ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন সিস্টেম কি?

১৯০১ সালে ইটালিয়ান পদার্থবিদ Guglielmo Marconi জাহাজ থেকে সমুদ্র উপকুলে মোর্শ কোড ব্যাবহার করে সর্বপ্রথম ওয়্যারলেস টেলিগ্রাফের মাধ্যমে যোগাযোগ করেন। কোন প্রকার তার ব্যাবহার না করেই তথ্য আদান প্রদান তথা যোগাযোগ করার পদ্বতিকে ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন সিস্টেম বলে। এর সাহায্যে বিশ্বের যে কোন প্রান্তে অবস্থান করেন একে অন্যের সাত্থে বিভিন্ন প্রকার যোগাযোগ যেমন-অথা বলা, টেক্সট ম্যাসেজিং, চ্যাটিং ইত্যাদি কাজ খুব সহজেই দ্রুত সম্পন্ন করা যায়। এতে মোবাইল, বহনযোগ্য টু-ওয়ে রেডি (Portable two-way radio), পার্সোনাল ডিজিটাল এসিস্ট্যান্ট (Personal Digital Assistant-PDA) এবং তারবিহীন নেটওয়ার্কিং  (Wireless Networking) ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ওয়্যারলেস বা তারবিহীন প্রযুক্তির অন্যান্য উদাহরণের মধ্যে রয়েছে জিপিএস ইউনিট (GPS Unit) ওয়্যারলেস কম্পিউটার মাউস, কি-বোর্ড, হেডসেট (অডিও), হেডফোন, রেডিও রিসিভার, স্যাটেলাইট টেলিভিশন, ব্রডকাস্ট টেলিভিশন এবং কার্ডলেস টেলিফোন ইত্যাদি।

ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন সিস্টতেমে তারের সাহায্যে ছাড়া তথ্য স্থানান্ত করতে বিভিন্ন ধরনের শক্তি যেমন-রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি (Radio Frequency-RF), শব্দ সক্তি (Acoustic Energy) ইত্যাদি ব্যাবহৃত হয়। এই পদ্বতিতে স্বল্প ও দীর্ঘ উত্তম দুরত্বেই তথ্য স্থানান্তর করা যায়। নিম্নলিখিত মাধ্যমে ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন সম্পন্ন হয়-
  • রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি কমিউনিকেশন
  • মাইক্রোওয়েভ কমিউনিকেশন। যেমন-শর্ট রেঞ্জ কমিউনিকেশন।
  • ইনফ্রোরেড (Infrared) শর্ট-রেঞ্জ কমিউনিকেশ্ন। যেমন রিমোট কন্ট্রোল (Remote Control). 
ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন প্রয়োগে পয়েন্ত টু পয়েন্ট কমিউনিকেশন, পয়েন্ট টু পয়েন্ট মাল্টিপয়েন্ট কমিউনিকেশন, ব্রডকাস্টিং নেটওয়ার্ক এবং অন্যান্য তাওবিহীন নেটওয়ার্ক সম্পৃক্ত রয়েছে। 


Next Post Previous Post