নিউরোলিংক কি? নিউরো লিংক কিভাবে কাজ করবে?

নিউরোলিংক এমন একধরনের প্রযুক্তি যা মানুষের মস্তিষ্ক ও কম্পিউটারের মধ্যে সমন্বয় ঘটাবে। আমাদের মস্তিষ্ক হয়ে উঠবে একটি স্বয়ংক্রীয় কম্পিউটার। মানুষ হয়ে উঠবে অতি মানব, যার ফলে শুধু মাত্র চিন্তা ভাবনার সাহায্যে কম্পিউটার বা মোবাইলের মত ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস পরিচালনা করা সম্ভব হবে। কম্পিউটারের মত বিভিন্ন ছবি, গান, মুভি কিংবা ডকস ফাইল সরাসরি মস্তিষ্কে ডাউনলোড করে রাখা যাবে। স্কুল কলেজে আর নতুন করে কিছু শেখানো লাগবে না। শিখতে হবেনা নতুন কোন স্কিল। শুধু মাত্র মস্তিষ্কে ডাউনলোড করেই ব্যাবহার করা যাবে সব কিছু।

আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে আমরা জানাবো নিউরো লিংক সম্পর্কে তাই সবাইকে মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য অনুরোধ করা হলো। এবং সাতজেই থাকুন Mr AnTor Ali ওয়েবসাইটের সাথে।

কোন কিছু জানার জন্য আর গুগল করতে হবেনা। প্রশ্ন এলেই উত্তরটা ঘুরপাক খাবে আপনার মাথায়। শারিরিক ভাবে অক্ষত একজন ব্যাক্তি শুধু মাত্র চিন্তা ভাবনার সাহায্যে মোবাইল বা কম্পিউটার ব্যাবহার করে নিজের প্রয়োজনীয় কাজ করতে পারবেন। মানুষের অতিতের কোন কিছু আর ভুলবেনা সব কিছু সারাজীবন মনে রাখতে পারবে। আবার চাইলে নিজের ম্যামরিকে অন্য কোন ডিভাইস বা অন্য কোন শরিরে সংরক্ষন করে রাখা যাবে। 

মানুষকে অতি মানব বানাতে এলন মাস্কের নিউরোলিংক তৈরি করছে এমনি এক ব্রেইন মেসিন ইন্টারফেস। যা আমাদের মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতাকে কয়েকগুন বারিয়ে দিবে। 

কিভাবে কাজ করবে নিউরোলিংক?

আমাদের মস্তিষ্ক নিউরোনের তৈরি। একজন মানুষের শরিরে প্রায় ৮৬ বিলিয়ন নিউরোন রয়েছে। যেগুলো তথ্য আদান প্রদানের কাজ করে। একটি নিউরোনের ৩ টি অংশ থাকে। সেগুলো হলো-
  1. ডেনরাইড
  2. ছোমা
  3. এক্সন
ডেনরাইড বিভিন্ন সিগনাল গ্রহণ করে আর ছোমা সেগুলোকে বোঝার চেষ্টা করে। এক্সন সেই সিগনালকে আবার অন্য একটি নিউরোনের ডেনরাইডে পাঠিয়ে দেয়। অর্থাৎ একটি নিউরোনের ডেনরাইড আরেকটি নিউরোনের এক্সনের সাথে সংযোগ স্থাপন করে। এতে সংযোগ স্থলকে বলে সাইনেপ্স! ডেনরাইড ও এক্সনের সংযোগের সময় সাইনেপ্সে এক ধরনের আনুবিকণার সৃষ্টি হয় যে গুলো নিউরোনের মধ্যে এক প্রকার তরিত প্রবাহের সৃষ্টি করে। এ ক্ষেত্রে বাইরে থেকে একটি ইলেক্ট্রর যদি এই নিউরোন গুলোর সংযোগ স্থলে বসানো হয় তাহলে সেই ইলেক্ট্রিক সিগনালকে শনাক্ত করা সম্ভব হবে। আর এই কাজটি করতে নিউরোলিংক মানুষের মস্তিষ্কে একটি চিপসেট স্থাপন করবে যা নিউরো থেকে আসা সিগনাল শনাক্ত করতে পারবে। এবং সেই হিসেবে নির্দিষ্ট কোন কাজের জন্য যেই বৈদ্যুতিক এমপস তৈরি করতে হয় সেটা উতপন্ন করবে। এর ফলে নউরোনটি সক্রিয় হবে এবং সেই কাজ করতে পারবে। 

নিউরো লিংক এর চিপসেটটির সাথে অনেকগুলো ইলেকট্রিক তার যুক্ত থাকবে। মানুষের চুলের চাইতেও কয়েকগুন পাতলা তার গুলোলে মানুষের মাথায় নিউরো সার্জারির সাহায্যে স্থাপন করা হবে। এই জটিল কাজটি সহজ করতে একটি রবট বানিয়েছে নিউরো লংক। মাত্র এক ঘন্টায় নিউরো সার্জারির মাধ্যমে চিপসেটটি মানুষের মাথায় স্থাপন করতে পারবে। 

ইতি মধ্যে এই চিপসেটটি একটি বানরের উপরে পরিক্ষা করে সফল হয়েছে নিউরোলিংক, এবং খুব দ্রুত তারা মানুষের উপর এটা পরিক্ষা চালাবেন। 


Next Post Previous Post