মেটাভার্স কী?

সময়ের সাথে সাথে ইন্টারনেট টেকনোলজি প্রতিনিয়তি পরিবর্তন হচ্ছে।  শুরুর দিকে যেখানে ইন্টারনেট ওয়েবসাইট গুলো সুধু টেক্সট বেসেড ছিলো, সেখানে বর্তমানে ইমেজ, ভিডিও, এনিমেশন এবং বিভিন্ন ভেরিয়াস থিংক সহ আপডেট হয়েছে। একিভাবে মেটা ভার্স ইন্ট্রডিউস করার মাধ্যমে ইন্টারনেটের আরো একটি ইন্টারেকশন  সামনে আসতে যাচ্ছে। 

২০২১ সালের অক্টোবর মাসে ফেসবুকের CEO মার্ক জাকারবার্গ ফেসবুকের সকল ফেসবুক কোম্পানির নাম যা দিয়ে ফেসবুক কর্তৃক তাদের সকল সার্ভিস গুলো দিয়ে যেতো সেখানে তারা ফেসবুকের পরিবর্তে Meta Inc. দেয়। মূলত তখন থেকেই মেটা ভার্স কন্সেপ্ট নিয়ে বিশ্বজুড়ে আলোচনা শুরু হয়। মার্ক জাকারবার্গ একটি প্রেজেন্টেশনে মটা ভার্স কিভাবে ইন্টারনেটের ভবিশ্যৎ হয়ে উঠবে সে বিষয়ে আলোচনা করে। 


What is Meta lnc.?

বর্তমানে ইন্টারনেটে থাকা কন্টেন্ট গুলো এনজয় করতে স্মার্টফোন অথবা কম্পিউটার স্ক্রিনে দেখতে হয়। তবে মেটা ভার্সে ইউজার সরাসরি সেই কন্টেন্টে গুলোতে সরাসরি ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকতে পারবে যা অনেকটাই রিয়ালস্টিক এক্সপিরিয়েন্স প্রোভাইড করবে। এই কন্সেপ্টিকে ইন্টারনেটের ফিক্সোনাল ভার্সন হিসেবে এক্সপ্লেন করা যায়। মেটা ভার্সে একজন আরেকজনের সাথে দেখা করা থেকে শুরু করে গেমিং, স্টাডি এবং অন্যান্য কাজ কর্ম করতে পারবে। এমনকি অনলাইন বিজনেস এক্সপিরিয়েন্সকেও পরিবর্তন করে দিবে। অর্থাৎ মেটা মার্স ইউজারের প্রতিটি ক্ষেত্রেই ট্রান্সফর্ম করতে যাচ্ছে।



Meta Verse History

১৯৯২ সালে নীল স্টেফনশনের লেখা SNOW CRUSH এর মধ্যে প্রথমবারের মত মেটা ভার্সের ট্রামটি লেখা হয়। যেখানে মেটা ভার্স বলতে একটি ভার্চুয়াল প্লেসকে বোঝায়। পরবর্তিতে ১৯৯৯ সালে রিলিস হওয়া সাইন্স ফিক্সেন মুভি The Matrix এ দেখানো দৃষ্য যা ছিলো কাল্পনিক তবে দেখতে সেম রিয়াল পৃথীবির মতই ছিলো।

২০০৩ সালে সেকেন লাইফ নামে একটি অনলাইন গেম রিলিজ করা হয়। যার মাধ্যমে একটি Avatar মাধ্যমে ভার্চুয়াল পৃথীবিতে সেকেন্ড লাইফ এক্সপিরিয়েন্স করতে সক্ষম হয়। এর পাশাপাশি মেটা ভার্সের উপর বেইস করে রোবলক্স এবং মাইন ক্রাফটের মত আরো অনেক গেইম ডিজাইন করা হয়! DIGIDAY এর একটি তথ্য সুত্রে এই গেইম গুলো ফানের জন্য তৈরি করা হলেও এর মাধ্যমে ভার্চুয়াল মিটিং ও কোওয়ার্কিং এর মত পটেনসিয়াল তখন থেকেই অনুধোবন করা যায়। 

ফেসবুকের পাশাপাশি বর্তমানে মাইক্রোসফট ও আরো বেশ কিছু টেক কোম্পানি তাদের Meta Verse নিয়ে কাজ করছে। মাইক্রোসফট তাদের সিস্টেমে মাইক্রোসফট মেশ নামক একটি অব মেন্টেন্ট এবং ভার্চুয়াল রিয়ালিটি ইন্টেগ্রেট করতে যাচ্ছে যা ভার্চুয়াল টিম মিটিং এবং কনফারেন্সে রিয়াল ওয়ার্ল্ড এক্সপিরিয়েন্স প্রোভাইড করবে।
 
Next Post Previous Post