দারাজের ইতিহাস | দারাজ বাংলাদেশে কেন এত জনপ্রিয়? দারাজের মূল প্রতিষ্টাতা কে? দারাজের সকল তথ্য Daraz History in Details

Daraz দক্ষিন এশিয়া ও পুর্ব এশিয়ার একটি লজিস্টিক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান। এবং বর্তমানে বাংলাদেশের লিডিং ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান হচ্ছে দারাজ। দক্ষিন এশিয়ার মোট ৫ টি দেশে দারাজ প্রতিনিয়ত তাদের কার্যক্রম করে যাচ্ছে। The Daily Star এর একটি তথ্য সুত্রে দারাযে প্রতিদিন ৫০,০০০ এরও বেশি অর্ডার হচ্ছে। এছাড়াও দারাজে রয়েছে ৫০ হাজারের বেশি সেলার যার মধ্যে সুধু মাত্র বাংলাদেশের রয়েছে ৩৩ হাজার এক্টিভ সেলার। আমাদের আজকের এই পোস্ট/আর্টিকেলে শেয়ার করবো দারাজ নিয়ে বিস্তারিত। এবং শেয়ার করবো দারাজের ইতিহাস, কে বা কারা দারাজ প্রতিষ্টা করে, দারাজের দৈনিক সেল ও বছরের গর আয় ও সেলসহ আরো অনেক কিছু। সুতরাং আজকের এই আর্টিকেল আমি মনে করি অনেক ইন্টারেস্টিং হতে চলেছে। 

দারাজের ইতিহাস

দারাজের যাত্রাটা শুরু হয় ২০১২ সালে। সেই সময় রকেট ইন্টারনেটের একজন এম্পলয় যার নাম মুবীন ময়ুর প্রধান প্রতিষ্ঠাতা ও সহকারী-প্রতিষ্টাতা ফরিস শাহয়ের হাত ধরে দারাজ প্রতিষ্টিত হয়। এই ২ জন মিলে ফ্যাশন জাতীয় প্রোডাক্ট খুচরা বিক্রি করার লক্ষ্যে দারাজ প্রতিষ্টা করেন। সেই সময় মুনীব রকেট ইন্টারনেটে কাজ করতেন এবং দারাজের প্রাথমিক অর্থায়ন এবং কাজ রকেট ইন্টারনেট করছিল। এবং ২০১২ সাল নাগাদ প্রথম তারা পাকিস্তানেই যাত্রা শুরু করে। 

রকেট ইন্টারনেট একটি ইউরোপীয় প্রতিষ্ঠান ছিলো। এবং ইউরোপ ও এমেরিকার মত দেশে ততদিনে এ্যামাজন, আলিবাবা, আলি-এক্সপ্রেসের মত বেশ কিছু ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান গ্রো হতে থাকে তাই ইউরোপীয়রা দক্ষিন এশিয়ার পাকিস্তানকে টার্গেট করে দারাজ ২০১২ সালে প্রথমবারের মত পাকিস্তানে লঞ্চ করে এবং পর্যায় ক্রমে Bangladesh, Nepal, Srilanka, Myanmar এর মত দেশগুলোতেও তাদের কার্যক্রম শুরু করে। 

দারাজ বাংলাদেশের ইতিহাস

২০১৫ সালে "দারাজ বাংলাদেশ" নামে বাংলাদেশে দারাজের কার্যক্রম শুরু করে। কার্যক্রম শুরু পর বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ততকালীন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম এর শুভেচ্ছা দূত হন।  দারাজ গ্রাহকের সেবা বৃদ্ধিতে ২০১৫ সালেই অ্যান্ড্রয়েড এবং আইফোন ব্যাবহারকারীদের জন্য মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন চালু করে। 


সফলতা ও সাপোর্ট

২০১৫ সালের সেপ্টম্বরে দারাজ প্রতিষ্ঠানটি যুক্তরাজ্যের মালিকানাধীন ফাইনান্স ডেভেলপমেন্ট ইন্সটিটিউট থেকে ৫০ মিলিয়ন ইউরো বিনিয়োগ পায়। এবং ঠিক তার পরের বছর ২০১৬ সালের জুলাই মাসে দারাজ কায়মুকে অধিগ্রহণ করে। দারাজ তখনো অব্দি খুব একটা সারা না ফেলতে পারলেও বাংলাদেশে আসার পর দারাজ বাংলাদেশ ফাস্টেস্ট গ্রোয়িং ব্রান্ড ও ফাস্টেড গ্রোইং লিডার হিসেবে বাংলাদেশ থেক অ্যায়ার্ড পায়।

দারাজ কেন এত জনপ্রিয়

বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ লিডিং ই-কমার্স কোম্পানি দারাজ। যেখানে বাংলাদেশের মত দেশে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে পন্য কেনা বেশ ঝামেলা বটে সেখানে বিদেশি সেলারদেরও প্রোডাক্ট সরসারি বাংলাদেশে ডেলিভারি করারও ব্যাবস্থা করে দিচ্ছে দারাজ। এছাড়াও ৭ দিনের ইজি রিটার্ন এবং দেশীয় পণ্য ২-৩ সর্বোচ্চ ৫ দিনে ডেলিভারির সুযোগ এবং সেই সাথে ঢাকার মধ্যে দারাজ মার্ট দিচ্ছে ২৪ ঘন্টা বা সেম ডে ডেলিভারি সুবিধা। দারাজ নিত্য নতুন সব ক্যাম্পিং বিভিন্ন স্পন্সরশীপে কাজ করে আসছে। এছাড়াও লোকাল কোন দোকানদার বা ব্যবসায়ী চাইলে দারাজে তার প্রোডাক্ট দেশে দেশের বাইরে সেল করতে পারবে। এত এত সব ফিচারের জন্য সবাই বাংলাদেশ ই-কমার্স বলতে সবাই দারাজকেই চিনে থাকে। 

দারাজের বর্তমান মালিক আলিবাবা?

ই-বানিজ্যের দানব হচ্ছে আলিবাবা, ২০১৮ সালের ৯মে আন্তরজাতিক দারাজগ্রুপকে কিনে নেয়। এবং আলিবাবা সম্পুর্ন মালিকানা লাভ করে। আলিবাবা যখন দারাজকে একুয়ার করে নেয় ঠিক তারপর পরই দারাজ আরো গ্রো করতে থাকে এবং দারাজ বাংলাদেশ, পাকিস্তান, নেপাল, মায়ানমার, থাইলেন্ড, সিঙ্গাপুর, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, হংকং সহ এশিয়ার বেশ কিছু দেশে দারাজ ও লাজাডা নামে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। 

দারাজের প্রত্যেকটি দেশেই রয়েছে হেডকুয়াটার। দারাজের বিভিন্ন অফিস ও হেডকুয়াটারের ঠিকানা জানতে এখানে ক্লিক করুন। 

Mr. AnTor Ali

Hello, I am Md. AnTor Ali, I share various information and tutorials on this website. If you want to know any new information about technology, you can comment on our website and share your opinion. If there is any mistake in any article written by me, you will look at it with forgiveness.

Post a Comment

Previous Post Next Post

Contact Form