ওয়েবসাইট এসইও করার উপায়, ওয়েবসাইট র‍্যাংক করাতে এই বিষয়গুলো জানা অত্যান্ত জরুরি! জেনে নিন কিভাবে আপনার ওয়েবসাইট র‍্যাংক করাবেন?

SEO বা Search engine optimization একটি ওয়েবসাইটের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা কম বেশি আমরা সবাই জানি। একটি ওয়েবসাইট ব্লগ হোক কিংবা ই-কমার্স, স্ট্যাটিক হোক বা ডাইনামিক, সকল প্রকার ওয়েবসাইটের জন্য SEO করা খুবই জরুরী।

{getToc} $title={Table of Contents}

কারণ- সবাই চাই, তার ওয়েবসাইট লিংক গোগলের প্রথমে পৃষ্টায় আসুক। সবাই চাই, তার ওয়েবসাইট সম্পর্কে সারা দুনিয়া জানুক। সবাই চাই, তার ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বাড়ুক। সবাই চাই, তার ওয়েবসাইটের রেংকিং রেইট হাই লেবেলের হোক। সবাই চাই, তার ওয়েবসাইট হোক সারা জীবনের উপার্জনের একটি উপযুক্ত মাধ্যম। কিন্তু, এতগুলি চাওয়া একটি মাত্র উপায়ে পাওয়া সম্ভব। আর তা হল, ওয়েবসাইটকে সঠিক পদ্ধতিতে SEO করা। এখানে আমি মাত্র ১০টি টিপস দিয়েছি, যা আপনার ওয়েবসাইটে প্রয়োগ করলে শতভাগ ফলাফল পাবেন, ইনশা-আল্লাহ।


Develop The Best UI/UX Design 

Develop The Best UI/UX Design এই বিষয়টি SEO এর জন্য সব চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এটি ওয়েবসাইট তৈরী করার পূর্বের কিছু শর্ত নিয়ে গঠিত। এখানে UI Design বলতে User Interface Design বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ এমন একটি ডিজাইন যা ব্যবহারকারীর জন্য সহজ এবং স্বাচ্ছন্দ্যবোধ হয়। আরো সহজ ভাবে যদি বলি, ওয়েবসাইটের জন্য এমন একটি ডিজাইন তৈরি করা, যার আউটলুক বা অবয়ব ব্যবহারকারীর জন্য ইন্টারেষ্টিং মনে হয়। যা দেখতে সুন্দর এবং ব্যবহার করা খুবই সহজ হয়। তবে, আউটলুক বেশি সুন্দর করতে গিয়ে ডিজাইনকে কালারপুল করা যাবে না। অত্যান্ত সাদামাটা ডিজাইনের মধ্য ভাল কিছু আউটলুক নিয়ে আসার চেষ্টা করতে হবে।
UX Design বলতে User Experience Design বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ এমন ডিজাইন যা ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতার সাথে মিলে যায়। যেমনঃ- ফেসবুক, টুইটার সহ অধিকাংশ বা বেশি ব্যবহার হয় এমন সকল ওয়েবসাইটের লগইন বাটন পেজের ডান পাশের কোণায় থাকে। মেনু গুলি পেজের উপরের দিকে থাকে। ব্যবহারকারী সব সময় এমন নিয়ম গুলি দেখে আসেছে। সুতারাং ইউজারের অভ্যাসের সাথে মিল রেখে ওয়েবসাইট ডিজাইন করতে হবে। যেমন মনে করুন, কেউ এমন একটি ডিজাইন করল যার সাইনআপ কোথায়, লগইন কোথায়, অথবা প্রধান মেনু কোথায় ইজার কিছুই বুঝতে পারছে না। এক্ষেত্রে ইউজার একবার আসলে দ্বিতীবার সে আর আসবে না। সুতারাং ইউজারের অভ্যাস অথবা অভিজ্ঞতার কথা চিন্তা করে ওয়েবসাইট ডিজাইন করা SEO এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

Develop Site For Mobile Devices

বর্তমান বিশ্বে কম্পিউটার ব্যবহারকারীর চেয়েও মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা অনেক বেশি। এবং প্রায় সবাই মোবাইলে ইন্টারনেট ব্রাউজ করে থাকেন। পৃথিবীর এত বড় সংখ্যক মোবাইল ব্যবহারকারী মানুষকে আপনার ওয়েবসাইট ব্যবহার করা থেকে বঞ্চিত করা কিছুতেই বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। সুতারাং ওয়েবসাইটকে রেস্পন্সিভ করা একান্ত প্রয়োজন। রেস্পন্সিভ করা মানে, আপনার ওয়েবসাইট ডেক্সটপ, লেপটপ ছাড়াও মোবাইল, টেবলেট ইত্যাদীর আউটলুক যেন সুন্দর এবং ব্যবহার করা সহজ হয়, সেদিকে অবশ্যই নজর দিতে হবে। মনে রাখবেন, কম্পিউটার, লেপটপ সবাই সব সময় সংগে নিয়ে ঘুরে না। কিন্তু মোবাইল সবাই নিজের সাথে রাখে। আপনার ওয়েবসাইট রেস্পন্সিভ হলে, যে কেউ যখন ইচ্ছে মোবাইলে আপনার ওয়েবসাইট ব্রাউজ করতে পারবে। এটা আপনার ওয়েবসাইট রেংকিং এর জন্য খুবই ভাল একটা দিক। এছাড়াও ওয়েবসাইট রেস্পন্সিভ করার আর একটি বড় সুবিদা হচ্ছে যে, Google Voice Search. একটি জরিপ অনুযায়ী পৃথিবীর প্রায় ২০% মানুষ মোবাইলে গোগলের মাইক বা search by voice অপশনটি ব্যবহার করে সার্চ করে থাকে। এবং এটা দৈনন্দিন দ্রুত গতিতে বাড়ছে। ওয়েবসাইট রেস্পন্সিভ করার জন্য CSS Media Query জানা থাকতে হবে। অথবা, BootStrap দিয়েও সহজে ওয়েব পেজ রেস্পন্সিভ করা যাবে।

Regular Branding To Improve Visibility

ওয়েবসাইট ডিজাইনের ক্ষেত্রে আরো একটি প্রয়োজনীয় বিষয় হচ্ছে ব্রান্ডিং। ব্রান্ডিং বলতে ওয়েবসাইটের জন্য একটি উন্নত মানের লোগো ডিজাইন করা। লোগোতে সাধারণত ওয়েবসাইটের পূর্ণনাম বা সংক্ষিপ্ত নাম অথবা বিশেষ কোন চিহ্ন থাকে। এই পূর্ণনাম বা সংক্ষিপ্ত নামকে মাথায় রেখে এমন একটি লোগো ডিজাইন করতে হবে, যা একবার দেখলে যে কোন ইউজারের ব্রেনে লোগোটি বসে যায়। অর্থাৎ পরবর্তীতে সে অন্য কোথাও লোগোটি দেখেই বুঝতে পারে যে লোগোটি কোন ওয়েবসাইটের। লোগো বানিয়ে সেটা আপনার ওয়েবসাইট পর্যন্ত সীমিত রাখলে হবে না, সেটাকে ব্রান্ডিং বা পরিচিত করতে হবে। ফেসবুক, টুইটার, গোগল প্লাস সহ সকল সোশ্যাল মিডিয়াতে আপনার পোষ্ট শেয়ার করার সময় লোগোটিকে সাথে রাখুন, যাতে সবাই আপনার লোগোটিকে চিনতে পারে। লোগোটির সাথে পরিচিত হয়ে, কেউ যদি একবার আপনার ওয়েবসাইট ভিজিট করে লাভবান হয়, তাহলে যে কোন সোশ্যাল মিডিয়াতে সে আপনার শেয়ার করা পোষ্ট দেখলে, পোষ্টের সাথে লোগোটি তাকে টানবে। ফলে সে অন্তত কিছু হলে ও আপনার শেয়ার করা পোষ্টটিতে ক্লিক করে দেখতে চাইবে। সুতারাং SEO এর কিছু দৃশ্যমান উন্নতির জন্য ব্রান্ডিং একান্ত জরুরী।

Improve Website Speed

পেজ স্পীড SEO এর জন্য অন্যতম একটি শর্ত। তাই, পেজ স্পিড সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পরবর্তী টিউটোরিয়ালটি পড়ুন। এই টিউটোরিয়ালে পেজ স্পীড বাড়াবার সেরা টিপস গুলো শেখানো হয়েছে। আপাততঃ- এখানে, এমন একটি বিষয় তুলে ধরব যা অনেক ওয়েব ডিজানারের অজানা। আর সেটা হচ্ছে Markup Validation. অর্থাৎ আপনার HTML কোডের মধ্য কোন রকম ERROR বা ত্রুটি বিচ্যুতি আছে কিনা তা যাচায় বাছাই করে নিশ্চিত হতে হবে। Markup Validation করার জন্য W3c এর এই টুলটি ব্যবহার করতে পারেন। Markup Validation Service এই টুলটির ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি আপনার HTML কোডের মধ্য কোন রকম Error আছে কিনা তা সহজে নিশ্চিত করে নিতে পারেন। Markup Validation পেজ স্পিড এবং রেংকিং এর জন্য খুবই জরুরী। আর আপনার ওয়েবসাইটের জন্য যদি ওয়ার্ডপ্রেস থিম ব্যবহার করেন তাহলে, এসব নিয়ে আশা করি ভাবতে হবে না। কারণ, যারা ওয়ার্ডপ্রেস থিম তৈরি করেন ওরা নিশ্চয় এই বিষয়টি জানেন।

Implement SSL Security


ওয়েবসাইট তৈরি হবার পর সব চেয়ে আগে যে বিষয়টি সামনে আসে সেটা হল, ডোমেইন এবং হোষ্টিং। ডোমেইন কেনার সময় খেয়াল রাখতে হবে যে, আপনার ওয়েবসাইট কিসের জন্য তৈরি করা হয়েছে। আপনি আপনার ওয়েবসাইটটিকে কি ধরনের কন্টেন্ট দিয়ে সাজাবেন। কন্টেন্টের সাথে মিল রেখে ডোমেইনের একটি নাম দিতে চেষ্টা করবেন। তবে মনে রাখবেন, ডোমেইনের নাম যেন অনেক লম্বা হয়ে না যায়। ছোট্ট একটি নাম যা ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট গুলোর সাথে সম্পর্কিত হয়। যদি আপনার চাহিদা মোতাবেক কোন এক্সপায়ার্ড ডোমেইন ক্রয় করতে পারেন তাহলে খুবই ভাল হয়। কারণ, এক্সপায়ার্ড ডোমেইনের সাথে ডোমেইন অথোরিটি সহ SSL Security থাকে। ডোমেইন অথোরিটি (ডি.এ) বেশি নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে এবং তা ৩০+ হলে ভাল হয়। ডি.এ ১৫ এর নিচে হলে তেমন কোন লাভ হবে না। আর SSL Security পেজ রেংকিং এর জন্য খুবই জরুরী। যদি আপনার ক্রয় ডোমেইনের সাথে SSL Security না থাকে, অর্থাৎ url এর প্রথমে http এর সাথে s যুক্ত না থাকে তাহলে, https বা SSL Security কিনে নিবেন। আমার জানা মতে SSL Security খুব দামী কিছু নয়। কিন্তু SEO এর জন্য মুল্যবান বটে।

Create User Friendly URL

ডোমেইন হোষ্টিং কেনার পর, ওয়েবসাইট যখন অনলাইনে পাবলিশ করে দেবেন, তখন সর্ব প্রথম যে বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে তা হল, User Friendly url. অর্থাৎ ওয়েব পেজ গুলোর url এমন হতে হবে যা ব্যবহারকারী সহজে মনে রাখতে পারে। বিশেষ করে যে পেজে যে ক্যাটেগরীর প্রোডাক্ট বা যে বিষয়ের উপর আর্টিকেল লেখা হবে, সে বিষয় সম্পর্কিত url হতে হবে। এবং খেয়াল রাখতে হবে যে, url যেন অনেক বড় হয়ে না যায়।

Find The Best Keywords

একটি ওয়েবসাইটের SEO করার প্রথম শর্ত হচ্ছে, সেরা কিছু কী-ওয়ার্ড বাছাই করা। সেরা কী-ওয়ার্ড বলতে আসলে কেমন কী-ওয়ার্ড বুঝানো হয়? মনে করুন, আপনার ছোট বোনের জন্য কিছু কসমেটিক্স আইটেম দরকার যা আপনি অনলাইন বাজার থেকে ক্রয় করার কথা ভাবছেন। কিন্ত আপনি জানেন না, অনলাইনের কোথায় থেকে কিনবেন। এমন অবস্থায় নিশ্চয় আপনি গোগলে গিয়ে কিছু লিখে সার্চ করবেন। এখন আপনাকে যদি প্রশ্ন করি, আপনি গোগলের সার্চ বক্সে কি লিখে সার্চ করবেন? উত্তর খুবই সহজ, আপনি নিশ্চয় লিখবেন, "কসমেটিক্স" অথবা আপনার বোনের জন্য যে আইটেম গুলো দরকার তার পত্যেকটির নাম লিখে সার্চ করবেন। আইটেম যদি একটি হয়, তাহলে সাধারণত সেই আইটেমটির নাম দিয়ে সার্চ করা হবে। আর আইটেম যদি অনেক হয় তাহলে, কী-ওয়ার্ড হিসেবে "কসমেটিক্স" আসাটা স্বাভাবিক।
তাহলে বুঝলাম, সেরা কী-ওয়ার্ড বলতে এমন কিছু কী-ওয়ার্ড যা একজন ইউজার গোগল, ইয়াহু ইত্যাদীতে লিখে সার্চ করবেন। এখন কথা হচ্ছে, প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ গোগলে মিলিয়ন বিলিয়ন কী-ওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করছেন, সেখানে আপনার ওয়েবসাইটের জন্য আপনি কেমন কী-ওয়ার্ড বাছাই করবেন! এই উত্তরটিকে যদি সহজ করে বলি, তাহলে মনে করুন আপনি বাজারে গিয়েছেন বাজার করতে। বাজারে তো অনেক কিছুর দোকান আছে। এখন আপনার যে জিনিসটির দরকার সেটা বাজারের কোথায় পাওয়া যাবে সেটা আপনি সঠিক জানেন না। এমন অবস্থায়, বাজারের দারোয়ানের কাছে জানতে চাইলে, সে আপনাকে এমন দশটি দোকান দেখাল যেখানে আপনার কাংক্ষিত জিনিসটি পাওয়া যাবে। এখন আপনি কি করবেন! নিশ্চয় এই দশটি দোকানের মধ্য সবচেয়ে নিকটে যে দোকানটি পাবেন, সেখানে আগে যাবেন, এবং আপনার প্রয়োজনীয় জিনিসটি সেই দোকান থেকেই কিনবেন বলে সম্ভবনা বেশি।

এখন আপনাকে যদি একটি প্রশ্ন করি, এতক্ষণ বাজারে গিয়ে আপনি কি খুঁজতেছিলেন? দারোয়ান আপনাকে কিসের দোকান দেখিয়েছিল? আপনার উত্তর যদি এমন হয়, "আমি স্ট্রবেরি খুঁজতেছিলাম, দারোয়ান আমাকে ফ্রুটের দোকান দেখিয়েছিল।" তাহলে বুঝা গেল, ফ্রুটের দোকানের জন্য "স্টেবেরি" একটি কী-ওয়ার্ড হতে পারে। কারণ, স্টেবেরি হচ্ছে ফ্রুটের একটি আইটেম। এভাবে একটি ওয়েবসাইটের জন্য সেরা কী-ওয়ার্ড কি হতে পারে সেটা নির্ধারিত হয় সেই ওয়েবসাইটের আইটেম বা কন্টেন্টের উপর নির্ভর করে। এখন আপনি আপনার ওয়েবসাইটের জন্য এমন কিছু কী-ওয়ার্ড বাছাই করুন, যে কী-ওয়ার্ড গুলোর মাঝে আপনার ওয়েবসাইটের প্রধান আইটেম বা কন্টেন্ট গুলোকে ফোকাস করবে। যেমনঃ- কলা একটি ফ্রুট হলেও এটি সাধারণত সব দোকানে পাওয়া যায়। কিন্তু স্ট্রবেরি সব দোকানে পাওয়া যায় না। সুতারং একটি ফ্রুটের দোকানের জন্য কলার চেয়ে স্টেবেরি কী-ওয়ার্ড বেশি প্রযোজ্য।

সুতারাং, আপনার হোম পেজের জন্য এমন কিছু কী-ওয়ার্ড বাছাই করবেন যে কী-ওয়ার্ড গুলোর মাঝে আপনার সম্পূর্ণ ওয়েবসাইটের প্রধান কন্টেন্ট বা আইটেম গুলোর উপর বেশি ফোকাস হয়। আর আপনার ওয়েবসাইট যদি স্ট্যাটিক হয় তাহলে, যে পেজে যে ক্যাটেগরীর আইটেম গুলো থাকবে অথবা যে পেজে যে বিষয়ের উপর আর্টিকেল লেখা হবে সেই পেজের কী-ওয়ার্ড গুলো আইটেম বা আর্টিকেলের মুল বিষয়টি থেকেই নিতে হবে। যেমনঃ- আপনার ওয়েবসাইট যদি কসমেটিক্স প্রোডাক্টের জন্য হয়ে থাকে তাহলে, যে পেজে লিপেষ্টিক জাতীয় প্রোডাক্ট গুলো সাজাবেন সেই পেজের জন্য লিপেষ্টিক, লিপেষ্টিক ব্রান্ড, লিপেষ্টিক সেট, লিপেষ্টিক রঙ ইত্যাদীর সাথে সম্পর্কিত কিছু কী-ওয়ার্ড বাছাই করে নিবেন। কারণ, গোগলে কেউ ব্রান্ড সহ সার্চ দেবে, কেউ হয়তো বিশেষ কোন রঙের লিপেষ্টিক সার্চ করবে, আবার কেউ হয়তো লিপেষ্টিকের সেট সহ কিনতে চাইলে সে লিপেষ্টিক সেট সার্চ করতে পারে। সুতারাং মূটামুটি ফোকাসের মধ্য যেন সব কিছু চলে আসে তার মত কিছু কী-ওয়ার্ড বাছাই করে নেবেন। আর আপনার ওয়েবসাইট যদি ডাইনামিক হয় তাহলে তো প্রতিটি আইটেমের জন্য নির্দিষ্ট কী-ওয়ার্ড ব্যবহার করার অপশন থাকবে। বিশেষ করে আইটেমের টাইটেলের মাঝে কিছু কী-ওয়ার্ড লুকানো থাকে। সুতারাং কয়েকটি কী-ওয়ার্ড টাইটেল থেকেও নিতে পারেন। তবে, সর্বোচ্চ ১০-১৫ শব্দের মধ্য কী-ওয়ার্ড রাখাটা শ্রেয়। বেশি কী-ওয়ার্ড ব্যবহারে হিতে বিপরীত হয়। 

Google Schema Rich Snippets

Google Rich Snippets সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনার পূর্বে যে বিষয়টি জানা একান্ত প্রয়োজন, সেটা হচ্ছে Google SERF বা Google Search Engine Result Pages. অর্থাৎ গোগলে আমরা যখন কোন একটি কী-ওয়ার্ড দিয়ে অনুসন্ধান করি, তখন গোগলের পক্ষ থেকে যে রেজাল্ট গুলো আমরা পেয়ে থাকি, সেটাকে সংক্ষেপে Google SERF বলা হয়। এখন কথা হচ্ছে, একটি ওয়েবসাইটের জন্য Google SERF কেমন হলে তা SEO এর জন্য নির্ভুল বলে গণ্য হবে? এবং এ সম্মন্ধে গোগল কি বলছে? আসুন জেনে নিই।
গোগলের কথা অনুযায়ী, একটি ওয়েব পেজের টাইটেল অথবা ডেসক্রিপশন অতটুকু হওয়া চাই, যতটুকু Google SERF এ দৃশ্যমান হবে। আর Google SERF এ সবটুকু দৃশ্যমান হওয়ার জন্য টাইটেল সর্বোচ্চ ৭০ ক্যারেক্টর এবং ডেসক্রিপশন সর্বোচ্চ ১৯৪ ক্যারেক্টরের হতে হবে। তবে, প্রতিটি শব্দের পর একটি স্পেসকে একটি ক্যারেক্টর হিসেবে ধরা হবে। গোগলের এই প্রসেসিংকে Google SERP Snippet Optimization বলা হয়। Google SERP Snippet Optimization গোগলের SEO রেংকিং এর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার টাইটেল অথবা ডেসক্রিপশন গোগল রেজাল্ট পেজে কেমন দেখাবে তা দেখার জন্য এই ওয়েবসাইটের টুলটি ব্যবহার করতে পারেন। Google SERP Snippet Optimization Tool এই টুলটিতে আপনি আপনার পেজ টাইটেল এবং ডেসক্রিপশন লিখে লাইভ ফলাফল দেখতে পারবেন।
এবার আসি, Schema Rich Snippets কি, এবং SEO এর জন্য Schema Rich Snippets কতটা জরুরী তা জেনে নিই। আমরা যখন গোগলের প্লে ষ্টোর থেকে কোন অ্যাপস ডাউনলোড করতে যায়, তখন সেই অ্যাপস সম্পর্কিত কিছু তথ্য সাথে পাঁচটি ষ্টার দেখতে পাই। এই ষ্টারটির মাধ্যমে অ্যাপসটির রেংকিং কেমন সেটা বুঝানো হয়। ঠিক তেমনি, Google SERF এর উপরের কিছু রেজাল্টে এরকম ষ্টার দেখা যায়। এটাকেই মুলত Schema Rich Snippets বলা হয়। যদি সেটা কোন সফটওয়্যার হয়, তাহলে সফটওয়্যারটি সম্পর্কে কিছু তথ্য ষ্টারটির পাশে দেখানো হয়। যদি সেটা কোন আর্টিকেল হয় তাহলে, আর্টিকেলের লেখক এবং প্রকাশিত তারিখ ইত্যাদী দেখানো হয়। ষ্টার মার্ক দ্বারা সেই আর্টিকেলটি কত বেশি পাঠ করা হয়েছে সেটা সম্পর্কে ইউজারকে একটি ধারনা দিয়ে থাকে। ফলে, ষ্টার চিহ্নিত Google SERF এর প্রতি ইউজার বেশি আকৃষ্ট হয়। এভাবে, ই-কমার্স সাইটের সব চেয়ে বেশি বিক্রয় হয়েছে এমন পণ্যর সাথে ও Schema Rich Snippets যুক্ত থাকে। কিছু কিছু Schema Rich Snippets গোগল রেজাল্ট পেজে পণ্যর ছোট একটি ছবি ও প্রকাশ করে। সুতারাং ওয়েবসাইটের সব খানে, সব কিছুর SEO এর জন্য Schema Rich Snippets উন্নত ভূমিকা পালন করে।

Quality Content Is The King Of SEO

আজকাল প্রায় দেখা যায় বা অনেকে বলে, ১৫দিন বা ১মাসের ভিতর আপনার ওয়েবসাইটকে গোগলে প্রথম পৃষ্টায় এনে দেবে। এই করবে, সেই করবে! আমি মনে করি, এগুলি ভুয়া কিছু ডাইলগ ছাড়া আর কিছুই নয়। যারা SEO সম্পর্কে খুবই কম জানে ওরাই কেবল এধরনের ডাইলগ মারতে পারে। কারণ, SEO এর জন্য সবচেয়ে বড় শক্তি হচ্ছে কন্টেন্ট। কন্টেন্ট বিহীন ওয়েবসাইটের জন্য যত রকম SEO করুন না কেন, কাজের কাজ কিছুই হবে না। যেমনঃ- শহরের অনেক বড় মার্কেটে আপনি একটি জুয়েলারীর দোকান দিয়েছেন, টিভি'তে বিজ্ঞাপন দিলেন, শহর - গ্রাম সবখানে পোষ্টারিং করলেন, অনলাইনে ও ব্রান্ডিং করলেন, প্রচারের কিছুই বাকি রাখলেন না, কিন্তু দোকানে কোন জুয়েলারী মাল নেই। দোকান সম্পুর্ণ খালি অথবা যা আছে তা অনেক পুরাতন মডেলের জুয়েলারী। কাষ্টমার আসে, কিছু পাইনা, ফিরে যায়। ফিরে যাওয়া কাষ্টমার গুলো কি আর আপনার দোকানের দিকে আসবে? কখনোই না। তাহলে, বুঝা গেল একটি জুয়েলারী দোকানের জন্য যেমন দোকান ভর্তি অলংকার থাকা প্রয়োজন, ঠিক তেমনি একটি ওয়েবসাইটকে উপরে তুলার জন্য অনেক গুলি কন্টেন্ট থাকা জরুরী। কন্টেন্ট বলতে গেলে আর্টিকেল অথবা ওয়েবসাইটের প্রয়োজনীয় সামগ্রী। অর্থাৎ যেমন ওয়েবসাইট তেমন কন্টেন্ট।

আপনার ওয়েবসাইট যদি ই-কমার্স হয়, তাহলে প্রতিটি আইটেমের জন্য একটি টাইটেল, একটি ডেসক্রিপশন, কমপক্ষে তিনটা ছবি, এবং সামগ্রীটি সম্পর্কে একটি আর্টিকেল লিখতে হবে। তাহলে গোগল আপনার ওয়েবসাইটে কি কি আছে সে বিষয়ে জানতে পারবে। এভাবে ব্লগ সাইটে, ইউজারের জন্য নিত্যা নতুন এবং ইন্টারেষ্টিং বেশ কিছু আর্টিকেল লিখতে হবে। এবং মনে রাখতে হবে যে, কন্টেন্টের কোয়ালিটি যেন ঠিক থাকে। কোন রকম কপি পেষ্ট করা যাবে না। হ্যাঁ, একটা কথা সবার ক্ষেত্রে সত্য যে, একটা মানুষ সবজান্তা হয় না। আপনি যে বিষয়ে আর্টিকেল লিখতে চাচ্ছেন, সর্ব প্রথম বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে সে বিষয়ের উপর জ্ঞ্যান আহরণ করুন। তারপর নিজে থেকেই লিখুন। একটি বিষয়ের উপর লিখতে গেলে কিছু কিছু শব্দ বা বাক্য অন্যান্য ওয়েবসাইটের আর্টিকেল গুলোর সাথে মিলে যেতে পারে, এটা তেমন বড় কোন সমস্যা নয়, সমস্যা বড় হবে তখন যখন আপনি অন্য জনের লেখা সরাসরি কপি করবেন। কপিরাইট আইনে এটা দন্ডনীয় অপরাধ'তো বটে, গোগল পান্ডার কাছেও আপনি ধরা পড়ে যাবেন। এই ধরনের অপরাধের জন্য আপনি চিরতরে আপনার ওয়েবসাইট হারাতে পারেন। তবে, অনেক বেশি মানুষের জানার প্রয়োজন আছে এরকম আর্টিকেল গুলোর ক্ষেত্রে গোগল কিছুটা ছাড় দেয়। যতক্ষণ পর্যন্ত আর্টিকেলটির মুল ওয়েবসাইট থেকে গোগলের কাছে কোন রকম রিপোর্ট যায় না, ততক্ষণ পর্যন্ত গোগল খুব একটা ঝামেলা করে না। আমার অনুরুধ থাকবে অন্যের লেখা কপিপেষ্ট করা থেকে একেবারে বিরত থাকবেন। কারণ ভবিশ্যতে আপনি আপনার ওয়েবসাইট'কে গুগল এডসেন্সের সাথে যুক্ত করতে চাইলে গুটি কয়েক কপিপেষ্ট করা লেখার জন্য সব কিছুই হারাতে হবে। সবশেষে বলব, Quality Content Is The King Of SEO. হ্যাঁ SEO এর জন্য নির্ভেজাল এবং গুণগত মানের কন্টেন্ট হচ্ছে এমন এক রাজা, যার তুলনা অন্য কোন কিছুর সংগে হয় না।

Link Building To Improve SEO

পৃথিবীতে অসংখ্যা ওয়েবসাইট আছে। এবং প্রতিদিন কোটি কোটি ওয়েবসাইট নতুন করে অনলাইনের সংগে যুক্ত হচ্ছে। প্রায় সকল ওয়েবসাইটে কন্টেন্ট আছে। কোয়ালিটি ভাল, সব কিছুই ঠিক আছে, কিন্তু গোগলের রেজাল্ট পেজে কোন্‌ ওয়েবসাইট'টি আগে আসবে? এই প্রশ্নটির সহজ উত্তর হচ্ছে, যে ওয়েবসাইটের Link Building সবচেয়ে বেশি হবে, সেটাই সবার আগে আসবে। Link Building কি? উত্তরটি ছোট্ট একটি উদাহরণের মাধ্যমে জেনে নিই। মনে করুন, অনলাইন শিক্ষা নামে আপনার একটি ওয়েবসাইট আছে। কিন্ত গোগল সেটা জানে না, আপনি আপনার ওয়েবসাইটের কিছু পোষ্ট আপনার পেসবুকে শেয়ার করলেন, বন্ধুরা আপনার পোষ্টটিতে যখন ক্লিক করল তখন ওরা আপনার ওয়েবসাইটে চলে আসল। এসেই আপনার লেখা গুলো পড়ল, কারো কারো ভাল লাগল, সে তার অন্য বন্ধুদেরকে ও আপনার ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানাল, সবাই আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে লাগল, গোগল দেখল, এই ওয়েবসাইটে ভিজিটর আসছে, তখন গোগল তাদের ডাটাবেজে আপনার ওয়েবসাইটের সকল তথ্য নিয়ে জমা করে রাখে। কেউ যখন একটি কী-ওয়ার্ড দিয়ে গোগলে অনুসন্ধান করে তখন গোগলের ডাটাবেজে থাকা আপনার ওয়েবসাইটের তথ্যগুলোর মধ্য সেই কী-ওয়ার্ড পাওয়া গেলে সেটা গোগল রেজাল্ট পেজে প্রদর্শিত হয়। প্রশ্নোত্তর হয় এমন কোন ফোরাম সাইটে গিয়ে রিলেটেড কোন প্রশ্নের উত্তর দিয়ে বলে দিলেন আরো বিস্তারিত জানতে এই পোষ্ট'টি দেখুন। সেখানে আপনার ওয়েব পেজের রিলেটেড পোষ্টের লিঙ্ক দিয়ে দিলেন। এভাবে লিঙ্ক বিল্ডিং করার আরো অনেক পথ আছে। যত বেশি সম্ভব লিঙ্ক বিল্ডিং করুন। তবে, আগে লিংক বিল্ডিং সম্পর্কে অনলাইন থেকে আরো বেশি কিছু জেনে নিন। কারণ কিছু কিছু ক্ষেত্রে লিঙ্ক বিল্ডিং স্প্যাম হয়ে হিতে বিপরীত হয়ে যায়।
একটা সময় ছিল যখন গোগল যে কোন ওয়েবসাইটের কোন্‌ কী-ওয়ার্ডের রেংকিং কত সেটা প্রকাশ করত। তখন সবাই তাদের ওয়েবসাইটের রেংকিং সম্মন্ধে ধারনা নিয়ে সেভাবেই কাজ করে ওয়েবসাইটের রেংকিং বাড়াতে পারত। কিন্ত, পরবর্তীতে গোগল বুঝতে পারল যে, এতে করে তাদের এলগোরিদম লিক হচ্ছে, সুতারাং গোগল এটা বন্ধ করে দেয়। এর পর ওয়েবসাইট রেংকিং এর জন্য সবাই লিংক বিল্ডিং এর প্রতি ঝুকে পড়ে। লিংক বিল্ডিং কিভাবে কাজ করে সেই বিষয়ে আসুন কিছুটা জেনে নিই।

গোগল ক্রোলারের নিয়ম হচ্ছে, সে প্রতিটি ওয়েবসাইটের প্রতিটি পেজ, প্রতিটি কন্টেন্টকে স্ক্যান করে। স্ক্যান করতে করতে সে যখন সেখানে অন্য কোন ওয়েবসাইটের লিংক খুজে পায় তখন সে সেই লিংকটিতে চলে যায়, এবং সেখানকার সব কিছুই সে স্ক্রোল করে দেখে। এবং ওখানে যে কন্টেন্ট গুলো পায় সেগুলিকেও গোগলের ডাটাবেজে সংগ্রহ করে রাখে। গোগলের স্ক্রোলার প্রতিনিয়ত সারা অনলাইন জগতে ঘুরে ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করে তাদের ভান্ডারে জমা করতে থাকে। এভাবেই আপনার ওয়েবসাইটের লিংক যদি সে অন্য কোন ওয়েবসাইটে পায় তাহলে সেখান থেকে ঘুরে সে আপনার ওয়েবসাইটে আসবে।

সুতারাং যত বেশি পারেন আপনার ওয়েবসাইটের লিংক ছড়িয়ে দিন। অন্যান্য ওয়েবসাইটে আপনার ওয়েবসাইটের লিংক দেওয়ার সবচেয়ে বড় পন্থা হচ্ছে, বড় বড় ব্লগ সাইট গুলিতে ব্লগ লিখে কৌশলে আপনার ওয়েবসাইটের লিংক দিয়ে দেওয়া। অথবা, আপনার ওয়েবসাইটের মধ্য এমন কয়েকটি পেজ আছে যেখানে ট্রাফিক অনেক বেশি হয়, সেখানে ও আপনার অন্যান্য পেজের ভাল কিছু আর্টিকেলের লিংক দিয়ে দিন। ফলে, ইউজার তো যাবেই, গোগল স্ক্রোলার ও যাবে। তবে, লিংক এত বেশি দিবেন না। মনে রাখবেন, বেশি লোভ কোন কিছুর জন্য শুভকর নয়। লিংক বিল্ডিং এর আরো অনেক পদ্ধতি রয়েছে, অনলাইনে খুজলে অনেক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট পাবেন যেখানে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের লিংক দিতে পারেন। সবচেয়ে ভাল হয়, যদি আপনি উইকিপিডিয়া লিখতে পারেন। 


Next Post Previous Post