষ্ঠান, যা একমালিকানা বা অংশীদারি ব্যাবসা হিসেবে গঠিত। বিভিন্ন ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প, গ্রাম গঞ্জের হোটেল ও রেস্টুরেন্ট ব্যাবসা, মুদি দোকান, সেলুন, বুটিক শোপ ইত্যাদি এই ধরনের ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান। একমালিকানা প্রতিষ্ঠানে লাভ হলে মালিক একা ভোগ করে এবং লোকসান হলে ক্ষতিপুরণের জন্য মালিকের ব্যাক্তিগত সম্পত্তিও ব্যাবহৃত হয়।


অংশীদারি ব্যাবসা কাকে বলে?

অংশীদারি প্রতিষ্ঠানে অংশীদারদের মধ্যে ঝুঁকি বন্টিত হয়। বিধায় ব্যাবসায় আর্থিক ক্ষতি বহনে ব্যাক্তিগত সম্পত্তি ব্যাবহারের জন্য প্রস্তুত থাকতে হয়। এ ধরনের একমালিকানা বা অংশীদারিক ব্যাবসায় প্রতিষ্ঠানের তাহবিল সংগ্রহের উৎস মালিকের নিজ তাহবিল, মুনাফা, আত্বীয়স্বজন থেকে গৃহীত ঋণ, ব্যাংক অথবা গ্রামীণ মহাজন থেকে সুদের ভিত্তিতে ঋণ গ্রহণ। সুতরাং নিজস্ব তাহবিল নিয়োগ করে এর যথাযোগ্য ব্যাবহার নিশ্চিত করে মুনাফা অর্জন করাই এ ধরনের প্রতিষ্ঠান গুলোর অর্থায়নের মূল উদ্যেশ্য।

যৌথ মূলধনি কাকে বলে?

যৌথ মূলধনি কোম্পানির অর্থায়ন প্রক্রিয়া ভিন্ন ধরনের। একটি প্রতিষ্ঠান যৌথ মূলধনি হতে হলে সরকারি অনুমোদন নিতে হয়। সরকার অনুমোদন দেওয়া আরে নুন্যতম মূলধনের পরিমান পরিচালকগনের পরিচয়পত্র, ব্যাবসার উদ্যেশ্য ও নানাবিধ দলিলাদি বিচার-বিশ্লেষন করে। অনুমোদন পেলে একটি কোম্পানি তার বড় অংকের কাংখিত মুলধনকে ছোট ছোট অংকে বিভক্ত করে শেয়ার হিসেবে বিক্রি করে। যেমন- ১ কোটি টাকা টাকারর মূলধন ১,০০০ টাকার ১ লক্ষ শেয়ারে ভিবক্ত করে সাধারন জনগনের কাছে বিক্রয় করা  হয়। একেকটি শেয়ারের মুল্য মাত্র ১,০০০ টাকা হওয়ার কারণে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের ছোট বিনিয়োগকারীরাও কোম্পানির শেয়ার কিনতে পারে। শেয়ারহোল্ডারগন কোম্পানির মালিক এবং প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারহোল্ডাররা শেয়ার বাজার যেমন- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ও চট্টগ্রাম শেয়ার এক্সচেঞ্জে শেয়ার বিক্রয় করে। শেয়ারটি নগদ অর্থে রুপান্তর করতে পারে।   




Next Post Previous Post