সংখ্যা পদ্বতির প্রকারভেদ

আমরা সাধারণত গণনার কার্যাদি সম্পাদনের জন্য ১০ টি অংক ব্যাবহার করে থাকি। যেমনঃ ০, ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯ এই পদ্ধতিকে ডেসিম্যাল পদ্ধতি বলে। আবার কম্পিউটারের সকল কার্যাদি সম্পাদিত হয় ০, ১ এই অংকের মাধ্যমে। গণিতের এই পদ্ধতিকে বাইনারি বলে।



সংখ্যা পদ্ধতি ৪ প্রকার, যথাঃ-

  1. ডেসিম্যাল নাম্বার (Decimal Number)
  2. বাইনারি নাম্বার (Binary Number)
  3. অকটাক নাম্বার (Octal Number)
  4. হেক্সাডেসিম্যাল নাম্বর (Hexadecimal Number)

১. দশমিক পদ্ধতি (ডেচিমাল System)

আমরা সচরাচর যে পদ্ধতিতে সংখ্যা লিখে থাকি এতে ১০ টি প্রতিক ব্যাবহার করা হয়। প্রতিক দশটি হলোঃ ০,১,২,৩,৪,৫,৬,৭,৮,৯ এই পদ্ধতিতে গণনার কার্য করে থাকি। দশমিক সংখ্যার পদ্ধতির বেজ ভিত্তি সংখ্যা ১০। সকল পদ্ধতিতেই অংকের অবস্থানের এর মান নির্ভর করে। নিচের ছবিটি লক্ষ করুন।


২. বাইনারি পদ্ধতি (Binary System)

কম্পিউটারে ব্যাবহৃত প্রায় সব প্রোগ্রামগুলিতে দশমিক পদ্ধতিতে উপাত্ত গ্রহণ করে। তবে বিদ্যুতের উপস্থিতি এবং অনুপস্থিতি ছাড়া অন্য কিছু বুঝতে পারে না। এজন্য বাইনারি সংখ্যা নামে একটি সংখ্যা পদ্ধতির প্রচলন শুরু হয়। এই পদ্ধতিতে কম্পিউটারে বিদ্যুতের উপস্থিতিকে ১ এবং অনুপস্থিতিকে ০ ধরা হয়, যা মেশিনের জন্য সহজে বোধ্যগম্য হয়। এজন্য কম্পিউটারের আভ্যন্তরিণ কাজে বাইনারি পদ্ধতি ব্যাবহার হয়। এই পদ্ধতি সবচেয়ে সরলতম সংখ্যা পদ্ধতি; যার বেজ বা ভিত ২। এতে ০ ও ১ এই দুটি মৌলিক সংখ্যা ব্যাবহার করা হয়। তবে এ পদ্ধতির উপস্থাপিত সংখ্যাগুচ্ছ দীর্ঘকৃতির হয়ে থাকে।

৩. অকটাল পদ্ধতি (Octal System)

বাইনারি অংক বেশ দীর্ঘকৃতি। তাই একে সহজে ও ছোট আকারে উপস্থাপনের জন্য অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতির উদ্ভব। এই পদ্ধতির বেজ বা ভিত ৮। এখানে ০,১,২,৩,৪,৫,৬,৭ এই আটটি মৌলিক সংখ্যা ব্যাবহার করে গানিতিক হিসাব নিকাশ সম্পাদন করা হয়। এই পদ্ধতির সবচেয়ে বড় সংখ্যা হলো ৭। এই সংখ্যা পদ্ধতিটি কম্পিউটারের অভ্যান্তরিন বাইনারি সংখ্যায় প্রক্রিয়াকরণের কাজে ব্যাবহৃত হয়। 

৪. হেক্সাডেসিম্যাল পদ্ধতি (Hexadecimal System)

হেক্সাডেসিম্যাল পদ্ধতিতে মোট ১৬ টি মৌলিক অংক ব্যাবহৃত হয়। সেগুলো হল ০,১,২,৩,৪,৫,৬,৭,৮,৯, A, B, C, D, E ও F. এই ১৬ টি মৌলিক অংক ব্যাবহার করে সকল প্রকার গানিতিক হিসাব সম্পাদন করা হয়। এই সংখ্যা পদ্ধতির বেজ ১৬। এই পদ্ধতিতে দশমিক পদ্ধতির ১০ এর মান A এবং ১৫ এর মান F, এবং একি ভাবে B মান হলো ১১ ও C এর মান হলো ১২ এইভাবে বাকি মান গুলো নির্ণয় হয়। F এই পদ্ধতির বড় সংখ্যা। ফলে এর চেয়ে বড় সংখ্যা লিখতে হলে একাধীক হেক্সাডেসিমেল অংকের বিন্যাস করে ব্যাবহার করতে হয়। 

Next Post Previous Post