ভ্রাতৃত্ববোধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি

ভ্রাতৃত্ব শব্দের অর্থ হলো অনুভুতি প্রকাশ করা। অর্থাৎ কোন ব্যক্তির ওপর ব্যক্তিকে ভাই এর সমতুল্য মনে করা। ভ্রাতৃত্ব সুলভ আচার আচরণ করা। নিজের ভাইয়ের সাথে আমরা ভালো ব্যবহার করি, তাদের সাহায্যে এগিয়ে যায়, সব সময় তাদের কল্যাণ কামনা করি, তাদের জন্য নিজেদের নানা স্বার্থ ত্যাগ করি। তেমনি ভাবে দুনিয়ার সকল মানুষের প্রতি এরূপ মনোভাব পোষণ ও নিজের কর্মের মাধ্যমে এর প্রাণ উপস্থাপনই হলো ভাতৃত্ববোধ।

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি হলো নানা সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যকার সম্প্রীতি ও ভালোবাসা। আমাদের সমাজে বহু ধর্ম , ভাষা ও জাতির লোক বসবাস করে। সমাজে বসবাসরত সব সম্প্রদায়ের মধ্যে পরস্পর ঐক্য, সংহতি ও সহযোগিতার মনোভাব হলো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি।
মানব সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভাতৃত্ববোধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন ব্যক্তিগন এ জীবনে যথাযথভাবে এগুলো অনুশীলন করে থাকবে।
ভাতৃত্ববোধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি না থাকলে কোন জাতি উন্নতি করতে পারে না। ভাতৃত্ববোধ মানুষকে ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত করে, মানুষের মধ্যে সহযোগিতা, সহমর্মিতা ইত্যাদি গুণের বিকাশ ঘটায়। ফলে মানব সমাজের ঐক্য শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা হয়। অন্যদিকে ভাতৃত্ববোধ না থাকলে মানুষ  একে অন্যকে ভালবাসে না। অন্যের কল্যাণ কামনা করে না । বন্নি স্বার্থ হাসিলের জন্য অন্যের প্রতি অন্যায়, অত্যাচার ও নির্যাতন করতেও দ্বিধাবোধ করে না।

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি মানুষের মধ্যে ধৈর্য, সহনশীলতা, পরমত সহিষ্ণুতা ইত্যাদি গুণের বিকাশ ঘটায়। মানুষ একে অন্যকে শ্রদ্ধা করতে শেখে। বিভিন্ন ধর্মের, বিভিন্ন জাতের সম্প্রদায়ের মানুষ একত্রে বসবাসের ফলে দেশীয় সভ্যতা উন্নত হয়। সবার চেষ্টায় দেশ ও জাতির উন্নতির শীর্ষে আহরণ করে। পক্ষান্তরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি না থাকলে দেশে মারামারি-হানাহানি সূত্রপাত ঘটে। বস্তুত দেশের শান্তি উন্নতির জন্য ভাতৃত্ববোধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অপরিহার্য উপাদান।


Next Post Previous Post