মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কেন পোশাক তৈরি করেনা? ইউরোপ ও আমেরিকা জামা কাপড় তৈরি করেনা কেন?

আমেরিকা, ইংল্যান্ডসহ ইউরোপীয় সকল দেশগুলো চাইলে আমাদের থেকে ভালো জামা কাপড় তৈরি করতে পারে। আমাদের থেকেও ঝকঝকে কাপড় বানিয়ে রপ্তানি করতে পারে। আর্মস্টেক প্রোডাক্ট বিক্রি করে বিলিয়ন ডলার আয় করলেও নিজেরা কাপড় কেন বানায় না জানেন? জানলে আপনি বুঝবেন আমরা কতটা বড় বড় ইন্ডাস্ট্রি দোহর করিয়ে রেখেছি।  তাহলে চলুন জানা যাক

আমেরিকানরা কেন জামাকাপড় তৈরি করেনা?

বাংলাদেশে একজন গার্মেন্ট শ্রমিকের বেতন ৫ হাজার থেকে ১০-১২ বা ১৫-২০ হাজার টাকার আশে পাশে, তাকে ভরে ঘুম থেকে জাগতে হয়, কিসের কি রান্না করে খেলো তার আগেই পীপড়ার মত দল বেধে গার্মেন্ট গুলোতে ঢুকে পরে। বিকেল পর্যন্ত বা দুপুরের লাঞ্চ টাইপ পর্যন্ত সবাই রবটের মতন কাজ করে। আগে বনাস ছিলোনা, এখন কেউ কেউ দেয়! আগে বেতনটাও ঠিকঠাক দিতনা, এখন হয়ত সবাই পাচ্ছে। এই (ভয়ংকর) দৈনিক মুজুরি, শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিনি চলে। কোন ডে অফ নাই, কোন ছুটি নাই। গার্মেন্টস শ্রমিকরা দুই ঈদে লোকাল বাসে বা ট্রেনে করে বাড়িতে ফিরে। সবার শেষে যায় এবং সবার আগে ফেরে। বছরের অন্য সময় তাদের গ্রামের বাসায় তারা ভুলেও ফিরে যায়না। তারা বাচ্চা জন্ম দিতে ভয় পায়, দেখবে কে? সামি স্ত্রী ভর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করে। যদি ভুলেও বাচ্চা জন্ম হয় গ্রাম থেকে তাদের মায়েরা চলে আসে! ছোট্ট ঘরে বাচ্চাদের বেড়ে উঠতে হয় দাদি নানির কোলে। সামি স্ত্রীর সন্তানদের সাথে আরেকটা বৃদ্ব্য মানুষের জীবন বন্দি হয়ে যায়, অথবা দুধ ছাড়াও পর বাচ্ছাদের গ্রামের বাসায় দাদি বাড়িতে পাঠানো হয়।  

যারা এই গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিতে চাকড়ি করেন, তাদের বাসা থেকে সবাই আসা বাদি- সামি স্ত্রী কাজ করে হয়ত একদিন গ্রামে টাকা নিয়ে ফিরবেন এবং ভালো একটি ব্যাবসা বাণিজ্য করবে এবং নিজ গ্রামে কাটিয়ে দিবে। তবে আমার আমার এক্সপ্রিয়েন্স থেকে বলতে পারি, এইসব গার্মেন্ট ইন্ডাস্ট্রিতে চাকরি করে কেউ ফিরে এসে দারাতে পারেনি। নিশ্য হয়ে আবার ফিরে যায় সেই গার্মেন্টসে। 

আমেরিকান, ইটালিয়ান, ব্রিটিশিয়ান, মেক্সিকো সহ আরো অনেক পশ্চিমা দেশের মানুষজন বাংলাদেশে এসে ব্যাবসা পরিচালনা করে, কেন জানেন? এখানে শ্রমের দাম কম, উৎপাদন খরচ কম, এখানে জীবনে মূল্য নেই। এই কাজ গুলো ইউরোপ আমেরিকাতে করা যাবেনা। ঐখানে শ্রমিকের দাম বেশি। প্রোডাকশনের পিছনে অনেক টাকা চলে যাবে। এই জন্যই কম দামে জীবন কিনে নিয়ে যায় বাংলাদেশ থেকে। ওয়ার্ল্ডকাপে, আর্জেন্টি ও ব্রাজিলের জার্সিতে যখন বাংলাদেশের নাম দেখবেন। (Made in Bangladesh) আপনি এখন আর আনন্দিত হতে পারবেন না। প্রত্যেক্টা সুতার ভাজে ভাজে অনেক গুলো বাংলাদেশের শ্রমিকের জীবন শেলাই করে "বে'ধে" রাখা আছে। 





Next Post Previous Post