লেখক, শীল্পিসহ সৃজনশীল কর্মীরা তাদের নিজেদের সৃষ্টকর্মকে সংরক্ষন করার অধিকার দেওয়া কপিরাইট আইনের লক্ষ্য। সাধারণতভাবে একটি মুদ্রিত পুস্তকের কপিরাইট ভংগ করে সেটি পুণর্মুদ্রণ করা যথেষ্ট ঝামেলাপূর্ন এবং ব্যায়বহুল। কিন্তু কম্পিউটারের বেলায় যেকোন কিছুর 'কপি' বা 'অবিকল প্রতিলিপি' তৈরি করা খুবই সহজ কাজ। এজন্য এমনকি বিষেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন পরেনা। এ কারণে কম্পিউটার সফটওয়্যার, কম্পিউটারে করা সৃজনশীল কর্ম যেমন ছবি, এনিমেশন, ভিডিও ইত্যাদির বেলায় কপিরাইট সংরক্ষনে বাড়তি ব্যাবস্থতা নিতে হয়। যখনই এরুপ কপিরাইট আইনের আওতায় কোনো কপিরাইট হোল্ডারের অধিকার ক্ষুগ্ন হয় তখনই কপিরাইট বিঘ্নিত হয়েছে বলে ধরে নেওয়া যায়। এই ধরনের ঘটনাকে সাধারণভাবে পাইরেসি বা সফটওয়্যার পাইরেসি নাম্ব অভিহিত করা হয়।
পাইরেসি কি
কপিরাইট আইনের আওতায় সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তা, নির্মাতা বা প্রোগ্রামার তাদের কম্পিউটার সফটওয়্যারের মেধাস্বত্ব সংরক্ষণ করতে পারেন। ফলে, তাদের অনুমতি ব্যাতীত ঐ সফটওয়্যারের প্রতিলিপি করা বা সেটির পরিমার্জন করে নতুন কিছু সৃষ্টি করা আইনের দৃষ্টিতে অবৈধ্য হয়ে যায়। ফলে, কপি বা নতুন সৃষ্টির আইনগত ভিত্তি আর থাকে না। কম্পিউটার সফটওয়্যারের পাইরেসি সোজা হলেও বিশ্বব্যাপী পাইরেসির প্রকোপ খুব বেশি একথা বলা যায় না।
সফটওয়্যার পাইরেসি কি
বড় বড় সফটওয়্যার কোম্পানিগুলো তাদের মেধাসত্ব সংরক্ষণ ও বিশ্বব্যাপী পাইরেসি নজরদারি করার জন্য বিজন্বস সফটওয়্যার এলায়েন্স (BSA) নামে একটি সংস্থা তৈরি করেছে। সংস্থাটির ২০১১ সালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে-পার্সোনাল কম্পিউটার ব্যাবহারকারীদের প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৭ জনই পাইরেসিমুক্ত। যেহুতু সফটওয়্যার পাইরেসি খুবই সহজ, তাই এর হিসাব করাটা কঠিনই বটে। বাংলাদেশেও সফটওয়্যার পাইরেসি নিষিদ্ধ।