শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করবেন কিভাবে? How to invest in share market

শেয়ার বাজার বা শেয়ার মার্কেট, বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শেয়ার বাজারের মার্কেট বেশ ভালো হলেও বাংলাদেশও খুব একটা কম নয়। তবে আমাদের স্বাধারন মানুষের অনেকেই জানেন না শেয়ার বাজারে কিভাবে ইনভেস্ট করতে হয় এবং শেয়ার বাজারে নিজের নাম কিভাবে লিখাতে হয়। আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটিতে শেয়ার করবো শেয়ার বাজারে কিভাবে ইনভেস্ট করতে হয়। 

বাংলাদেশে শেয়ারে ইনভেস্ট করতে চাইলে বিনিয়োগ কারীকে প্রথমেই একটি BO Account ওপেন করতে হবে। BO ফুল ফর্ম Beneficiary Owner। BO Account স্টোক এক্সচেঞ্জের ইনভেস্টরদের জন্য একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মত কাজ করে। ব্যাংকের এ্যাকাউন্টে যেমন কেউ টাকা জমা রাখতে পারে, তেমনি বিও এ্যাকাউন্টে ইনভেস্টরের বিনিয়োগ কৃত টাকা অথবা সেই টাকা দিয়ে কেনা শেয়ার জমা থাকে। মূলত এই বিও অ্যাকাউন্টটি ব্যাবহার করে ইনভেস্টর তার শেয়ার কেনা বেচা করে। 

তবে বিও অ্যাকাউন্ট ওপেন করার জন্য ইনভেস্টরের নিজের নামে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকতে হয় যেটি তার বিও অ্যাকাউন্ট এর সাথে লিংক করা থাকে। 

BO Account টি Central Depository Bangladesh Limited বা CDBL নামের একটি প্রতিষ্ঠানে তৈরি হয়। ইনিভেস্টরের সকল লেনদেনের হিসাব CDBL এর অ্যাকাউন্টে মেন্টেইন করা হয়। 

ইনভেস্টরের এই বিও অ্যাকাউন্ট কোন একটি ব্রোকারেজ হাউজের (BROKERAGE HOUSE) মাধ্যমে ওপেন করতে হয়। বর্তমানে বাংলাদেশে ৩০২ টি লাইসেন্স ব্রোকারেজ রয়েছে। যদিও এদের মধ্যে ২৫০ টির ও কম ব্রোকার কমার্সিয়ালি ট্রেডিং করে। 

একজন আগ্রহী ইনভেস্টর DSE (Dhaka Stock Exchange) বা CSE (Chittagong Stock Exchange) এর ওয়েবসাইট থেকে তার সুবিধামত লিস্টেড যে কোন একটি ব্রোকারেজ হাউজ সিলেক্ট করে সহজেই একটি BO Account ওপেন করতে পারে। 

BO Account একজন আগ্রহী ইনভেস্টর একক ভাবে অথবা যৌথভাবে ওপেন করতে পারেন। 

CDBL এর ২০২১ সালে জুলাই মাসের ডেটা অনুযায়ী দেশে এ্যাক্টিভ বিও অ্যাকাউন্ট গুলোর মধ্যে ব্যাক্তিগত বা একক BO Account এর পরিমান ১৬ লক্ষেরও বেশি। যৌথ অ্যাকাউন্ট এর পরিমাণ ৮.৫ লক্ষ এবং বিভিন্ন কোম্পানি দ্বারা পরিচালিত অ্যাকাউন্টের পরিমান ১৫ হাজারটি। 

একটি BO Account ওপেন করতে পাসপোর্ট সাইজে ছবি, NID বা পাসপোর্টের ফটোকপি, এবং আবেদন কারীর ব্যাংক ডিটেইলস ইত্যাদি ডকুমেন্টের প্রয়োজন হয়। এছাড়াও আবেদন কারীর নমিনির পাসপোর্ট সাইজ ছবি এবং NID এর ফটোকপিও প্রোভাইড করতে হয়। 

অ্যাকাউন্ট অপেনিং চার্জ ব্রোকারেজ ভেদে ৪৫০ থেকে ১০০০ টাকা হতে পারে, তাছারাও প্রতিবছর BO Account রিনিউ করার জন্য DSE এর নির্ধারিত ৪৫০/- টাকা পরিশোধ করতে হয়। সাধারনত ফর্ম ফিলাপ এবং চার্জ পে করার ১-২ দিনের মধ্যে আবেদনকারী তার রেজিস্ট্রেশন নাম্বর পেয়ে যান। এসব কাজ বর্তমানে খুব সহজেই অনলাইনে করা সম্ভব। 

BO Account ওপেন হয়ে গেলে যে কেউ সহজে স্টোক এক্সচেঞ্জে ট্রেডিং শুরু করে দিতে পারেন। 

BO Account অপেনের পর ইনিভেস্টরের তার ফান্ড BO Account এ ট্রান্সফার করতে হয়। অথবা তিনি যে পরিমানে টাকা ইনিভেস্ট করতে চান সে পরিমান টাকা অ্যাকাউন্টটিতে জমা করতে হয়। 

টাকা জমা জরার পর সাধারনত ৩ ভাবে স্টোক ক্রয় করা সম্ভব। নিজে ব্রোকারেজ হাউজে উপস্থিত হয়ে। ব্রকারকে কল করে বা মেসেজ করে এবং স্টোক এক্সচেঞ্জের মোবাইল অ্যাপ ব্যাবহার করে। 

Next Post Previous Post