Wifi কি? ওয়াইফাই কেন এত জনপ্রিয়? সবাই ওয়াইফাই কেন ব্যাবহার করে?

Wifi শব্দটি বর্তমান সময়ে আমার মনে হয়না এমন কেউ আছেন যে এই নামটি শুনেননি। আর যদি না শুনে থাকেন কোন সমস্যা নেই কারন আজকের এই আর্টিকেলে আমি ওয়াইফাই (wifi) সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

ওয়াইফাই কী?

Wifi এর পুর্নরুপ হচ্ছে Wireless Fidelity যাকে সংক্ষেপে Wifi বলা হয়। Wifi হচ্ছে জনপ্রিয় তারবিহীন প্রযুক্তি যা রেডিও ওয়েভ ব্যাবহার করে কোন কোন ইলেক্ট্রিক ডিভাইসকে উচ্চগতি সম্পন্ন ইন্টারনেট সংযোগ কিংবা কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ডেটা আদান প্রদান করতে পারে। এটা প্রযুক্তিগত ভাবে আইইইই ৮০২.১১বি (IEEE 802.11B) নামে পরিচিত। ওয়াইফাই প্রযুক্তি অন্য স্টান্ডার্ড ইন্টারনেট, ইথারনেট, ল্যানসহ তার ভিত্তিক অন্যান্য প্রযুক্তি থেকে অপেক্ষাকৃত দ্রুত (১১ এমবিপিএস) এবং কম ব্যাহবহুল।  

এভাবে, ওয়াইফাই (Wifi) তারবিহীন ল্যানে ল্যাপটপ পিসি, পিডিএ, স্মার্ট ফোন, ট্যাব এবং অন্যান্য ডিভাইসের সাথে ওয়াইফাই মডেমের সংযোগ করে দ্রুত বর্ধনশীল ব্যবসা, পাবলিক এবং গৃহে খুব সহজেই ইন্টারনেট এবং অন্যান্য নেটওয়ার্ক সংযুক্ত করে। এর একটি দ্রুততর সংস্করণ (802.11 G) যার গতি ৫৮ এমবিপিস; এই প্রযুক্তি ব্যাপক ব্যাবহারের প্রতিশ্রুতি দেয়।

ওয়াইফাই এত দ্রুত ও ফাস্ট এবং তারবিহীন হবার কারণে সবার কাছে অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠে এবং অন্যান্য নেটের তুলনায় ওয়াইফাইয়ের দামও অনেক কম। এবং ওয়াইফাইয়ের কিছু সুবিধা অসুবিধা আছে যা নিম্নে বর্ননা করা হলো।

ওয়াইফাইয়ের সুবিধা সমুহ কি কি?

  • ওয়াইফাই লোকাল এড়িয়া নেটওয়ার্কের তুলনায় তুলনামূলকভাবে সস্তা। প্রত্যান্ত অঞ্চল, ঐতিহাসিক ভবন ইত্যাদি যায়গা সেখানে তার বা কেবল ব্যবহারের সুযোগ নেই সে সকল যায়গায় তারবিহীন লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক অর্থাৎ ওয়াইফাই খুব সহজেই ব্যবহার করা যায়।
  • প্রস্ততকারীগন বর্তমানে প্রায় সকল ল্যাপটপ তারবিহীন নেটওয়ার্কের সাথে খাপ খাওয়ানোর উপযোগী করে নির্মাণ করছেন। ওয়াই-ফাইয়ের চিপসেটের (Chipset) দাম কমতে শুরু করেছে। ফলে আরো অনেক বেশি ডিভাইসে একে একটি নেটওয়ার্কিং অপশন দেওয়া হচ্ছে। 
  • ওয়াইফাই পণ্যসমুহ ওয়াইফাই এলায়েন্স Wifi Alliance কর্তৃক সনদপ্রাপ্ত।
  • যে কোন মানের ওয়াইফাই বিশ্বের যে কোনো যায়গায় কাজ করবে।
  • ওয়াইফাইয়ের বর্তমান সংস্করণ ব্যাপকভাবে নিরাপদ বলে গণ্য করা হয়।
  • মানসম্পন্ন সেবার নতুন প্রোটোকল ভয়েস ও ভিডিও প্রয়োগে ওয়াইফাইকে আরো যথাযথ করে তুলছে। বিদ্যুত সাশ্রয় পদ্ধতি ব্যাটারি পরিচালনা কার্যক্রমকে আরো উন্নত করেছে।

ওয়াইফাইয়ের অসুবিধা সমুহ

  • এর ডেটা স্তানান্তর বেশ ধীরগতি সম্পন্ন।
  • নির্দিষ্ট কিছু এলাকা ছাড়া অন্যান্য যায়গায় কভারেজ পাওয়া দুরুহ। যেমন গাড়িতে করে এক যায়গা থেকে অন্য যায়গায় যাওয়ার সময় ওয়াইফাইয়ের সাহায্যে কাজ প্রায় অসম্ভব।
  • ডেটার নিরাপদ্দা ঝুকি থেকেই যায়।
  • নেটওয়ার্কের নিরাপত্তা ঝুকি তো রয়েছেই।


Next Post Previous Post