কিভাবে BIN Certificate করা যায়?

BIN Certificate কি

প্রতিটি ব্যবসায় একটি অদ্বিতীয় বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (BIN) থাকে। এই নম্বরটি বিন নম্বর বলা হয়। এই নাম্বরটি পেতে হলে জাতীয় রাজস্ববোর্ড থেকে নিবন্ধন করতে হয়।

বাংলাদেশে প্রথমে /৯ ডিজিটের এ্যানালগ বিন সার্টিফিকেট ছিল। এরপর ২০২৮ সালে অনলাইন হওয়ারপর সেটা ১১ ডিজিট করা হয়েছিল। বর্তমানে নতুন ভ্যাট আইনের অধীনে সকল বিন সার্টিফিকেট ১৩ ডিজিটের।

যে সকল ব্যাবসায়ীরা পূর্বের কোন বিন সার্টিফিকেট নিয়েছে, তাদেরকেও অবশ্যই ১৩ ডিজিটের এই বিন সার্টিফিকেট নিতে হবে। 

কেন BIN করতে হয়? 

বিন সার্টিফিকেট করার অনেক ভালো দিক আছে আছে নিচে আমি কিছু দিক উল্যেক্ষ্য করছি।
  • ব্যাবসা পরিচালনার জনয যে কোন ধরনের সার্ভিস প্রদানের জন্য।
  • টেন্ডারে অংশ গ্রহণ করার জন্য
  • ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার জন্য
  • আমদানি ও রপ্তানির সকল ক্ষেত্রে

বিন সার্টিফিকেট করতে কি কি লাগে? 

বিন সার্টিফিকেট করতে প্রয়োজনীয় যেই ডকুমেন্ট লাগে নিচে তার লিস্ট দেওয়া হলো।
  1. ট্রেড লাইসেন্স
  2. জাতীয়পত্র
  3. টিন সার্টিফিকেট
  4. বাংক সলভেন্সি সার্টিফিকেট
  5. লিমিটেড কোম্পানি বা পার্টনারশীপ ফার্ম হলে অন্যান্য ডকুমেন্ট

বিন সার্টিফিকেট করার পর ভ্যাট রিটার্ন জমা দিতে হবে কি?

বিন সার্টিফিকেট করার পর আপনাকে প্রত্যেক মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে গতমাসের বিক্রয়ের উপর হিসেব করে ভ্যাট রিটার্ন জমা দিতে হবে। ভ্যাট আসুক বা না আসুক, রিটার্ন আপনাকে অনলাইন এবং অফলাইনে অবশ্যই দাখিল করিতে হবে।



রিটার্ন দাখিল না করলে কি হবে? 

রিটার্ন দাখিল না করলে অনলাইনে আপনার তৈরিকৃত সার্টিফিকেটের বিপরীতে অটোমেটিক মাসিক ১০ হাজার টাকা জরিমানা যুক্ত হয়ে যাবে। যেটা যে কোন সময় ভ্যাত অফিস আপনার থেকে আদায় করতে পারবে। 
Next Post Previous Post