এলন মাস্ক কে? Who is Elon Musk?

এলন মাস্ক বিশ্বের মোস্ট এডভাঞ্চারার বিজনেস ম্যান। এলন মাস্ক বিশ্বের বড় বড় কিছু প্রযুক্তি কোম্পানির মালিক। তবে টেসলা ও স্পেসএক্স দিয়েই এলন মাস্ক জনপ্রিয় হয়ে উঠে। আজকের আই আর্টিকেলে আমি এলন মাস্কের বিষয় জানা অজানা কিছু তথ্য আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। অবশ্যই এলন মাস্কের জীবন শুনে আপনি অবাক হয়ে যাবেন।

যে কোন সাধারন মানুষের কম্পিউটার প্রোগ্রামিং শিখতে সাধারন ৬ মাস সময় লাগে কিন্তু এই মহান ব্যক্তিটির মাঝে ছোট বেলা থেকেই কিছুত একটা ছিলো। ৯ বছর বয়সে এলন মাস্ক তার প্রথম কম্পিউটারটি হাতে এবং তখনি একটি বইও সে কিনে নিয়ে ছিলেন। এরপর সেই ৯ বছরের বাচ্চাটি টানা দিন রাত না ঘুমিয়েই বইটি শেষ করে দেয়, আর সেই প্রোগ্রামিং জ্ঞানকে ব্যাবহার করেই মাত্র ১২ বছর বয়সে মাস্ক নিজে একটা গেম ডিজাইন করে এবং তার গেম একটি কোম্পানির কাছে বিক্রিও করে দেন। এরকম অদ্ভুদ কিছু ঘটনা রয়েছে এলন মাস্কের ছোট বেলার  জীবনে।

অনেকেই বলে এলন মাস্কের কাছে ফটোগ্রাফিক মেমোরি পাওয়ার রয়েছে অর্থাৎ তিনি যে জিনিসকে একবার দেখে সেটা আর কখনই ভুলেনা। 

এলন মাস্কে ছোট বেলায় তার বন্ধুরা তাকে নিয়ে হাসাহাসি করত এরজন্য মাস্ক কারো সাথে খুব একটা মিশতনা এবং সবসময় বই পরেই কাটাত, কারন তার কোন ভালো বন্ধু ছিলোনা। এলনের বড় ভাই একটি কনফারেন্সে বলেন এলন ৬-৭ বছর বয়সে ১৫-১৬ ঘন্টা বই পরেই কাটাতেন। ব্যপারটা অনেকের কাছে ফানি লাগলেও এটাই সত্যি, ছোট বেলায় এলন কারো সাথে কথা বলতে বলতে নিজস্ব চিন্তায় মগ্ন হয়ে যেতো। আর এই কারনে এলনের বাবা মা মনে করেন এলন ভালোভাবে শুনতে পায়না হয়ত। আর এর জন্যই তার কানের অপারেশন ও করা হয়েছিলো। কিন্তু অপারেশনের পরেও কোন পরিবর্তন হয়নি। তারপর তারা বুঝতে পারেন এলনের ফোকাস ক্ষমতা এত বেশি যে যদি তিনি কোন কিছু ভাবতেন তাহলে আশে পাশের কোন আওয়াজ তিনি শুনতেন না। 

চহোট বেলা থেকেই এলন ইনোভেটিভ হওয়ার পাশাপাশি বিজনেস মাইন্ডের ও ছিলেন। নয়তবা কেন মাত্র ১২ বছরের বাচ্চা তার নিজের প্রোডাক্ট (Game) তৈরি করে কোম্পানির কাছে বিক্রি করবে? 

১৭ বছর বয়সে এলন পেন্সেল ভানিয়া ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হয়ে কানাডা শিফট হিয়ে যান। সেখানে তার কিছু বন্ধুও তৈরি হয়। এলন তার ইউনিভার্সিটিতে বন্ধুবান্ধবের সাথে আড্ডা দিতে পারতেন না, তাই এলন ও তার বন্ধুরা মিলে একটা বিজনেস শুরু করে এবং তারা এমন রুম ভাড়া নেন যেখানে তারা পার্টি আয়োজন করতে পারবে, এবং পার্টিতে ব্যাক্তি অনুযায়ী ৫ ডলার প্রবেশ ফী চার্জ করেন। এটা দিয়ে তাদের পকেট মানি এবং বাসা ভাড়া সব কিছুই হিয়ে যাচ্ছিলো।





Next Post Previous Post