Showing posts with label SSC. Show all posts
Showing posts with label SSC. Show all posts

Friday, January 5, 2024

বাংলাদেশের ঋতু বৈচিত্র্য রচনা

বাংলাদেশের ঋতু বৈচিত্র্য রচনা

বাংলাদেশের ঋতু বৈচিত্র্য রচনা ২০ পয়েন্ট, বাংলাদেশের ঋতু বৈচিত্র্য রচনা, SSC 2024

ভূমিকা

ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত ও বসন্ত এ ছয় ঋতুর আবর্তন বাংলাদেশকে বৈচিত্র্যময় করে তোলে। প্রত্যেকটি ঋতুরই রয়েছে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য। এক এক ঋতু আমাদের জীবনে আসে এক এক রকম ফুল, ফল আর ফসলের সম্ভার নিয়ে। বাংলার প্রকৃতিতে ষড়ঋতুর পালাবদল আলপনা আঁকে অফুরন্ত সৌন্দর্যের। তাতে আমাদের চোখ জুড়িয়ে যায়, আনন্দে উদ্বেল হয়ে ওঠে হৃদয়। গ্রীষ্মের দাবদাহ, বর্ষার সজল মেঘের বৃষ্টি, শরতের আলো-ঝলমল স্নিগ্ধ আকাশ, হেমন্তের ফসলভরা, মাঠ, শীতের শিশিরভেজা সকাল আর বসন্তের পুষ্প সৌরভ বাংলার প্রকৃতি ও জীবনে আনে বৈচিত্র্যের ছোঁয়া। ঋতুচক্রের আবর্তনে প্রকৃতির এ সাজবদল বাংলাদেশকে রূপের রানীতে পরিণত করেছে।

ঋতুচক্রের আবর্তন

বাংলাদেশের ঋতু পরিবর্তনের মূলে রয়েছে জলবায়ুর প্রভাব ও ভৌগোলিক অবস্থান।
এ দেশের উত্তরে সুবিস্তৃত হিমালয় পর্বতমালা, দক্ষিণে প্রবাহিত বঙ্গোপসাগর। সেখানে মিলিত হয়েছে হাজার নদীর স্রোতধারা। মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে হয় বৃষ্টি। বৃষ্টির ধারা এ দেশের মাটিকে করে উর্বর, ফুল ও ফসলে করে সুশোভিত। নদীর স্রোত বয়ে আনে পলিমাটি। সে মাটির প্রাণরসে প্রাণ পায় সবুজ বন-বনানী, শ্যামল শস্যলতা। তার সৌন্দর্যে এ দেশের প্রকৃতি হয়ে ওঠে অপরূপ। নব নব সাজে সজ্জিত হয়ে এ দেশে পরপর আসে ছয়টি ঋতু। এমন বৈচিত্র্যময় ঋতুর দেশ হয়তো পৃথিবীর আর কোথাও নেই।

ঋতু পরিচয়

বর্ষপঞ্জির হিসেবে বছরের বারো মাসের প্রতি দুই মাসে এক এক ঋতু। বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ দুই মাস গ্রীষ্মকাল, আষাঢ়-শ্রাবণ বর্ষাকাল, ভাদ্র-আশ্বিন শরৎকাল, কার্তিক-অগ্রহায়ণ হেমন্তকাল, পৌষ-মাঘ শীতকাল এবং ফাল্গুন-চৈত্র বসন্তকাল। তবে ঋতুর পালাবদল সবসময় মাসের হিসেব মেনে চলে না। তা ছাড়া ঋতুর পরিবর্তন রাতারাতি বা দিনে দিনেও হয় না। অলক্ষে বিদায় নেয় একঋতু, আগমন ঘটে নিঃশব্দে নতুন কোনো ঋতুর। প্রকৃতির এক অদৃশ্য নিয়মে যেন বাঁধা ঋতুচক্রের এই আসা-যাওয়া।

গ্রীষ্ম

ঋতু-পরিক্রমায় প্রথম ঋতু গ্রীষ্মকাল। গ্রীষ্মে বাংলাদেশের রূপ হয়ে ওঠে রুক্ষ ও শুষ্ক। প্রচণ্ড খরতাপ আর খাঁ খাঁ রোদ্দুরে মাঠ-ঘাট ফেটে চৌচির হয়। নদী-নালা, খাল-বিল শুকিয়ে যায়। কখনো তপ্ত বাতাসে যেন আগুনের হলকা ছুটতে থাকে। ক্লান্তি আর তৃষ্ণায় বুক শুকিয়ে আসে পথিকের। কখনো উত্তর-পশ্চিম আকাশের কোণে কালো হয়ে মেঘ জমে। হঠাৎ ধেয়ে আসে কালবৈশাখী ঝড়। বছরের পুরোনো সব আবর্জনা ধুয়ে মুছে যায়। জ্যৈষ্ঠ আসে ফলের সম্ভার নিয়ে। আম, জাম, কাঁঠাল, আনারস, লিচু ইত্যাদি নানারকম মৌসুমি ফলের সমারোহ গ্রীষ্মঋতুকে করে তোলে রসময়।

বর্ষা

গ্রীষ্মের প্রচণ্ড তাপদাহের পর আসে বর্ষা। আকাশে দেখা দেয় সজল-কাজল মেঘ। অঝোর ধারায় নামে বৃষ্টি। পৃথিবীতে প্রাণের সাড়া জাগে। আষাঢ়-শ্রাবণের বর্ষণে জেগে ওঠে বৃক্ষলতা। কখনো একটানা বৃষ্টিতে খাল-বিল, পুকুর-নদী সব কানায় কানায় ভরে ওঠে। বর্ষার পল্লিপ্রকৃতি তখন এক অপরূপ সৌন্দর্যে উদ্ভাসিত হয়। সে রূপ ধরা পড়েছে রবীন্দ্রনাথের কবিতায়:
নীল নবঘনে আষাঢ় গগনে তিল ঠাঁই আর নাহি রে ওগো আজ তোরা যাসনে ঘরের বাহিরে। বাদলের ধারা ঝরে ঝরঝর আউশের খেত জলে ভরভর কালি-মাখা মেঘে ওপারে আঁধার ঘনিয়েছে দেখ চাহি রে।
বর্ষায় বাংলাদেশের নিচু এলাকাগুলো পানিতে ডুবে যায়। নদীতে দেখা দেয় ভাঙন। বিভিন্ন অঞ্চলে দেখা দেয় বন্যা। এমনকি শহরাঞ্চলও জলমগ্ন হয়ে পড়ে। বর্ষায় গরিব মানুষের দুঃখ-কষ্ট বেড়ে যায়। মানুষের স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত হয়।

শরৎ

শরৎ বাংলাদেশের এক ঝলমলে ঋতু। বর্ষার বৃষ্টি-ধোয়া আকাশ শরতে হয়ে ওঠে নির্মল। তাই শরতের আকাশ থাকে নীল। শিমুল তুলোর মতো সাদা মেঘ ভেসে বেড়ায় আকাশে। এ সময় শিউলি ফুল ফোটে, নদীর তীরে ফোটে সাদা কাশফুল। নির্মল আকাশে শরতের জ্যোৎস্না হয় অপরূপ ও মনোলোভা। ঘাসের বুকে শিশিরের মৃদু ছোঁয়ায় স্নিগ্ধ হয়ে ওঠে শরতের সকাল।

হেমন্ত

হেমন্ত বাংলাদেশের ফসল-সমৃদ্ধ ঋতু। তখন সোনালি ফসলে সারা মাঠ ভরে থাকে। কৃষকের মুখে থাকে হাসি। কাস্তে হাতে পাকা ধান কাটতে ব্যস্ত থাকে কৃষক। নতুন ফসল ওঠায় ঘরে ঘরে শুরু হয় নবান্নের উৎসব। পাকা ধানের সোনালি দৃশ্য সত্যি মনোমুগ্ধকর। সন্ধ্যা ও সকালে চারদিকে ঘন হয়ে কুয়াশা নামে। এসময় থেকে শীতের আমেজ পাওয়া যায়।

শীত

শীত বাংলাদেশের এক হিমশীতল ঋতু। শীত আসে কুয়াশার চাদর মুড়ি দিয়ে। শীতে বিবর্ণ হয়ে গাছের পাতা ঝরে পড়ে। সকাল হলেও অনেক সময় সূর্যের মুখ দেখা যায় না। শীতে জড়সড় হয়ে যায় মানুষ ও প্রাণিকুল। শীতের প্রচণ্ডতা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সবাই গরম কাপড় পরে। দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে শীতের প্রকোপ থাকে বেশি। শীতে বেশি কষ্ট পায় আশ্রয়হীন, শীতবস্ত্রহীন দরিদ্র মানুষ। শীত কেবল হিমশীতল বিবর্ণ ঋতু নয়। শীতকালের প্রকৃতি নানারকম শাকসবজির সম্ভার নিয়ে আসে। গ্রামবাংলায় এ সময় খেজুর রস ও পিঠা-পায়েস খাওয়ার ধুম পড়ে যায়।

বসন্ত

বসন্তকে বল হয় ঋতুরাজ। শীতের রুক্ষ, বিবর্ণ দিন পেরিয়ে বসন্ত আসে বর্ণিল ফুলের সম্ভার নিয়ে। বাংলার নিসর্গলোক এ সময় এক নতুন সাজে সজ্জিত হয়। পুষ্প ও পল্লবে ছেয়ে যায় বৃক্ষশাখা, গাছে গাছে আমের মুকুল আর ফুলে ফুলে মৌমাছির গুঞ্জন শোনা যায়। মৃদুমন্দ দখিনা বাতাস আর কোকিলের কুহুতান বসন্তের এক অপরূপ মাধুর্য সৃষ্টি করে।

উপসংহার

বাংলাদেশ বিচিত্র সৌন্দর্যের লীলাভূমি। ঋতু পরিক্রমায় এখানে দেখা যায় বৈচিত্র্যময় রূপ। গ্রীষ্মের রুক্ষ প্রকৃতি, বর্ষার জলসিক্ত জীবন, শরতের কাশফুল, হেমন্তের নবান্নের উৎসব, শীতের কুয়াশামাখা সকাল আর বসন্তের পুষ্প-পল্লব ষড়ঋতুর ভিন্ন ভিন্ন রূপ বাংলাদেশকে করেছে বিচিত্ররূপিণী। প্রকৃতির এমন বৈচিত্র্যময় রূপ পৃথিবীর আর কোথাও কি আছে?

Thursday, January 4, 2024

শ্রমের মর্যাদা রচনা

শ্রমের মর্যাদা রচনা

কর্মই জীবন। সৃষ্টির সমস্ত প্রাণীকেই নিজ নিজ কাজের মাধ্যমে বেঁচে থাকতে হয়। ছোট্ট পিঁপড়ে থেকে বিশাল হাতি পর্যন্ত সবাইকেই পরিশ্রম করতে হয়।

পরিশ্রম দ্বারাই মানুষ অন্যান্য প্রাণী থেকে নিজেকে আলাদা করেছে। পরিশ্রমের মাধ্যমেই মানুষ নিজের ভাগ্য বদলেছে। আর বহু বছরের শ্রম ও সাধনা দ্বারা পৃথিবীকে সুন্দর ও সমৃদ্ধ করে তুলেছে। বলা যায়, মানুষ ও সভ্যতার যাবতীয় অগ্রগতির মূলে রয়েছে পরিশ্রমের অবদান।


শ্রম কী

শ্রমের আভিধানিক অর্থ হচ্ছে মেহনত, দৈহিক খাটুনি। সাধারণত যেকোনো কাজই হলো শ্রম। পরিশ্রম হচ্ছে এ পৃথিবীতে বেঁচে থাকার সংগ্রামের প্রধান হাতিয়ার। পরিশ্রমের দ্বারাই গড়ে উঠেছে বিশ্ব ও মানবসভ্যতার বিজয়-স্তম্ভ।

শ্রমের শ্রেণিবিভাগ: শ্রম দুই প্রকার: মানসিক শ্রম ও শারীরিক শ্রম। শিক্ষক, ডাক্তার, বৈজ্ঞানিক, সাংবাদিক, অফিসের কর্মচারী শ্রেণির মানুষ যে ধরনের শ্রম দিয়ে থাকেন সেটিকে বলে মানসিক শ্রম। আবার কৃষক, শ্রমিক, তাঁতি, জেলে, মজুর শ্রেণির মানুষের শ্রম হচ্ছে শারীরিক শ্রম। পেশা বা কাজের ধরন অনুসারে এক এক শ্রেণির মানুষের পরিশ্রম এক এক ধরনের হয়। তবে শ্রম শারীরিক বা মানসিক যা-ই হোক না কেন উভয়ের মিলিত পরিশ্রমেই গড়ে উঠেছে মানবসভ্যতা।

শ্রমের প্রয়োজনীয়তা

মানুষ নিজেই নিজের ভাগ্যবিধাতা। তার এই ভাগ্যকে নির্মাণ করতে হয় কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে। তাই মানবজীবনে পরিশ্রমের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। কর্মবিমুখ অলস মানুষ কোনো দিন উন্নতি লাভ করতে পারে না। পরিশ্রম ছাড়া জীবনের উন্নতি কল্পনামাত্র।

জীবনে আত্মপ্রতিষ্ঠা লাভ করতে হলে নিরলস পরিশ্রম দরকার। পৃথিবীতে যে জাতি যত বেশি পরিশ্রমী, সে জাতি তত বেশি উন্নত। তাই ব্যক্তিগত ও জাতীয় পর্যায়ে প্রতিষ্ঠিত হতে হলে মানুষকে পরিশ্রমী হতে হবে। একমাত্র পরিশ্রমই মানুষের জীবনকে সুন্দর ও সার্থক করে তুলতে পারে।

শ্রমের মর্যাদা

মানুষের জন্ম স্রষ্টার অধীন, কিন্তু কর্ম মানুষের অধীন। জীবন-ধারণের তাগিদে মানুষ নানা কর্মে নিয়োজিত হয়। কৃষক ফসল ফলায়, তাঁতি কাপড় বোনে, জেলে মাছ ধরে, শিক্ষক ছাত্র পড়ান, ডাক্তার চিকিৎসা করেন, বিজ্ঞানী আবিষ্কার করেন। এঁরা প্রত্যেকেই মানবতার কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। পৃথিবীতে কোনো কাজই ছোট নয়। আর্থসামাজিক পদমর্যাদায় হয়তো সবাই সমান নয়। কিন্তু এদের প্রত্যেকেরই মেধা, মনন, ঘাম ও শ্রমে সভ্যতা এগিয়ে চলেছে।


তাই সকলের শ্রমের প্রতিই আমাদের সমান মর্যাদা ও শ্রদ্ধা থাকা উচিত। উন্নত বিশ্বে কোনো কাজকেই তুচ্ছ করা হয় না। সমাজের প্রতিটি লোক নিজের কাজকে গুরুত্ব দিয়ে করার চেষ্টা করে। তাই চীন, জাপান, কোরিয়া, রাশিয়া, ইংল্যান্ড, আমেরিকা, ফ্রান্স, কানাডা প্রভৃতি দেশ উন্নতির চরম শিখরে উঠেছে। আমাদের দেশে শারীরিক শ্রমকে বিশেষ মর্যাদার চোখে দেখা হয় না। তার ফলে আজও সুজলা-সুফলা-শস্য-শ্যামলা দেশের অধিবাসী হয়েও আমরা চরম দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করি।

পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি

সৌভাগ্য আকাশ থেকে পড়ে না। জীবনে সৌভাগ্য অর্জনের জন্য প্রচুর পরিশ্রম ও নিরন্তর সাধনার দরকার হয়। সব মানুষের মধ্যে সুপ্ত প্রতিভা আছে। পরিশ্রমের দ্বারা সেই সুপ্ত প্রতিভাকে জাগিয়ে তুলতে হয়। যে মানুষ কর্মকে জীবনের ব্রত হিসেবে গ্রহণ করেছে, জীবনসংগ্রামে তারই হয়েছে জয়।
কর্মের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ ব্যক্তি জীবনে সফল সৈনিক হতে পারে। কর্মহীন ব্যক্তি সমাজের বোঝাস্বরূপ। অন্যদিকে শ্রমশীলতাই মানবজীবনের সৌভাগ্যের চাবিকাঠি। আমাদের জীবনে উন্নতি এবং সুখ বয়ে আনতে হলে পরিশ্রমের বিকল্প নেই।

উপসংহার

পরিশ্রম শুধু সৌভাগ্যের নিয়ন্ত্রক নয়, সভ্যতা বিকাশেরও সহায়ক। মানবসভ্যতার উন্নতি-অগ্রগতিতে শ্রমের অবদান অনস্বীকার্য। আমরা স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের নাগরিক। সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন ও সাধনা আমাদের।

তাই কোনো ধরনের শ্রম থেকে আমাদের মুখ ফিরিয়ে থাকলে চলবে না। শ্রমে বিজয়-রথে চড়ে আমাদের উন্নত সভ্যতার সিংহদ্বারে পৌঁছতে হবে।


Monday, November 21, 2022

২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট যেভাবে তৈরি করা হয়েছে

২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট যেভাবে তৈরি করা হয়েছে

২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল যেভাবে তৈরি করা হয়েছেঃ 


• এই বছর পরিক্ষার আয়োজন করা হয়েছে মাত্র ৭ বিষয় কিন্তু রেজাল্ট প্রকাশ করা হবে ১২ টি বিষয়।


• এখানে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে ৭ টি বিষয়ে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা হয়েছে। এর সাথে জেএসসি থেকে ৩টি বিষয় নম্বর যোগ করা হবে, তার সাথে শারীরিক শিক্ষা ও ক্যারিয়ার শিক্ষা নম্বর যোগ করে সর্বমোট ফলাফল প্রকাশ করা হবে।


• এক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে জেএসসি তে শিক্ষার্থীরা যে নম্বর পেয়েছে এসএসসি তাদের যোগ করা হবে।


• তাছাড়া এইবার শিক্ষার্থীরা ৭টি বিষয় পরীক্ষা দিয়েছে 45, 50 এবং 55 নম্বরে। যা পরবর্তীতে 100 নম্বরের রূপান্তর করা হবে।


• এক্ষেত্রে 45 নম্বর রূপান্তর প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে বলা হয়েছে 45 নম্বর 75 নম্বর রূপান্তর করা হবে। এর সাথে ব্যবহারিক খাতা25 নম্বর যোগ করে 100 নম্বরের ফলাফল প্রস্তুত করা হবে।


•  অন্য দিকে যে সকল বিষয় 55 ও 50 নম্বরের পরীক্ষা হয়েছে তা সরাসরি 100 নম্বরের রূপান্তর করা হবে। এক্ষেত্রে মার্কশিট সহ শিক্ষার্থীরা এই ফলাফলগুলো দেখতে পারবে তাদের রেজাল্টের সময়।


• তাছাড়া শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে আরও বলা হয়েছে এই নম্বর রূপান্তর কারণে। এ বছর শিক্ষার্থীরা বেশ ভালো ফলাফল করতে পারবে কারণ এই প্রক্রিয়ায় এ প্লাস এর সংখ্যা অনেক বেশি হবে।


• কতগুলো বিষয়ে এ প্লাস পেলে মূল রেজাল্ট এ প্লাস হবে জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে যদি শিক্ষার্থীরা দশটি বিষয়ে মূল ফলাফল প্রকাশ করা হবে সেখানে সাতটি বিষয় প্লাস এবং তিনটি বিষয়ে যদি সে এ গ্রেড পায় তবে ও তার ফলাফল এ প্লাস থাকবে।


• আবার যদি কোনো শিক্ষার্থী 8 টি বিষয়ে এ প্লাস একটি বিষয় এ গ্রেড ও একটা বিষয়ে এ – পায় তা হলেও তার ফলাফল এ প্লাস থাকবে আবার যদি কোনো শিক্ষার্থী নয়টি বিষয়ে প্লাস এবং একটি বিষয়ে সি পায় তাহলেও তার এ প্লাস থাকবে।



Thursday, November 3, 2022

আগামী বছরের এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা পূর্ণ নম্বরে হবে!

আগামী বছরের এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা পূর্ণ নম্বরে হবে!

আগামী ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা সব বিষয়ে পূর্ণ নম্বরে পুনর্বিন্যাস করা সিলেবাসে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।


২০২২ খ্রিষ্টাব্দের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা নিয়ে বুধবার (১৯ অক্টোবর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে শিক্ষামন্ত্রী এ কথা জানান।


শিক্ষামন্ত্রী বলেন, করোনার কারণে সব বিষয়ে ও পূর্ণ নম্বরে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে আগামী ২০২৩ সাল থেকে সব বিষয়ে পূর্ণ নম্বরে পুনর্বিন্যাস করা সিলেবাসে অনুষ্ঠিত হবে।


তিনি জানান, শিক্ষা বোর্ড সিলেবাস পূনর্বিন্যাস করেছে। সেই সিলেবাসে পূর্ণ নম্বরে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।  


চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা আগামী ৬ নভেম্বর থেকে একযোগে শুরু হবে। এই পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ১২ লাখ ৩ হাজার ৪০৭ জন।  


২০২২ খ্রিষ্টাব্দের সংশোধিত ও পুনর্বিন্যাসকৃত সিলেবাসে দুইটি আবশ্যিক, তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ে এবং ৪র্থ বিষয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।  


পরীক্ষার নম্বর ও সময় কমিয়ে আনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষার্থীদের এমসিকিউ ২৫টির মধ্যে ১৫টির উত্তর দিতে হবে, সময় ২০ মিনিট। তত্ত্বীয় পরীক্ষায় ৮টি প্রশ্নের মধ্যে ৩টির উত্তর দিতে হবে, সময় ১ ঘন্টা ৪০ মিনিট।


মানবিক ও ব্যবসায় শাখা পরীক্ষার্থীদের এমসিকিউ ৩০ টির মধ্যে ১৫টির উত্তর দিতে হবে, সময় ২০ মিনিট। তত্ত্বীয় পরীক্ষায় ১১টি প্রশ্নের মধ্যে ৪টির উত্তর দিতে হবে, সময় ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট.


এর আগে, ১৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর তপন কুমার সরকার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের এসএসসি ও সমমান এবং এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা সব বিষয়ে অনুষ্ঠিত হবে। 


এতে বলা হয়, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের এসএসসি ও সমমান এবং এইচএসসি ও সমসান পরীক্ষা জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) প্রণীত ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের পুনর্বিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচি অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে।


‘২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের এসএসসি ও সমমান এবং এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা সব বিষয়ে অনুষ্ঠিত হবে। ’


এতে আরও বলা হয়, এসএসসি পর্যায়ে আইসিটি পরীক্ষার পূর্ণ নম্বর ৫০ এবং অন্যান্য প্রতিটি বিষয়ে ৩ ঘণ্টা সময়ে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আর এইচএসসি পর্যায়ে প্রতিটি বিষয়ে ৩ ঘণ্টা সময়ে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।


চলতি বছরে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা পুনর্বিন্যাসকৃত সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে ৩ ঘণ্টার পরিবর্তে ২ ঘণ্টা অনুষ্ঠিত হয়।



Tuesday, October 4, 2022

এসএসসি পরিক্ষা শেষে যা করা উচিত

এসএসসি পরিক্ষা শেষে যা করা উচিত

যাদের SSC পরীক্ষা শেষ, এখন তোমরা যা যা করতে পারোঃ


(1) কম্পিউটার চালানো শিখতে পারো।


(2) যেকোন পছন্দের জায়গাই  ভ্রমন করতে পারো।


(3) আত্মউন্নয়ন  মূলক বই পড়তে পারো।


(4) Freelancing শিখতে পারো।


(5) বিয়ের বয়স হইলে বিয়ে করতে পারো।


(6) সবকিছু ঠিক থাকলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীতে যোগ দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে পারো।


(7) ইন্টার এর subject  গুলার বেসিক শিখতে পারো।


(8) English grammar শিখতে পারো।


(9) আত্মীয় বাড়ি থেকে ঘুড়ে আসতে পারো।


(10) শুদ্ধ ভাবে কুরআন তিলাওয়াত  শিখতে পারো।


 (11) যেকোন ধরনের বদঅভ্যাস বাদ দিতে পারো।


(12) কিছু দিনের জন্য যেকোন ব্যবসা করতে পারো।


(12) ইংরেজি Vocabulary শিখতে পারো।


(13) নিয়মিত Exercise করতে পারো।


(14) প্রতিদিন খেলাধুলা করতে পারো।


(15) ছোট ভাইদের পড়াইতে পারো।


(16) নিজের ভালো কোন প্রতিভা থাকলে সেটা আরো ভালো ভাবে শিখতে পারো।


(17) মসজিদ থেকে জামাতে যাইতে পারো।



জিপিএ ফাইভ পাওয়ার সমীকরণ

জিপিএ ফাইভ পাওয়ার সমীকরণ

 এইচএসসি /এসএসসি ২০২২/২০২৩ এর জিপিএ ফাইভ পাওয়ার সমীকরণ দেখে নিন!


১) ৭টি সাবজেক্ট এর মধ্যে ৪টিতে A+(ফোর সাবজেক্ট সহ ) আর ৩টিতে A পেলে জিপিএ ফাইভ চলে আসবে।


২) ৭টি সাবজেক্ট এর মধ্যে ৫টিতে A+ (ফোর সাবজেক্ট সহ) আর দুটিতে যথাক্রমে A,A- পেলেও জিপিএ ফাইভ চলে আসবে


৩) ফোর সাবজেক্ট এ A পেলে ৫টি সাবজেক্ট এ A+ আর ১টি সাবজেক্ট এ A পেতে হবে


৪)ফোর সাবজেক্ট এ A- পেলে বাকি ৬টি সাবজেক্ট এই A+ পেতে হবে।


৫)৭টি সাবজেক্ট এর মধ্যে ৫টিতে A+ (ফোর সাবজেক্ট সহ) আর ২টিতে যথাক্রমে A-,A- পেলেও জিপিএ ফাইভ চলে আসবে।


৬) ৭টি সাবজেক্ট এর মধ্যে(ফোর সাবজেক্ট সহ) ৭টি সাবজেক্ট এ ই জিপিএ ফাইভ পেলে গোল্ডেন A+ আসবে।




Thursday, September 1, 2022

১৫ সেপ্টেম্বর থেকে এসএসসি পরিক্ষা শুরু

১৫ সেপ্টেম্বর থেকে এসএসসি পরিক্ষা শুরু

আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ থেকে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হবে। ১০০ নম্বরের পরিবর্তে পরীক্ষা  হবে ৪৫, ৫৫ এবং ৫০ নম্বরে।


পরীক্ষা হবে না যে বিষয়গুলো-

★তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি

★বিজ্ঞান

★বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

★ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা


৪৫ নম্বরে যে সকল বিষয়ে পরীক্ষা হবে-

★পদার্থবিজ্ঞান

★রসায়ন

★জীববিজ্ঞান

★উচ্চতর গণিত

★গার্হস্থ্য বিজ্ঞান 

★কৃষি শিক্ষা

৫৫ নম্বরে যে  বিষয়ে পরীক্ষা হবে-

★বাংলা প্রথম পত্র

★বাংলা দ্বিতীয় পত্র

★গণিত

★পৌরনীতি

★অর্থনীতি

★ইতিহাস

★ভূগোল

★হিসাব বিজ্ঞান

★ব্যবসায় উদ্যোগ

★ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং


৫০ নম্বরের যে সকল বিষয়ে পরীক্ষা হবে-

★ইংরেজি প্রথম পত্র

★ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র


৪৫ নম্বরের মধ্যে কত নম্বর পেলে কোন গ্রেড-

A+  ৩৬ নম্বর,

A ৩১.৫ নম্বর,

A- ২৭ নম্বর,

B ২২.৫ নম্বর,

C ১৮ নম্বর,

D ১৫ নম্বর পেতে হবে


৫০ নম্বরের মধ্যে কত নম্বর পেলে কোন গ্রেড-

A+ ৪০ নম্বর,

A ৩৫ নম্বর,

A- ৩০ নম্বর,

B ২৫ নম্বর,

C ২০ নম্বর,

D ১৬ নম্বর পেতে হবে।


৫৫ নম্বরের মধ্যে কত নম্বর পেলে কোন গ্রেড-

A+ ৪৪ নম্বর,

A ৩৮.৫ নম্বর,

A- ৩৩ নম্বর,

B ২৭.৫ নম্বর,

C ২২ নম্বর,

D ১৯ নম্বর পেতে হবে।

পরীক্ষার্থী সকলের জন্য রইল শুভকামনা।